অমিতা ঠাকুর
অমিতা ঠাকুর | |
---|---|
জন্ম | ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯১১ |
মৃত্যু | ৮ মার্চ ১৯৯২ (বয়স ৮১) কলকাতা , ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও কবি |
দাম্পত্য সঙ্গী | অজীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
পিতা-মাতা | অজিতকুমার চক্রবর্তী(পিতা) লাবণ্যলেখা চক্রবর্তী(মাতা) |
অমিতা ঠাকুর (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯১১ - ৮ মার্চ ১৯৯২) রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও কবি। [১]
সংক্ষিপ্ত জীবনী
[সম্পাদনা]অমিতা ঠাকুরের জন্ম ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ই ফেব্রুয়ারি বৃটিশ ভারতের ( অধুনা বাংলাদেশের) ফরিদপুরের মঠবাড়িতে। পিতা ছিলেন রবীন্দ্রকাব্য সমালোচক অজিত কুমার চক্রবর্তী। রবীন্দ্রনাথের বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্র অজীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার ষোল বছর বয়সে বিবাহ হয়। সেই সূত্রে অমিতা হলেন রবীন্দ্রনাথের নাতবৌ। এই বিবাহেই রবীন্দ্রনাথ গান লিখলেন - "এসো আমার ঘরে এসো", "অনন্তের বাণী তুমি" অমিতা অপূর্ব সুন্দরী ও সুগায়িকা ছিলেন। তার সঙ্গীত শিক্ষা রবীন্দ্রনাথ ও দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে। অভিনয়ে, চিত্রাঙ্কনে ও রন্ধনে পারদর্শী ছিলেন। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের জন্মোৎসবে 'কোনার্ক' এ 'নটীর পূজা'র প্রথম মঞ্চাভিনয়ে 'মালতী' র ভূমিকায় অভিনয় করেন। ১৩৩৬ বঙ্গাব্দে 'তপতী' নাটকে জলন্ধরের রাজা বিক্রমদেব ও রাণী সুমিত্রার ভূমিকায় যথাক্রমে রবীন্দ্রনাথ ও তিনি স্মরণযোগ্য অভিনয় করেছিলেন। এর পর থেকে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে 'মহিষী' বলে ভাকতেন। অমিতা শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে পড়াশোনা করেছেন। ম্যাট্রিক পাশ করার পর প্রথাগত শিক্ষা আর না এগোলেও তিনি বাংলা ও ইংরাজী দুই ভাষার রচনাতেই সাবলীল ছিলেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। 'জন্মদিন' ও 'অঞ্জলি' তার দু-খানি কাব্যগ্রন্থ। শেষ বয়সে প্রকাশিত হয়েছে তার উল্লেখযোগ্য স্মৃতি রচনা - 'জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির রান্না' ও 'বাইশে শ্রাবণ'। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক তিনি ডি.লিট. সম্মানে ভূষিত হন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯, পৃষ্ঠা ২৪- ২৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