বাংলা সহায়তা কেন্দ্র
বাংলা সহায়তা কেন্দ্র | |
---|---|
প্রকল্পের ধরন | পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি প্রকল্প |
অবস্থান | পশ্চিমবঙ্গ |
প্রতিষ্ঠাতা | পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
প্রতিষ্ঠিত | ২০২০ |
বাংলা সহায়তা কেন্দ্র ( বি. এস. কে) হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক জনসাধারণের নিকট রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা সম্বন্ধে অবহিত করা ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য চালু করা একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২১ সাল অবধি পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ৩ হাজার ৫৬১টি বিএসকে কেন্দ্র মারফৎ ১ কোটির বেশি মানুষকে পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে।[১] এর মাধ্যমে নিখরচায় সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। সরকারি নানা পরিষেবা কীভাবে পেতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে যাতে জনসাধারণকে বার বার সরকারি অফিসের দ্বারস্থ না হতে হয়, মূলত এই লক্ষ্যেই চালু করা হয় এই প্রকল্পটি।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]সরাসরি সরকারি অফিসে না গিয়ে অনায়াসে সরকারি পরিষেবাগুলিকে জনসাধারণের হাতের নাগালে পাইয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ২০২০ সালে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্ভাবন করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের দ্বারা, সরকারি অফিসে গিয়েও পরিষেবা পাওয়া যায় না এই সংক্রান্ত নালিশ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে জনসাধারণের মাঝে।
প্রকল্পের বিবরণ
[সম্পাদনা]বিভিন্ন গ্রামে বিএসকে-র শাখা তৈরি করা হয়েছে। বিএসকে কেন্দ্রগুলি সাধারণত প্রতিটি জেলার জেলা শাসক, মহকুমা আধিকারিক, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত লাইব্রেরি, স্কুলগুলির এসআই-এর অফিস এবং সমস্ত নগর স্থানীয় সংস্থার কার্যালয়ে অবস্থিত।[২] জাতিগত শংসাপত্র, বাসস্থানের সার্টিফিকেট, কর জমা দেওয়া ও রেশন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যেমন স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, কৃষক বন্ধু, খাদ্য সাথী, জমির পর্চা তৈরি, জমির চরিত্র বদলের মতো প্রকল্পে আবেদন করা যায় এই কেন্দ্রগুলিতে।[১][৩] বিএসকে কর্তৃক প্রদত্ত পরিষেবাগুলি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
সমালোচনা
[সম্পাদনা]পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল, বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক দেবব্রত পট্টনায়েক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রশ্ন তোলেন যে ২০২০ সালে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র প্রকল্পটি যখন চালু করা হয়েছে, তখন দুয়ারে সরকার প্রকল্পটির প্রয়োজনীয়তা কী। তিনি আরো বলেন, যে সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি সরকারি অফিসে নির্দিষ্ট দফতরই করতে পারতো।
কৃষক সংগ্রাম পরিষদ নামক একটি সংগঠনের সম্পাদক, নারায়ণচন্দ্র নায়কের দাবি যে প্রায় গোটা রাজ্য জুড়েই সব সরকারি অফিসে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে, তবু যথেষ্ট প্রচারের অভাবে বহু মানুষজন সেগুলি সম্বন্ধে জানতে পারছেননা। বিধ্বস্তকারী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরবর্তীতেও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি মন্তব্য করেন যে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০২১ তথা ইয়াস পরবর্তী সময়ে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি ঠিকভাবে কাজ করতে অক্ষম ছিল।[৩]
পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]বর্তমানে, মোট ৩৮টি বিভাগের ২৬৮ রকমের জনসেবা (লেনদেন সংক্রান্ত ১৯৫টি ও তথ্যপ্রদান সংক্রান্ত ৭৩টি) বিএসকে-এর পরিষেবার আওতায় লভ্য।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "ছুঁয়ে ফেলল ১কোটির মাইলস্টোন, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র নিয়ে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী"। হিন্দুস্থান টাইমস। ২৫ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ https://bsk.wb.gov.in/
- ↑ ক খ মান্না, দিগন্ত (১৮ আগস্ট ২০২১)। "Duarey Sarkar: প্রচার নেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের, যত ভিড় 'দুয়ারে'"। www.anandabazar.com।