বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড
প্রাতিষ্ঠানিক লোগো
সংক্ষেপেবিসিএমসিএল
গঠিত১৯৯৮
ধরনসরকারি
আইনি অবস্থাসক্রিয়
সদরদপ্তরঢাকা
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলাইংরেজি
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার
প্রধান অঙ্গ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়
প্রধান প্রতিষ্ঠান
পেট্রোবাংলা
ওয়েবসাইটবিসিএমসিএল

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি কোম্পানী। কোম্পানিটি দিনাজপুর জেলার চৌহাটি গ্রামে অবস্থিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) কর্তৃক ১৯৮৫ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লা ক্ষেত্র আবিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে চাইনিজ কোম্পানি সিএমসি-এর সাথে ৭ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৪ সালে খনি উন্নয়নের জন্য টার্ন-কি ভিত্তিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির কার্যক্রম সেপ্টেম্বর, ২০০৫ হতে শুরু হয় এবং আগস্ট, ২০১১ সালে শেষ হয়। উক্ত সময়ের আওতায় ৩.৬৫১ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা সেন্ট্রাল পার্ট হতে উত্তোলন করা হয়।

একই কোম্পানির সাথে ৭২ মাস মেয়াদী দ্বিতীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হত। চুক্তির কার্যক্রম ১১ আগস্ট, ২০১১ হতে শুরু হয় এবং ১০ আগস্ট, ২০১৭ সালে শেষ হয়। উক্ত সময়ের মধ্যে ৫.৫০৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা সেন্ট্রাল পার্ট হতে উত্তোলন করা হয়।

পরবর্তীতে ৪৮ মাস মেয়াদী তৃতীয় আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির কার্যক্রম ১১ আগস্ট, ২০১৭ হতে শুরু হয় এবং ১০ আগস্ট, ২০২১ এ শেষ হয়। উক্ত চুক্তির আওতায় জুন ২০২০ পর্যন্ত ২.৩৭৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা সেন্ট্রাল পার্ট হতে উত্তোলন করা হয়।

ভূতাত্ত্বিক অবস্থা[সম্পাদনা]

বড়পুকুরিয়া কোল বেসিনের বিস্তৃতি ৬.৬৮ বর্গকিলোমিটার। এই বেসিনে কয়লার মোট মজুদ ৩৯০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি হতে প্রাপ্ত কয়লার মান উচ্চ উদ্ধায়ী বিটুমিনাস শ্রেণী হতে সাব বিটুমিনাস শ্রেণীর অন্তর্গত। যার মূল উপাদান হচ্ছে ফিক্সড কার্বন-৪৮.৪০%, এ্যাশ- ১২.৪০%, ভোলাটাইল মেটার-২৯.২০%, মোট ময়েশ্চার-১০%, ক্ষতিকারক উপাদান সালফারের পরিমাণ-০.৫৩% এবং তাপ দহন ক্ষমতা-১১,০৪০ বিটিউ পার পাউন্ড।

এক নজরে[সম্পাদনা]

[২]

আইটেম বিবরণ
অবস্থান বড়পুকুরিয়া, চৌহাটি, পার্বতীপুর, দিনাজপুর
আবিষ্কারের বছর ১৯৮৫ সালে জিএসবি কর্তৃক জিডিএইচ-৩৮ নং বোরহোলে
লিজকৃত এরিয়া ১০.৫০ বর্গ কিলোমিটার
মজুদের পরিমাণ ৩৯০ মিলিয়ন মেট্রিক টন
অক্সিলিয়ারী শ্যাফট গভীরতা ৩২০ মিটার
মেইন শ্যাফট গভীরতা ৩২৬ মিটার


আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "যোগাযোগ"bcmcl.org.bd। ২০২২-০৮-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৪ 
  2. "এক নজরে"bcmcl.org.bd। ২০২২-০৮-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৪