বিষয়বস্তুতে চলুন

অর্ঘ্য সেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অর্ঘ্য সেন
জন্ম (1935-11-11) ১১ নভেম্বর ১৯৩৫ (বয়স ৮৮)
ফরিদপুর , বৃটিশ ভারত বর্তমানে বাংলাদেশ
ধরনরবীন্দ্রসঙ্গীত , বাংলা সংগীত
পেশাসঙ্গীতশিল্পী
কার্যকালবর্তমান
লেবেলমেগাফোন, এইচএমভি,

অর্ঘ্য সেন (ইংরেজি: Argha Sen) (১১ নভেম্বর, ১৯৩৫) প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। তিনি ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।[]

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

অর্ঘ্য সেনের জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুরে মামার বাড়িতে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ১১ ই নভেম্বর।[] পিতার আদি বাড়ি ছিল খুলনার সেনহাটিতে। পিতা হেমেন্দ্রকুমার সেন কৃষিবিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। মাতা বিন্দুদেবী সংগীতচর্চা করতেন। প্রথমদিকে এঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। অর্ঘ্য পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ফরিদপুরে পড়াশোনা করেন। তারপর চলে আসেন কলকাতায়। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিক পাশ করেন কলকাতার বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাই স্কুল থেকে। কলেজের পড়াশোনা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। এখান থেকেই তিনি বিজ্ঞানে স্নাতক হন।

কর্মজীবন ও সংগীত শিক্ষা

[সম্পাদনা]

স্নাতক হওয়ার পর অর্ঘ্য সেন কর্মজীবন শুরু করেন প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে। যে বিভাগে তিনি কাজ করতেন সেটি পরে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অরগানাইজেশনে পরিবর্তিত হয় এবং এখান থেকেই চাকরি জীবন থেকে অবসর নেন। তাঁর সঙ্গীতচর্চা শুরু হয়েছিল ছাত্রাবস্থাতেই। রেডিও'তে পঙ্কজকুমার মল্লিকের সঙ্গীতশিক্ষার আসর থেকে তাঁর সঙ্গীতশিক্ষার সূত্রপাত। কলকাতায় অষ্টম শ্রেণীর পড়াশোনার সময় এবং ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার আগে পর্যন্ত অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কিছু দিন রবীন্দ্র সংগীত শেখেন। সঙ্গীতচর্চা কিছুদিন বন্ধ রাখেন ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার সময়। পরীক্ষা পাশের পর তিনি অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে পেলেন দেবব্রত বিশ্বাসকে। কিন্তু তাঁর মাসিক পাঁচ টাকা বেতন দেওয়ার মত আর্থিক অবস্থা ছিল না। শেষে বিনা বেতনেই দেবব্রত বিশ্বাসের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা নিতেন। তিনি কথা ও ভাবের উপর জোর দিয়ে তাঁর কণ্ঠের গান শুনে 'তাঁকে ভ্যাঙানোর' উপদেশ দিতেন আর বলতেন এতেই শিক্ষার্থীর স্বকীয়তা প্রকাশ পাবে। অর্ঘ্য সেন গান শিখেছেন প্রথিতযশা সঙ্গীত শিল্পী ও বিখ্যাত সুরকার কমল দাশগুপ্ত রজনীকান্ত সেনের দৌহিত্র দিলীপকুমার রায়, সুপ্রভা সরকার মঞ্জু গুপ্ত প্রমুখের কাছে।

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

অর্ঘ্য সেন ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের সংস্কৃতিচর্চার সর্বোচ্চ ভারতীয় স্বীকৃতি হিসাবে সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার (রবীন্দ্র সংগীতে) লাভ করেন এবং 'টেগোর ফেলো' নির্বাচিত হন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার - bn.wikipedia.org
  2. "CUR_TITLE-Arghya Sen"। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২০