অশোকাষ্টমী মেলা (শিলঘাট)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অশোকষ্টমী মেলা হল মার্চ বা এপ্রিল মাসে ভারতের আসাম রাজ্যের শিলঘাটে পালিত একটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় উৎসব। এটি এমন একটি ইভেন্ট যা সারা রাজ্যের পাশাপাশি প্রতিবেশী অঞ্চল থেকে অনেক ভক্তকে আকর্ষণ করে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

অশোকষ্টমী মেলার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে যা আহোম রাজবংশের সময় থেকে শুরু করে, যারা ছয় শতাব্দী ধরে আসাম শাসন করেছিল। কিংবদন্তি অনুসারে, 18 শতকে রাজা আহোম শিব সিংহের রাজত্বকালে উৎসবটি প্রথম উদযাপিত হয়েছিল।

তাৎপর্য[সম্পাদনা]

হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান দেবতা ভগবান শিবের সম্মানে অশোকষ্টমী মেলা উদযাপিত হয়। রাজা রাবণের পৌরাণিক কাহিনীতে উত্সবটির উত্স বলে মনে করা হয়, যিনি ভগবান শিবের ঐশ্বরিক ধনুক চুরি করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে তার অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছিলেন।

উদযাপন[সম্পাদনা]

অশোকষ্টমী মেলা হল একটি জমকালো অনুষ্ঠান যা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়। উৎসবে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জড়িত, যেখানে শ্রী শ্রী হরিমন্দিরের মন্দির থেকে ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে ভগবান শিবের মূর্তি একটি রথে নিয়ে যাওয়া হয়। ভক্তরা রথকে অনুসরণ করে, ভক্তিমূলক গান গায় এবং প্রার্থনা করে।

আচার[সম্পাদনা]

অশোকষ্টমী মেলা বিভিন্ন আচার ও অনুষ্ঠান দ্বারা চিহ্নিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচারগুলির মধ্যে একটি হল ব্রহ্মপুত্র নদীতে পবিত্র ডুব, যা আত্মাকে শুদ্ধ করে এবং পাপ ধুয়ে দেয় বলে বিশ্বাস করা হয়। ভক্তরাও শিবকে ফুল, ধূপ এবং মিষ্টি নিবেদন করে এবং মন্দিরে পূজা (পূজা) করে।

উপসংহার[সম্পাদনা]

উপসংহারে, অশোকষ্টমী মেলা হল একটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় উৎসব যা আসামের শিলঘাটে অত্যন্ত উৎসাহ ও ভক্তির সাথে উদযাপিত হয়। এটি লোকেদের একত্রিত হওয়ার, ভগবান শিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তাঁর আশীর্বাদ পাওয়ার একটি উপলক্ষ। উৎসবটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে এবং হিন্দু ধর্মের গভীর-মূল ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।