উত্তরপ্রদেশ বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল

উত্তরপ্রদেশ বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল (সংক্ষেপে ইউপি আরএসপি) ছিল উত্তরপ্রদেশ, ভারতের একটি বামপন্থী রাজনৈতিক দল ১৯৫১-১৯৫২। এটি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার একটি আসন দখল করেছে। দলটি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে একীভূত হয়।

আরএসপিতে বিভক্ত

বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দলে বিভক্তির পর দলটি গঠিত হয়। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত, ঝাড়খন্ডে রাইয়ের নেতৃত্বে, আরএসপি-র উত্তরপ্রদেশ রাজ্য ইউনিট কমিউনিস্টপন্থী হয়ে উঠেছিল। ১৯৫১ সালে আরএসপির জাতীয় নেতৃত্ব সমগ্র উত্তরপ্রদেশ শাখাকে বহিষ্কার ঘোষণা করে এবং এর রাজ্য কমিটি বিলুপ্ত করে। রাইয়ের দলটি তখন ইউপি আরএসপিকে একটি পৃথক দল হিসেবে গড়ে তোলে। দলের প্রভাব কিছু পকেটে সীমাবদ্ধ ছিল।

১৯৫১-৫২ নির্বাচন

দলটি ১৯৫১ এবং ১৯৫২ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এর নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে 'ধনুক ও তীর' দেওয়া হয়। নির্বাচনী প্রচারণার সময়, ইউপি আরএসপি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি এবং বলশেভিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সাথে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করেছিল।

১৯৫১-৫২ লোকসভা নির্বাচনে দল দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল; কুনওয়ার মহারাজ সিং বাহরাইচ জেলা (পূর্ব) আসনে এবং লক্ষ্মী শঙ্কর বালিয়া জেলা দক্ষিণ (পশ্চিম) আসনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন। সিং ৭,০৬৪ ভোট (নির্বাচনে ভোটের ৭.৩৬%) পেয়েছেন যেখানে শঙ্কর ১৩,৬০১ ভোট (১১.৬১%) পেয়েছেন। সব মিলিয়ে, ইউপি আরএসপি রাজ্যে ০.১২% ভোট পেয়েছে (এবং দেশব্যাপী ভোটের ০.০২%)। দলটি ১৯৫১ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে নয়জন প্রার্থীকে লঞ্চ করেছিল। একজন প্রার্থী, ঝাড়খন্ডে রাই একটি আসনে জয়ী হয়েছেন। রাই ঘোসি পশ্চিম আসনে জয়ী হয়েছেন, ১৫,৫২৪ ভোট (৪৭.৯৫%)। দুই ইউপি আরএসপি প্রার্থী তাদের নিজ নিজ আসনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন; উদাল বেনারস পশ্চিমে ৭,৫৮৭ ভোট (২০.৫০%) এবং কপিলদেও সিং রাসরা পশ্চিমে ৮,২৬৭ ভোট (২৪.৯৮%) পেয়েছেন। অন্য সব ইউপি আরএসপি প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছে। মোট ইউপি আরএসপি প্রার্থীরা পেয়েছেন ৫৭,২৮৪ ভোট (রাজ্যের ভোটের ০.৩৪%)। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নির্বাচনী এলাকায় ইউপি আরএসপি প্রার্থীদের ভোটের গড় শতাংশ দাঁড়িয়েছে ১৪,৩২%।

সিপিআইয়ের সাথে একীভূত

ইউপি আরএসপি ১৯৫২ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে একীভূত হয়। ২৮-৩০ নভেম্বর ১৯৫২ সালে অনুষ্ঠিত মাউ -তে একটি পার্টি সম্মেলনে একীভূতকরণের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছিল। ইউপি আরএসপির সাথে একীভূত হওয়ার মাধ্যমে, কমিউনিস্ট পার্টি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব লাভ করে।