ত্রিশূলীভারতেরউত্তরাখণ্ড রাজ্যেরকুমায়ুনেরপিথোরাগড় জেলার একটি হিমালয় শৃঙ্গ। ত্রিশুলী পশ্চিমহরদেওলদুনাগিরিচ্যাংবাং এবং কলঙ্ক শৃঙ্গগুলিসহ একটি পাহাড়ের জটিল ভাগ যেটি হিমালয়েরগাড়োয়াল বিভাগেরনন্দা দেবী অভয়ারণ্যের উত্তরপূর্ব প্রাচীরটি সংগঠিত করেছে। এটি জোহর উপত্যকার উত্তরীভাগের শেষের দিকে উঠেছে,যেটি ঘোড়ি গঙ্গায় নির্গমন করে।এই শৃঙ্গটি্কে নিকটবর্তী ত্রিশুল শৃঙ্গের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়,যেটি অভয়ারণ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত।
১৯৩৯ সালে সফল নন্দ দেবী ইস্টপোলিশ অভিযানের পর, ত্রিশূলী শিখরের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা পরিত্যক্ত করতে হল,যখন একরাতে শিবির নাম্বার ৩এ তুষার ধ্বসে নেতা আদম কারপিনিস্কি এবং স্টিফেন Bernadzikiewicz নিচে চাপা পড়ে যান।[৪][৫] ১৯৬৪ সালে ভারত সরকারের, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইন্ডিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেসান থেকে মোহন সিং কোহলির নেতৃত্বে ত্রিশূলী শিখরে আরোহণের একটি অভিযান অসফল হয়। ১৯৬৫ সালে কে.পি.শর্মার নেতৃত্বে হিমালয় এসোসিয়েশন, কলকাতা শাখার দ্বারা আয়োজিত অভিযানে আর একটি দল শিখর আরোহণের চেষ্টা করে কিন্তু প্রায় ১৮,০০০ ফু (৫,৫০০ মি) দূর থেকে ফেরত আস্তে হয়।[৬][৭][৮] চঞ্চল কুমার মিত্রের নেতৃত্বে অন্য ভারতীয় দল শিখরটি ১৯৬৬ সালের ৯ই অক্টোবর প্রথমবার জয় করেন এবং কলকাতার হিমালয় এসোসিয়েশন, দ্বারা দ্বিতীয়বার অভিযান আয়োজিত হয়।প্রথমে তারা দক্ষিণ-পূর্ব শৈলশিরার পূর্ব মুখ আরোহণ করেন, পরে দক্ষিণ-পূর্ব শৈলশিরা ধরে শিবির ৫ থেকে শিখর আরোহণ করেন,প্রায় ২১,৮৬০ ফু (৬,৬৬০ মি)। নিরাপদ মল্লিক (সহ-নেতা), শ্যামল চক্রবর্তী , নিমা তাশি(দার্জিলিং হিমালয়ান পর্বতারোহন সংস্থার প্রশিক্ষণের প্রাক্তন উপ-পরিচালক) এবং দোরজী শেরপা শিখর জয় করেন। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন মানিক ব্যানার্জী,কে কে খান্না,মার্কোপোলো শ্রীমল,ভারতের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপএর/জিওলজিকাল সারভে অফ ইন্ডিয়ার ডক্টর জুঙ্গাপানি,ডক্টর অমিতাভ সেন(মেডিকাল অফিসার),পিনাকি সিনহা এবং শৈলেশ চক্রবর্তী ।অভিযানটির আয়োজন করেন হিমালয় এসোসিয়েশন, কলকাতা।[৯]