মেরি ডি'সুজা সিকুইরা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেরি ডি'সুজা সিকুইরা
রাষ্ট্রপতি, শ্রী প্রণব মুখার্জি ২০১৩ সালের ৩১শে আগস্ট তারিখে নতুন দিল্লিতে, রাষ্ট্রপতি ভবনে, জাতীয় ক্রীড়া ও অ্যাডভেঞ্চার পুরষ্কার অনুষ্ঠানে অ্যাথলেটিক্সের জন্য মেরি ডি'সুজা সিকুইরাকে ধ্যানচাঁদ পুরস্কার প্রদান করছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমেরি ডি'সুজা সিকুইরা
জাতীয়তাভারতীয়
জন্ম (1931-07-18) ১৮ জুলাই ১৯৩১ (বয়স ৯২)
নিয়োগকর্তাভারতীয় রেল
ক্রীড়া
ক্রীড়াট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড
বিভাগস্প্রিন্ট
পদকের তথ্য
মহিলাদের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী
এশিয়ান গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ১৯৫৪ ম্যানিলা ৪×১০০ মিটার রিলে
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৫১ নতুন দিল্লি ৪×১০০ মিটার রিলে
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ১৯৫১ নতুন দিল্লি ২০০ মি

মেরি ডি'সুজা সিকুইরা (জন্ম ১৮ই জুলাই ১৯৩১) একজন ভারতীয় মহিলা অলিম্পিয়ান যিনি ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডফিল্ড হকিতে আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ১৯৫২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের ১০০ এবং ২০০ মিটার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।[১] ডি'সুজা ২০০ মিটার দৌড়ে একটি ব্রোঞ্জ পদক এবং ১৯৫১ এশিয়ান গেমসে ৪ × ১০০ মি রিলেতে প্যাট মেন্ডনকা (তাঁর সম্পর্কিত বোন), বানু গুলজার এবং রোশন মিস্ত্রির সাথে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[২]

ডি'সুজা ১৯৫৪ সালের ম্যানিলায় এশিয়ান গেমসে ৪ × ১০০ মি রিলেতে স্টেফি ডি'সুজা, ভায়োলেট পিটার্স এবং ক্রিস্টিন ব্রাউনের সাথে ৪৯.৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। তিনি ১৯৫৬ সালে ১০০ এবং ২০০ মিটারে এশিয়ান রেকর্ড করেছিলেন। তাঁকে মেলবোর্ন অলিম্পিকে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল, কিন্তু ভারত সরকারের কাছে মহিলা দলের জন্য খরচ করার কোন তহবিল ছিলনা। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি দুবার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় গেছেন। তিনি ১৯৫৩ সালে ইংল্যান্ডের ফোকস্টোনে এবং ১৯৫৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের হয়ে ফিল্ড হকি খেলেছিলেন। প্রথমটি ছিল আইএফডব্লিউএইচএ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এবং পরেরটি জাপান ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৫১ সালে, ডি'সুজা নতুন দিল্লিতে প্রথম এশিয়ান গেমসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তিনি ৪x১০০ মিটার রিলে দৌড়ে একটি রৌপ্য পদক এবং ২০০ মিটার দৌড়ে একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। এটি ছিল এশিয়ান গেমসে প্রথম ভারতীয় মহিলা দল।[৩] ১৯৫৪ সালে ম্যানিলায় দ্বিতীয় এশিয়ান গেমসে তিনি ৪x১০০ মিটার রিলে দৌড়ে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। ১৯৫৪ এশিয়ান গেমসের মেডেল টেবিলে তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা স্বর্ণ পদক বিজয়ী। তিনি ১৯৫১ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার দৌড়ে এবং ৮০ মিটার বাধা দৌড়ে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারতীয় জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেছিলেন। তিনি ১০০ মিটারে ১২.৩ সেকেন্ড এবং ২০০ মিটারে ২৬.৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে এশীয় রেকর্ডধারী ছিলেন। তিনিই প্রথম মহিলা ট্র্যাক এবং ফিল্ড প্রতিযোগী যিনি ১৯৫২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারত থেকে গিয়েছিলেন। তিনি ১০০ মিটার এবং ২০০ মিটার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

তিনি ভারতের প্রথম মহিলা ফিল্ড হকি দলের একজন খেলোয়াড় ছিলেন, তিনি ১৯৫৩ সালে যুক্তরাজ্যের ফোকস্টোন-এ প্রথম আইএফডব্লিউএইচএ বা আন্তর্জাতিক মহিলা ফিল্ড হকি ওয়ার্ল্ড টুর্নামেন্টে[৪] এবং ১৯৫৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান আন্তর্জাতিক মহিলা ফিল্ড হকি টুর্নামেন্টে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি টুর্নামেন্টে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন।[৫] তিনি ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ রাইট উইঙ্গার হিসেবস খেলেছিলেন, উভয় গোলেই সহায়তা করেছিলেন।[৬]

তিনি ১৯৫৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু যেতে পারেননি কারণ ভারত সরকার মহিলা ক্রীড়াবিদদের যাওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেনি।[৭] যে ভারতীয় দল ১৯৬১ সালে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা তহবিল ফিল্ড হকি সফরে খেলেছিল, তিনি সেই দলে ছিলেন। এছাড়াও তিনি ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ফিল্ড হকি সফরে এবং ১৯৬৪ সালে ভারত বনাম জাপান ফিল্ড হকি টেস্ট ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন।

তিনি ভারতীয় রেলওয়ের একজন ক্রীড়া কর্মকর্তা ছিলেন, যিনি ভারতীয় রেলওয়ে দলের জন্য খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ করতেন এবং আন্তঃ রেলওয়ে টুর্নামেন্ট পরিচালনা করতেন। তিনি গার্ল গাইডস (স্কাউটস) সহ একজন জেলা কমিশনারও ছিলেন। তিনি ভারত সরকারের কাছ থেকে ২০১৩ সালে ধ্যানচাঁদ পুরস্কার অর্জন করেন।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ইভান্স, হিলারি; গিয়ার্ড, আরিল্ড; হাইম্যানস, ইরোইন; ম্যালন, বিল; ও অন্যান্য। "Mary D'Souza Olympic Results"Sports-Reference.com এ অলিম্পিকস্পোর্টস রেফারেন্স এলএলসি। ২০১৬-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৭ 
  2. D'Souza, Mary (১৩ আগস্ট ২০১৮)। "Iconic Asian Games medals - Mary D'Souza's 1951 silver, bronze"। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  3. "Asian Games Opened In Delhi"। The Times। ৫ মার্চ ১৯৫১। 
  4. "The 1953 IFWHA Tournament in Folkestone" 
  5. "Sports & Pastime 21 April, 1956"। Free Press Journal। ২৬ মার্চ ১৯৫৬।  "Hockey Australia History Project"। Sydney Daily Mirror। ২ জুন ১৯৫৬। 
  6. Ceylon Observer 20 April 1956, Ceylon Daily News April 25, 1956
  7. [[Ballarat, Australia Courier June 16, 1956; The Sun, June 27, 1956;The Sun, Adelaide July 1, 1956
  8. "Hail Mary: Hockey player Mary D'Souza being honoured with Dhyan Chand Award"Daily News and Analysis। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]