এলিজাবেথ চেম্বার্স মরগান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এলিজাবেথ চেম্বার্স মরগান
১৮৯৫ সালে মরগান
জন্ম
এলিজাবেথ

জুন ১৬ ১৮৫০
বার্মিংহাম, ইংল্যন্ড
মৃত্যু১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪(1944-02-11) (বয়স ৯৩)
জাতীয়তাইংরেজি
নাগরিকত্বআমেরিকান
পেশাশ্রম সংগঠক
পরিচিতির কারণশিকাগোতে সোয়েটশপ অনুশীলনের প্রতিবেদন, নারী ও শিশুকে সুরক্ষিত শ্রম আইনen
দাম্পত্য সঙ্গীটমাস জে মরগান
সন্তান

এলিজাবেথ চেম্বারস মরগান (জুন ১৬, ১৮৫০ – ফেব্রুয়ারি ১১, ১৯৪৪) ছিলেন একজন আমেরিকান শ্রমিক সংগঠক, সমাজ সংস্কারক ও শিকাগো, ইলিনয় ভিত্তিক সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনকারী কর্মী। তিনি ১৮৬৯ সালে তার স্বামী থমাস জে মরগানের সাথে ইংল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসিত হন। তিনি শিকাগোতে সোয়েটশপের আন্দোলনের জন্য পরিচিত। তিনি ১৮৮৮ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত শিকাগো শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় মহিলা ছিলেন।[১][২]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

মরগান ১৮৫০ সালের ১৬ জুন ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের থমাসের সারা চেম্বারের জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তার নয় ভাইবোন ছিল। সে সামান্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পেয়েছিল। এগারো বছর বয়সে তিনি একটি মিলে কাজ শুরু করেন। তিনি প্রতিদিন দশ থেকে ষোল ঘণ্টা কাজ করতেন। জানুয়ারী ১৮৬৮ সালে তিনি টমাস জে মর্গান নামে এক যন্ত্রচালক কে বিয়ে করেন। ১৮৬৯ সালে এই দম্পতি উন্নত সুযোগ খোঁজার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসিত হন। তারা শিকাগোতে বসতি স্থাপন করে। যেখানে থমাস একটি ব্রাস ফিনিশার ও মেশিনিস্ট হিসেবে কাজ পেয়েছিলেন এবং তিনি গৃহীনি হিসাবে তাদের সন্তান থমাস এস এবং অ্যানির যত্ন নেন।[৩][১] ১৮৭৩ সালের আতঙ্কের সময়, টমাস মরগান পনের সপ্তাহের জন্য কাজের বাইরে ছিলেন।[৩] এসময় পরিবারটি দারিদ্র্য ও ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছিল। এই অভাব মরগানদের শ্রমিক কর্মী এবং সমাজবাদী হতে অনুপ্রাণিত করেছিল। এই দম্পতির সমতাভিত্তিক একটি সম্পর্ক ছিল, যা এলিজাবেথ মরগানের পক্ষে তার নিজের অধিকারে একজন শ্রমিক নেতা হওয়া সহজ করে দিয়েছিল।[২]

শ্রমিক সংগঠন[সম্পাদনা]

মরগান ১৮৭৪ সালে শ্রমিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্পের সার্বভৌমের একজন চার্টার সদস্য ছিলেন। তিনি ১৮৮১ সালে নাইটস অব লেবারের সদস্য এবং স্থানীয় পর্যায়ের ১৭৮৯ নং এর প্রধান কারিগর হন। তিনি শিকাগো ট্রেড অ্যান্ড লেবার অ্যাসেম্বলি, ট্রেড ইউনিয়ন অ্যাসোসিয়েশনে স্থানীয় ১৭৮৯ এর প্রতিনিধি ছিলেন।[৪] রালফ শারনাউ এর মতে, ১৮৮৮ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত মরগান শিকাগো শ্রমিক আন্দোলনের শীর্ষ নারী ছিলেন। ১৮৮৮ সালের জুনে তিনি লেডিস ফেডারেল লেবার ইউনিয়ন নং ২৭০৩ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন। তিনি ইউনিয়নের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং শিকাগো ট্রেড অ্যান্ড লেবার অ্যাসেম্বলিতে এর প্রতিনিধি ছিলেন। চার বছরে লেডিস ফেডারেল লেবার ইউনিয়ন মহিলাদের জন্য তেইশটি নতুন কারুশিল্প ইউনিয়ন শুরু করে, যা সবই আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার (এএফএল) কর্তৃক স্বীকৃত।[৩] ১৮৯৪ সালে তিনি এএফএল সম্মেলনে একমাত্র মহিলা প্রতিনিধি ছিলেন[১] এবং লেডিস ফেডারেল ইউনিয়ন নং ২৭০৩ এর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। সম্মেলনে তিনি প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে মনোনীত হন। প্রথম এএফএল পদে নির্বাচনে প্রথম মহিলা ছিলেন। যদিও মরগান ২২৬ থেকে ১৮৬৫ এর ভোটে হেরে গেছেন। তিনি যে সমর্থন পেয়েছিলেন তা দেখায় যে, এএফএল সদস্যরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরে রেখেছে।[৩]

