অনিল কুমার গায়েন
অনিল কুমার গায়েন | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ কলকাতা, কলকাতা | (বয়স ৫৯)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত, যুক্তরাজ্য |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পরিচিতির কারণ | পিয়ারসন প্রোডাক্ট-মোমেন্ট কোরিলেশন কোএফিশিয়েন্ট বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় |
পুরস্কার | এফআরএসএস এফসিপিএস |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | গণিত ও পরিসংখ্যান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়গপুর |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | হেনরি এলিস ড্যানিয়েল |
অনিল কুমার গায়েন (ইংরেজি: /Anila kumāra gāẏēna/) (১ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ - ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮) একজন ভারতীয় গণিতবিদ এবং পরিসংখ্যানবিদ, যিনি তার সহকর্মী রোনাল্ড ফিশারের সঙ্গে ফলিত পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে পিয়ারসন সহসম্বন্ধ গুণাঙ্ক নির্ণয়ের জন্য পরিচিত। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হেনরি এলিস ড্যানিয়েলসের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি রয়েল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটি এবং ক্যামব্রিজ ফিলোসফিকাল সোসাইটির ফেলো হিসাবে সম্মানিত হন।
গায়েন ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি এবং তার পাশাপাশি ভারতীয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গণিত বিভাগের প্রধান ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি বাংলার নবজাগরণের বিখ্যাত সমাজসংস্কারক, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের নামানুসারে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।[২]
প্রথম জীবন
[সম্পাদনা]অনিল কুমার গাইন পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার লক্ষ্মীগ্রামের গরিব বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম জীবনকৃষ্ণ গায়েন ও মায়ের নাম পঞ্চমী দেবী। শৈশবকালে তাঁর বাবা মারা গেলে, তিনি এবং তার ভাইবোনেরা তার বিধবা মায়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে বড়ো হন। তিনি একটি সাধারণ স্থানীয় বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। বিদ্যালয় শিক্ষার পর তিনি সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে গণিত অধ্যয়ন করার জন্য কলকাতায় যান, এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইউনিভার্সিটির গোল্ড মেডেলিস্ট হন।[৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি পিএইচডি লাভের জন্য ইংল্যান্ড ভ্রমণ করেন। গণিতের পরিসংখ্যানে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাগ্রহণকালে তিনি হেনরি এলিস ড্যানিয়েলসের তত্ত্বাবধানে তার বেশিরভাগ কাগজপত্র লেখেন। তিনি সেখানে স্যার রোনাল্ড ফিশারের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন এবং ফলিত পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে তার সঙ্গের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছিলেন।
ভারতে ফিরে এসে তিনি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং অবশেষে খড়গপুরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে যোগ দেন, যেখানে তিনি তার বেশিরভাগ অবশিষ্ট কর্মজীবন কাটিয়েছিলেন। খড়গপুরে থাকাকালীন তিনি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) এর মতো শিক্ষা প্রকল্পগুলিতে কাজ শুরু করেন। শিক্ষা বিপ্লবের এই আগ্রহের ফলে অবশেষে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ভারত) দ্বারা ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৩]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]বাংলায় শিক্ষা বিপ্লব করার প্রচেষ্টায় তিনি বাংলার নবজাগরণের একজন বিশিষ্ট পণ্ডিত ও শিক্ষিত ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালযয়ের উদুঅগে তাঁর অবদানকে সম্মান জানাতে অনিল কুমার গাইন মেমোরিয়াল লেকচার প্রতিষ্ঠিত হয়।[৪][৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Guha, Abhijit। "Forgotten Founder of a University"। Frontier Weekly। ১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ "Prof. A.K. Gayen"। vidyasagar.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-১৯।
- ↑ ক খ "Frontier articles on Society & Politics"। web.archive.org। ২০১২-১০-০১। Archived from the original on ২০১২-১০-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-১৯।
- ↑ Guha, Abhijit। "Vidyasagar viswavidyalayer bismrita prothistata"। Vidyasagar viswavidyalayer bismrita prothistata (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Anil Kumar Gain"। veethi.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-১৯।
- বাঙালি হিন্দু
- ভারতীয় গণিতবিদ
- গবেষক
- বাংলার নবজাগরণ
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় গণিতবিদ
- ১৯১৯-এ জন্ম
- ১৯৭৮-এ মৃত্যু
- কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- রয়েল সোসাইটির সভ্য
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় অর্থনীতিবিদ
- কলকাতার পণ্ডিত
- ভারতীয় বিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা
- কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- ভারতীয় পরিসংখ্যানবিদ
- বাঙালি গণিতবিদ