অচ্যুত সামন্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অচ্যুত সামন্ত
জন্ম২০ জানুয়ারি, ১৯৬৫
কলেরাব্যাঙ্ক, ওড়িশা
নাগরিকত্ব ভারত
পরিচিতির কারণশিক্ষাবিদ, ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী আচার্য
ওয়েবসাইটwww.achyutasamanta.com

ড. অচ্যুত সামন্ত (জন্ম: ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৫) একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ। ১৯৯২ সালে ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইএস)[১] এটি এখন বিশ্বমানের একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৩ সালে তিনি চালু করেন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স (কিস)। [২] সবচেয়ে কম সময়ে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাওয়ার লিমকা বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। ভারতের সবচেয়ে কম বয়সী আচার্য তিনি। [৩] অচ্যুত সামন্ত বাংলাদেশের ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডি.লট ডিগ্রি পান। [৪][৫]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

অচ্যুত সামন্তর জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ জানুয়ারি ওড়িশার কলেরাব্যাঙ্কে। চরম অর্থাভাবের মধ্যেও তিনি টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ নিজেই চালিয়ে যান। ওড়িশার উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি নেন অচ্যুত। [৬] পরবর্তীকালে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৩ সালে মাত্র ১২ জন ছাত্র নিয়ে অচ্যুত সামন্ত প্রতিষ্ঠা করেন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইএস)। এটি এখন বিশ্বমানের একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। সবচেয়ে কম সময়ে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাওয়ার লিমকা বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির আছে নিজস্ব হাসপাতাল, পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম ও ট্রেনের নিজস্ব অগ্রিম টিকিটের ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি প্রদান করা হয় ১০০টির বেশি বিষয়ে। ওডিশার আদিবাসী এবং দরিদ্র শিশুরা ‘কেজি টু পিজি’ বিনা মূল্যে থাকা-খাওয়া আর পড়ালেখার সুযোগ পায় এই প্রতিষ্ঠানে। কেআইআইএসেও ২০১৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি।

শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা[সম্পাদনা]

২০১১ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৩ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জেতে কেআইএসএস রাগবি দল। একই বছরে টাইমস অব ইন্ডিয়ার বিচারে ‘আইকন অব ওডিশা’ নির্বাচিত হন অচ্যুত সামন্ত। সর্বভারতে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হওয়ার রেকর্ড অচ্যুত সামন্তর দখলে। ২০১২ সালে পেয়েছেন জওহরলাল নেহরু অ্যাওয়ার্ড। ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত এই সমাজসেবক বাস করেন দুই কক্ষের একটি ভাড়া বাড়িতে।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

ওড়িশ্যা প্রিয় পুরস্কার নিচ্ছেন অচ্যুত সামন্ত

সমাজসেবায় অবদানের জন্য অচ্যুন্ত সামন্ত ভারত ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, চেক রিপাবলিকসহ বহু দেশ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে টাইম (সাময়িকী), রিডার্স ডাইজেস্টসহ বিশ্বের প্রথম সারির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। স্বীকৃতির পাশাপাশি পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। যুক্তরাষ্ট্রের ইডিজিই ফাউন্ডেশনের করা বিশ্বের অন্যতম ১৫ সামাজিক উদ্যোক্তা তালিকায় রয়েছে অচ্যুত সামন্তের। [৭]

উল্লেখযোগ্য পুরস্কার[সম্পাদনা]

  • দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া ওড়িশা আইকন, (২০১১)
  • জওহরলাল নেহরু অ্যাওয়ার্ড, (২০১২)
  • স্বামী বিবেকানন্দ জাতীয় পুরস্কার, (২০১০)
  • এশিয়ার সেরা সোশ্যাল উদ্যোক্তা, (২০১০)
  • সম্মানসূচক ডিগ্রি, হ্যান্সিও ইউনিভার্সিটি, দক্ষিণ কোরিয়া, (২০১০)
  • ন্যাশনাল ইয়ং ইডিজিই অ্যাওয়ার্ড, (২০১০)
  • গান্ধী সেবা মেডেল, (২০০৯)
  • সম্মানসূচক ডিগ্রি, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব কম্বডিয়া, (২০০৯)
  • ইন্টারন্যাশনাল ডব্লিউআইএসই অ্যাওয়ার্ড ২০০৯ এ নমিনেশন
  • যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০০৯ এ নমিনেশন
  • মানবাধিবার অ্যাওয়ার্ড, (২০০৪)
  • সম্মানসূচক পিএইচডি, ওআইইউ কলম্বো
  • ডি লিট ডিগ্রি, বানারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি
  • নদীঘোশ অ্যাওয়ার্ড, (২০০২)
  • প্রাণনাথ অ্যাওয়ার্ড, (২০০২)
  • রাজীব গান্ধী অ্যাওয়ার্ড, (২০০১)
  • গ্লোরি অব ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড, (২০০৭)
  • হিন্দ রত্না অ্যাওয়ার্ড, (২০০৭)
  • ইটিভি প্রিয়া ওড়িশ্যা ২০০৭ এ নমিনেশন [৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Children of a Lesser God"। The Time। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টো ২০১১ 
  2. তাঁর কাজ আমাদের উদ্দীপিত করবে, দৈনিক প্রথম আলো
  3. দৈনিক প্রথম আলো
  4. "বাংলানিউজ ২৪ ডট কম"। ৯ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৪ 
  5. ওডিশা বিস্ময় অচ্যুত সামন্তকে ডি-লিট প্রদান, দৈনিক প্রথম আলো
  6. "KISS Award for Philanthropist"। Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  7. The New Indian Express. 12.01.2008 Dr. Achyuta Samanta, Founder Secretary KIIT & KISS has been placed among the top 15 social entrepreneurs of the world
  8. "In Transit with Achyuta Samanta - Lok Sabha"। Lok Sabha। সংগ্রহের তারিখ 20 July 2009 ইউটিউব ভিডিও  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]