ইলিনয় নারী জোট[সম্পাদনা]

১৮৮৮ সালে শিকাগো টাইমস শহরের চারপাশের ঘামের দোকান (যে কারখানায় নামমাত্র মজুরিতে শ্রমিকদের দিয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করানো হয়) এবং কারখানার "ভয়াবহ অবস্থা" নিয়ে বেশ কয়েকটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল। মরগান প্রবন্ধগুলি ব্যবহার করে মহিলা সমাজতান্ত্রিক দল, গৃহনির্মাণ শ্রমিক দল এবং ট্রেড ইউনিয়নবাদীদের একত্রিত করতে সক্ষম হন। পরবর্তীকালে এ জোটটি “ইলিনয় নারী জোট” প্রতিষ্ঠা করে। জোটের ঘোষিত মিশন ছিল "নারী ও শিশুদের নৈতিক, মানসিক ও শারীরিক অবক্ষয় রোধ করা ... জোট অন্যান্য মহিলা গোষ্ঠীর সাথে সহযোগিতা করেছিল এবং অভাবীশ্রেণীর সহযোগিতা বাড়িয়েছিল। মরগানের কাজ তাকে ফ্লোরেন্স কেলি ও মেরি কেনি ও'সুলিভানের পাশাপাশি কুক কাউন্টি ভোটাধিকার সমিতির সংস্পর্শে নিয়ে আসে।[১] ইলিনয় ওমেনস অ্যালায়েন্স নির্ধারণ করে যে, সাত থেকে চৌদ্দ বছর বয়সী ৫০,০০০ শিশু ঘামের দোকানে কাজ করে অথবা দিনের বেলা রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। এটি মোকাবেলা করার জন্য, জোট শিকাগো সিটি কাউন্সিল ও শিকাগো বোর্ড অফ এডুকেশনকে অতিরিক্ত ভ্রাম্যমান অফিসার নিয়োগ করতে বলে। সেই সাথে আরও স্কুল তৈরি করতে ও অভাবী শিশুদের স্কুলে যেতে সাহায্য করার জন্য তহবিল প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ দেয়। জোট স্কুলে প্রবেশের বয়স আট থেকে কমিয়ে ছয় বছর করতে এবং প্রতি সপ্তাহে স্কুলের ক্লাস সংখ্যা বাধ্যতামূলকভাবে বারো থেকে চল্লিশ করার জন্য জোর দেয়। ১৮৮৯ সালের ১ জুলাই, ইলিনয় সাধারণ পরিষদ একটি বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইনে ভোট দেয় যাতে স্কুলের বয়স কমিয়ে সাত করা হয় এবং স্কুলে ক্লাসে সংখ্যা সপ্তাহে ষোল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।[৩] ইলিনয় নারী জোট শিক্ষা সংস্কারের জন্য চাপ দিতে থাকে। পরবর্তীতে শিক্ষা বোর্ড অতিরিক্ত ভ্রাম্যমান কর্মকর্তা, তিনজন মহিলা এবং একজন পুরুষকে নিয়োগ করে। স্বাস্থ্য কমিশনার কর্তৃক পাঁচজন মহিলাকে কারখানা পরিদর্শক হিসাবে নিয়োগের পাশাপাশি আরও স্কুল নির্মাণের সফল প্রচারণার পেছনে জোট কাজ করে। জোট অভাবী শিশুদের জন্য একটি পোশাক ড্রাইভ স্পনসর করে এবং ফলে শিকাগো শিক্ষা বোর্ডে একটি মহিলা জোট পেতে সফল হয়।[৩]

সমাজকল্যাণ মূলক কাজ[সম্পাদনা]

