অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত
জন্ম(১৮৯৯-০৬-১৬)১৬ জুন ১৮৯৯
ঝালকাঠি, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা বাংলাদেশ)
মৃত্যু৫ই মার্চ, ১৯৭৩
কাঁথি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
পেশালেখক, শিক্ষাবিদ

অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত (১৬ই জুন, ১৮৯৯—৫ই মার্চ, ১৯৭৩) বাঙালি লেখক ও শিক্ষাবিদ। ঝালকাঠির কূলকাঠি গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুবরণ করেন পশ্চিমবঙ্গের কাঁথিতে। তিনি "সম্বুদ্ধ" নামে খ্যাত।[১]

অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত অনুশীলন দলের একজন সক্রিয় সদস্য হিসাবে ব্রিটিশবিরোধী সহিংস আন্দোলনে যোগদান করেন এবং কারাবরণ করেন। তিনি বিভিন্ন মেয়াদে বরিশাল বি.এম. কলেজ, দৌলতপুর বি.এল. কলেজ, ফরিদপুর রামাদিয়া কলেজ, পাবনা এডোয়ার্ড কলেজকাঁথি পি.কে. কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপনা করেন। তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা এবং শনিবারের চিঠির সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।[১]

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ. পাশ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে ব্রিটিশবিরোধী সহিংস আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৩৩ সালে আলীপুর বোমা মামলায় ব্রিটিশ সরকার তাকে গ্রেফতার করে। বন্দি থাকা অবস্থায় কারাগার থেকে পরীক্ষা দিয়ে তিনি এম.এ. ও ল' পাশ করেন। প্রায় পাঁচ বছর বন্দী থাকার পর ১৯৩৭ সালে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।[১]

পেশাজীবন[সম্পাদনা]

কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পরের বছর ১৯৩৮ সালে তিনি বরিশাল বি.এম. কলেজে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অধ্যাপনা শুরু করেন। এখানে প্রায় দুই বছর অধ্যাপনা করার পর দৌলতপুর বি.এল. কলেজ, গোপালগঞ্জ রামদিয়া শ্রীকৃষ্ণ কলেজ, পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ ও কাঁথি পি.কে. কলেজে ১৯৭৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপনা করেন।

অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি ১৯৪৬-৪৭ সাল পর্যন্ত আনন্দ বাজার পত্রিকাশনিবারের চিঠি'র সহসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত মুলত গল্প ও গোয়েন্দা কাহিনী রচনার মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি তার লেখায় ব্যঙ্গ ও হাস্যরস সৃষ্টিতে তার পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।[১]

প্রকাশিত গ্রন্থ[সম্পাদনা]

  • ডায়লেকটিক (১৯৩৯)
  • শিকার কাহিনী (১৯৪৬)
  • ছেলেধরা জয়ন্ত (গোয়েন্দা কাহিনী; ১৯৬৬)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. শামসুজ্জামান খান; সেলিনা হোসেন, সম্পাদকগণ (জুন ২০১১)। বাংলা একাডেমী চরিতাভিধানঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ১৪। আইএসবিএন 984-07-5138-7