অপর্ণা পানশিকর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অপর্ণা পানশিকর
জন্মপুনে, মহারাষ্ট্র, ভারত
উদ্ভবভারত
ধরনভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত
পেশাশাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী
বাদ্যযন্ত্রগাওয়া
কার্যকাল১৯৮৫-বর্তমান

অর্পণা পানশিকর একজন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী (হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত), যিনি ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের পুনেতে বাস করেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন ও পরিবার[সম্পাদনা]

ছোটবেলা থেকে শাস্ত্রীয় সংগীতের সাথে পরিচয় ঘটে তার। তিনি প্রথম তালিন নিয়েছিলেন পণ্ডিত ভাস্করবুয়া জোশির কাছ থেকে। বর্তমানে তিনি তার মা মীরা পানশিকরের কাছ থেকে তালিম নিচ্ছেন, যিনি পদ্মবিভূষণ বিজয়ী কিশোরী আমনকরের শিষ্যা ছিলেন।[২]

অপর্ণা পানশিকর, নিখিল জোশির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। সোহম বিলাওয়াল নিখিল জোশি নামে তাদের এক ছেলে আছে।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তিনি শাস্ত্রীয় সংগীতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচরণ করেছেন। ১৯৮৫ সালে পুনের ভারত নিবাস হলে তিনি প্রথমবারের মত দর্শকদের সামনে সংগীত পরিবেশন করেন। ২০০৮ সালে তিনি আফগানিস্তান গমন করেন এবং আফগানিস্তানে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস ও কাবুল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সংগীত পরিবেশন করেন।[৩] এছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া,নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়ায় সংগীত পরিবেশন করেছেন।[৪][৫]

তিনি ত্রিনাদ নামের একটি ব্যান্ড দলের হয়ে সংগীত পরিবেশন করে থাকেন। ব্যান্ড দলটিতে তিনি ছাড়াও ভারতীয় গিটারবাদক জয়েন বর্মাফরাসি ড্রামবাদক জ্যঁ ডেভয়স্নে যুক্ত আছেন।[৬]

অ্যালবাম[সম্পাদনা]

এ পর্যন্ত অপর্ণা পানশিকরের দশটি এলবাম প্রকাশিত হয়েছে। সুধা রঘুনাথন ও অপর্ণা পানশিকরের যুগলবন্দীতে একটি অ্যালবাম ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছিল মনোরমা মিউজিক এর ব্যানারে।[৭] ২০০০ সালে, ব্রিটিশ কোম্পানি এইচএমভির ব্যানারে বের হওয়া ভয়েজ ফর দ্য নিউ মিলেনিয়াম এর সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। এছাড়া, ২০০২ সালে বের হওয়া উইন্ডস ফ্রম আয়ুতা, ২০০৩ সালে বের হওয়া ডায়মন্ড সূত্রপুণ্যপুর কি সরিতা, ২০০৫ সালে বের হওয়া শিবহম এবং ২০১২ সালে বের হওয়া রিফ্লেকশন্স অব দ্য পার্পল মুন অ্যালবামের সাথেও যুক্ত ছিলেন তিনি।[৮]

২০১৭ সালে তার ব্যান্ড দল ত্রিনাদ লু সর্তিলেজ দ্যু পয়সন নামের একটি অ্যালবাম বের করেছিল। অ্যালবামটির সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি।[৯]

চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

অপর্ণা পানশিকর চলচ্চিত্রে সুরকার হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি ফ্রান্সের ইংরেজি চলচ্চিত্র অরফেডার দ্য লিজেন্ড চলচ্চিত্রে সুরকার হিসেবে কাজ করেছেন। চলচ্চিত্রটি ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এছাড়াও তিনি দুইটি ভারতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দুইটি হল মুসকান (২০১৭) এবং স্কিন অব মার্বেল (২০১৮)।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তিনি ২০০২ সালে রসিকাগ্রানি দত্তপান্ত দেশপান্ডে পুরস্কার ও ২০০৩ সালে যুব গায়ক পুরস্কার লাভ করেন।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Aparna Panshikar Inaugurates The Times of India
  2. http://www.aparnapanshikar.com/lineage.htm
  3. https://www.veethi.com/india-people/aparna_panshikar-profile-13876-24.htm
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৯ 
  5. http://www.aparnapanshikar.com/performances.htm
  6. Sempéré, Gabriel (১৬ এপ্রিল ২০১৩)। "L 'Inde en invitee" [The Invited Indian]। Sud-Ouest (French ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১২-১৭ 
  7. "Aparna Panshikar: Carnatic Singer"Manorama Music। ২০১৬-১২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১২-১৭ 
  8. Interview-Fusion Works The New Indian Express
  9. Trinaad releases
  10. http://www.aparnapanshikar.com/awards.htm