এলেন এম রিটারের মতে, ১৮৯১ সাল অবধি মরগানের একটি দ্বন্দ্বমূলক শৈলী ছিল, যা সামাজিক সংস্কারের জন্য ধাক্কাধাক্কির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি সরকারী কর্মকর্তা, রাজ্য বিধানসভা, মেয়র, প্রধান খুচরা বিক্রেতা, পাদ্রী এবং বিচারকদের শিশুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য, ভয়ঙ্কর কাজের পরিস্থিতি ও স্কুল বোর্ড থেকে মহিলাদের বাদ দেওয়ার নিন্দা জানান। এ সময় “কারখানায় নামমাত্র মজুরিতে শ্রমিকদের দিয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করানোর ব্যবস্থা” ক্রমশ জমে উঠেছিল। সময়ের সাথে সাথে মরগান বুঝতে পেরেছিলেন যে, পরিবর্তন আনতে সরকারী কর্মকর্তাদের নিন্দা করা যথেষ্ট নয়।[২]

সোয়েটশপ[সম্পাদনা]

মরগান “শিকাগো ক্লকমেকারদের অভিযোগ” “শিকাগো ট্রেড এন্ড লেবার অ্যাসেম্বলির” নজরে আনেন এবং সোয়েটশপ চর্চা সংস্কারের পক্ষে মত দেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, অ্যাসেম্বলি মর্গান ও অন্য দুজনকে “শিকাগো ক্লকমেকারদের” অপমানজনক চর্চা তদন্ত করতে এবং শ্রমিকদের সাথে অপব্যবহারের উপর নবগঠিত কমিটির অধীনে রিপোর্ট করার জন্য নিযুক্ত করে। মরগান এ প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন এবং নবগঠিত কমিটি ১৮৯১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর “দ্য নিউ স্লেভারি: ইনভেস্টিগেশন ইন দ্য সোয়েটিং সিস্টেম” প্রতিবেদনে সেই অমানবিক অবস্থার বর্ণনা দেয়, যেখানে নারী ও শিশুরা দশ থেকে চৌদ্দ ঘণ্টা কাজ করেছিল। এতে সোয়েটশপ শ্রমিকদের কম মজুরির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। মরগান তার মুখোমুখি শৈলী সংশোধন করে কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ নিতে রাজি করার জন্য প্রমাণ ও পরিসংখ্যান ব্যবহার করেন। শিকাগো ট্রেড অ্যান্ড লেবার অ্যাসেম্বলি দ্য নিউ স্লেভারির ১০,০০০ কপি ছাপিয়ে বিতরণ করে।[১] প্রতিবেদনটি শক্তিশালী ছিল এবং ১৮৯২ সালের ৫ এপ্রিল মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটির সামনে মরগান সোয়েটশপের অভ্যাসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। মরগান তার রিপোর্ট, সাক্ষ্য ও আইন ব্যবহার করে আইন প্রণেতাদের শ্রম আইন উন্নত করতে, সরকারী কর্মকর্তাদের বিদ্যমান আইন প্রয়োগের জন্য রাজি করাতে এবং মধ্যশ্রেনিকে ঘামানো সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্ররোচিত করতে কাজ করেন।[২] ১৮৯৩ সালের জুন মাসে, কারখানা ও কর্মশালা পরিদর্শন আইন (যা সোয়েটশপ আইন নামেও পরিচিত) ইলিনয় সাধারণ পরিষদ দ্বারা পাস করা হয়েছিল। এটি প্রগতিশীল গভর্নর জন পিটার অল্টগেল্ডের সহায়তায় পাস হয়, যা মরগান এবং ফ্লোরেন্স কেলির কাজের ফলাফল ছিল। সোয়েটশপ আইনের ধারা পাঁচটিতে নিয়োগকর্তারা নারী কর্মচারীদের প্রতিদিন আট ঘণ্টার বেশি ও সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করতে নিষেধ করেন। এর পরপরই এই আইনের চ্যালেঞ্জের উদ্দেশ্যে দ্য ইলিনয় ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠন করা হয়েছিল। বিশেষ করে পাঁচটি ধারা অ্যাসোসিয়েশন মামলাগুলির পৃষ্ঠপোষকতা করে এবং ১৫ই মার্চ, ১৮৯৫ সালে উইলিয়াম-ই-রিচি ভি দ্য পিপল বিষয়ে মামলাটির রায়ে ইলিনয় সুপ্রিম কোর্ট বলে যে, আইনের পাঁচটি ধারা অসাংবিধানিক।[৩]

