তারানাথ শর্মা
তারানাথ শর্মা | |
---|---|
স্থানীয় নাম | तारानाथ शर्मा |
জন্ম | বারবোতে, ইলাম, নেপাল | ২৩ জুন ১৯৩৪
মৃত্যু | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ কাঠমান্ডু, নেপাল | (বয়স ৮৭)
ছদ্মনাম | তানা সর্মা |
পেশা | লেখক |
জাতীয়তা | নেপালি |
শিক্ষা | পিএইচডি ভাষাবিজ্ঞান |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয় |
ধরন | ভ্রমণকাহিনী, সমালোচনা, গদ্য |
সাহিত্য আন্দোলন | ঝাড়ো নেপালি |
উল্লেখযোগ্য রচনা | বেলায়েততির বড়লিঁদা |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | মদন পুরস্কার, সাজা পুরস্কার |
আত্মীয় | প্রজাপতি ভান্ডারিন (পিতা) দেবকী ভান্ডারী (মা) |
তারানাথ শর্মা (নেপালি: तारानाथ शर्मा) জনপ্রিয় নাম তানা সর্মা (২৩ জুন ১৯৩৪ - ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২) ছিলেন নেপালের একজন সাহিত্যিক, ভ্রমণকাহিনী লেখক, প্রাবন্ধিক এবং সাহিত্য সমালোচক।[১] তিনি নেপালি ভাষায় ১১২টিরও বেশি বই লিখেছেন।[২] তিনি পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে নেপালি সাহিত্যে অবদান রেখেছিলেন।[৩]
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]১৯৩৪ সালের ২৩ জুন নেপালের বারবোটে ইলামে তারানাথ শর্মা জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল প্রজাপতি উপাধ্যায়। তারানাথের বাবা ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক। তারানাথ ছিলেন প্রথম সন্তান।[২] সংস্কৃত শিক্ষা ছেড়ে দিয়ে তিনি তার পিতার প্রতিষ্ঠিত ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যান। দার্জিলিং-এর সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে স্কুলস্তরের পড়াশোনা শেষ করেন। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি করেছেন।[২]
সাহিত্যিক জীবন
[সম্পাদনা]বেনারসে বিএ পড়ার সময়, তারানাথ তার বন্ধুদের সাথে 'ঝাড়ো নেপালি' নামে একটি সাহিত্য আন্দোলনের সূচনা করেন। একসময় রাজা মহেন্দ্রের কবিতার সমালোচনা করার জন্য তাকে কারাগারে যেতে হয়। কারাগারে বন্দী থাকাকালীন ১৯৬৬ সালে তিনি তাঁর প্রথম রচনা "ওঝেল পরদা" লিখেছিলেন।[২]
বেলায়েততির বড়লিঁদা শিরোনামে তার ভ্রমণকাহিনী, যার অর্থ ব্রিটেন এবং তার আশেপাশ অঞ্চলের ভ্রমণকথা একসময় যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল। ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ নর্থ ওয়েলসে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা করার সময় তিনি এই ভ্রমণকাহিনীটি লিখেছিলেন। ১৯৬৯ সালে এই ভ্রমণকাহিনীটির জন্য জনপ্রিয় 'মদন পুরস্কার' পুরস্কার পান।
নেপালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পর কয়েক বছর ধরে তিনি রাইজিং নেপাল ইংরেজি দৈনিকের প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার পালন করেন। এমনকি তিনি বহু বছর ধরে নোবেল একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নেপালি শিক্ষা ও সাহিত্যে তাঁর বিরাট অবদান রয়েছে।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]তারানাথ শর্মা তার সাহিত্যকর্মের জন্য অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৬৯ সালে বেলায়েততির বড়লিঁদা ভ্রমণকাহিনির জন্য তিনি মদন পুরস্কার পান। ১৯৭২ সালে 'সামা রা সমকা কৃতি' সাহিত্য সমালোচনার জন্য তাকে সাজা পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানানো হয়। ২০১৩ সালে তিনি আদি কবি ভানুভক্ত পুরস্কার পান।
ব্যক্তিগত জীবন এবং মৃত্যু
[সম্পাদনা]তারানাথ শর্মা বিবাহিত এবং দুই পুত্রের জনক ছিলেন। ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী কাঠমান্ডুতে তার বাড়িতে তিনি দেহত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মৃত্যুর আগে তিনি ডিমেনশিয়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় ভুগছিলেন।[৪][৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ People's Review Weekly (Thursday 20 March 2003)
- ↑ ক খ গ ঘ Man of his words ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মে ২০১৪ তারিখে The Himalayan Times
- ↑ Litterateur Sharma conferred Aadi Kabi award ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ মে ২০২০ তারিখে Kantipur Daily
- ↑ "Litterateur Tara Nath Sharma dies at 87"। The Kathmandu Post। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Litterateur Taranath Sharma passes away"। People's Review Weekly (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০২-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫।