সেদিক দৌলতাবাদী
সেদিক দৌলতাবাদী | |
---|---|
صدیقه دولتآبادی | |
জন্ম | ১৮৮২ ইসফাহান, ইরান |
মৃত্যু | ৩০ জুলাই ১৯৬১ তেহরান, ইরান |
সেদিক দৌলতাবাদী (ফার্সি: صدیقه دولتآبادی ; ১৮৮২, ইসফাহানে – ৩০ জুলাই, ১৯৬১ তেহরানে ) একজন ইরানি নারীবাদী কর্মী ও সাংবাদিক এবং ফার্সি নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন।
জীবনের প্রথমার্ধ
[সম্পাদনা]সেদিক ১৮৮২ সালে ইসফাহানে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতার নাম হাদি দোলতাবাদী এবং মাতার নাম খাতামে বেগম।[২] তার বাবা একজন প্রগতিশীল ধর্মীয় আইনবিদ ছিলেন এবং তাকে তেহরানে ফার্সি ও আরবি ভাষায় তার শিক্ষা শুরু করার অনুমতি দিয়েছিলেন। [১] এরপর তিনি দার-ওল-ফনউন একাডেমিতে মাধ্যমিক শিক্ষা চালিয়ে যান।[১] ১৫ বছর বয়সে, তিনি এতেজাদ আল-হাকমাকে বিবাহ করেছিলেন, কিন্তু তার বন্ধ্যাত্বের কারণে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল।[৩]
সেদিককে তার ক্রিয়াকলাপের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এমন একটি অনুষ্ঠানে, তিনি উত্তর দিয়েছিলেন:
স্যার, আমি একশ বছর দেরিতে জন্মগ্রহণ করেছি, যদি আমি আগে জন্মগ্রহণ করতাম, তাহলে আমি নারীদের এত অপমানিত হতে দিতাম না এবং আপনার শৃঙ্খলে আটকে থাকতে পারতাম না।[৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সেদিক বিশ্বাস করতেন যে নারীদের উন্নতির একমাত্র পথ হল শিক্ষা।[৪] তিনি ১৯১৭ সালের প্রথম মেয়েদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির একটি প্রতিষ্ঠা করেন, যার নাম উম্মে আল-মাদারিস (মাদার অব স্কুল)।[৩] ধর্মীয় রক্ষণশীলদের আপত্তির পর বিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ফলস্বরূপ সেদিককে মারধর করা হয় এবং তিন মাসের জন্য আটকে রাখা হয়।[৫]
তিনি স্বীকার করেছিলেন যে মহিলাদের শিক্ষিত হওয়ার জন্য সংবাদ ও নিবন্ধ প্রয়োজন, যা তাদের সমস্যা ও উদ্বেগের সমাধান করতে সক্ষম। এর ফলে তিনি ১১৯১৯ সালে ইসফাহানে জাবান-ই-জনান নামে প্রথম মহিলা গেজেট প্রতিষ্ঠা করেন।[৬] এটি ইরানে প্রকাশিত তৃতীয় মহিলা সংবাদপত্র ছিল এবং ১৯২১ সাল পর্যন্ত ৫ টি সংখ্যা প্রকাশিত করে। [৬] এটি তার প্রগতিশীল অবস্থান এবং নারীর অধিকার সম্পর্কিত প্রবন্ধের স্পষ্টভাষী প্রকৃতির জন্য উল্লেখযোগ্য ছিল। [৬] তার প্রথম সম্পাদকীয়তে তিনি উচ্চারন করেছিলেন যে কাগজটি শহরের মহিলাদের অধিকারের "পশ্চাদপদতা এবং দুর্বল মানসিকতা" কে চ্যালেঞ্জ করতে চেয়েছিল।[৭] তিনি এই সময়ে ইসফাহানের মহিলা সমিতিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[৮]
উত্তরাধিকার
[সম্পাদনা]সেদিকের কিছু আর্কাইভ আমস্টারডামের ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন ফর সোশ্যাল রিসার্চে রাখা আছে।[৯] এই আর্কাইভের কিছু অংশ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নারী আন্দোলনের পটভূমিতে প্রদর্শিত হয়েছিল।[৯]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "Iranian Personalities: Sediqeh Dowlatabadi"। www.iranchamber.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৪।
- ↑ "شبکه بین المللی همبستگی با مبارزات زنان ايران"। www.iran-women-solidarity.net। ২০২২-১১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৪।
- ↑ ক খ গ "THE UNIQUE SEDIQEH DOWLATABADI"। SUBSTANCE MAGAZINE (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Monshipouri, Mahmood (২০০৬)। "Review of Religion and Politics in Modern Iran: A Reader": 271–273। আইএসএসএন 0026-3184। জেস্টোর 23062905। ডিওআই:10.1017/S002631840005015X।
- ↑ Moghissi, Haideh (২০০৮-০৪-০১)। "Islamic Cultural Nationalism and Gender Politics in Iran": 541–554। আইএসএসএন 0143-6597। ডিওআই:10.1080/01436590801931504।
- ↑ ক খ গ "ZABĀN-E ZANĀN – Encyclopaedia Iranica"। www.iranicaonline.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৪।
- ↑ Childress, Diana (২০১১-০১-০১)। Equal Rights Is Our Minimum Demand: The Women's Rights Movement in Iran 25 (ইংরেজি ভাষায়)। Twenty-First Century Books। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 978-0-7613-5770-4।
- ↑ Afary, Janet (২০০৯-০৪-০৯)। Sexual Politics in Modern Iran (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-1-107-39435-3।
- ↑ ক খ PDN (৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Persian Feminism Exhibition in Amsterdam | نمایشگاهی از پیشینه جنبش زنان ایران در آمستردام | Persian Dutch Network | شبکه ایرانیان هلند" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৫।