গণ প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

ইলিনয় ওমেনস অ্যালায়েন্সের সাথে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে মরগান শিকাগো সিটি কাউন্সিলকে ২৫,০০০ ডলার ব্যয়ে বিনামূল্যে জনসাধারণের স্নানের জন্য বাথরুম তৈরী করতে রাজি করান। শিকাগো ট্রেড অ্যান্ড লেবার অ্যাসেম্বলির কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি ইলিনয়ের জোলিয়েটের একটি পেন্টিটেনিয়ারিতে কারাগারের শ্রম অনুশীলনগুলি তদন্ত করেছিলেন। তিনি প্রদেশের দরিদ্র বাড়ি, আশ্রয় কেন্দ্র ও হাসপাতালসহ অনেক পাবলিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। তিনি শিকাগো এরিয়া পুলিশ কর্তৃক হয়রানির অভিযোগ এবং নাগরিকদের সাথে দুর্ব্যবহারের তদন্তও করেছিলেন।[১]

পরর্বতী কার্যক্রম[সম্পাদনা]

১৮৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ইলিনয় ওমেনস অ্যালায়েন্সে শ্রমিকশ্রেণী ও মধ্যশ্রেনি প্রতিনিধিদের মধ্যে ফাটল দেখা দেয়। রালফ শারনাউ এর মতে, মরগান ও শ্রমিক শ্রেণীর প্রতিনিধিরা নির্ধারিত অতিরিক্ত বেতন পরিদর্শক, ধর্মঘট এবং রাজনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে সিস্টেমটি ঠিক করতে চেয়েছিল। অপরদিকে মধ্যশ্রেনির প্রতিনিধিরা দাতব্য কাজের উপর নির্ভর করতে চেয়েছিলেন। ফলে তাদের মাঝে ধর্মঘটগুলি "খুব দ্বন্দ্বমূলক" হয়েছিলে। ১৮৯৩ এর আতঙ্কের সংমিশ্রণ, ১৮৯৪ সালের পুলম্যান স্ট্রাইক এবং জোটের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ইলিনয় মহিলা জোট আলাদা হয়ে যায়। মর্গান জোটের জায়গা নেওয়ার জন্য একটি নতুন জোট গঠনের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি শিকাগোর কর্মী সম্প্রদায়ের ট্রেড ইউনিয়নবাদী ও সমাজতন্ত্রীদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি।[১] মরগান আইন পড়া শুরু করেন, যখন তার স্বামী ১৮৯৩ সালে শিকাগো কলেজ অফ ল-তে আইন পড়া শুরু করেন। তিনি ১৮৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে একটি আইন অফিস খুলেছিলেন। তিনি অফিসে বুক কিপার, সচিব এবং নোটারি হিসাবে কাজ করেছিলেন। পনেরো বছরেরও বেশি সময় ধরে মরগান তার আইন অনুশীলন ব্যবহার করে শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং সমাজতন্ত্রের উন্নয়নে কাজ করেন। ১৯১০ এর দশকের গোড়ার দিকে এই দম্পতি অবসর নেয় এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১৯১২ সালের ১০ ডিসেম্বর তাদের সান দিয়েগোগামী ট্রেনটি অ্যারিজোনার উইলিয়ামস -এ আক্রান্ত হয় এবং থমাস মরগানকে হত্যা করে। তবে এলিজাবেথ মরগান, তার মেয়ে অ্যানি এবং অ্যানির সন্তানরা গুরুতর আহত হয়নি।[১]

মরগান সান দিয়েগোর বাইরে বসতি স্থাপন করেছিলেন, যেখানে তিনি ১৯৪৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারিতে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Schultz, Rima Lunin; Hast, Adele; Paul Avrich Collection (Library of Congress) (২০০১)। Women building Chicago, 1790-1990: a biographical dictionary (English ভাষায়)। আইএসবিএন 978-0-253-33852-5ওসিএলসি 44573291 
  2. Ritter, Ellen M. (১৯৭১-১২-০১)। "Elizabeth Morgan: Pioneer female labor agitator"Central States Speech Journal22 (4): 242–251। আইএসএসএন 0008-9575ডিওআই:10.1080/10510977109363079 
  3. Scharnau, Ralph (১৯৭৩-০৬-০১)। "Elizabeth Morgan, crusader for labor reform"Labor History14 (3): 340–351। আইএসএসএন 0023-656Xডিওআই:10.1080/00236567308584254 
  4. Gompers, Samuel (১৯৮৬)। The Samuel Gompers Papers: The Early Years of the American Federation of Labor, 1887-90 (ইংরেজি ভাষায়)। University of Illinois Press। আইএসবিএন 978-0-252-01350-8 

বহিঃ সংযোগ[সম্পাদনা]