ক্রিস্টিয়ান ডপলার
ক্রিস্টিয়ান ডপলার | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৭ মার্চ ১৮৫৩ ভেনিস, লোম্বার্দিয়া-ভেনেৎসিয়া রাজ্য, অস্ট্রীয় সাম্রাজ্য | (বয়স ৪৯)
জাতীয়তা | অস্ট্রীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | সাম্রাজ্যিক-রাজকীয় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাগ পলিটেকনিক |
পরিচিতির কারণ | ডপলার ক্রিয়া |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | প্রাগ পলিটেকনিক খনন ও বন অ্যাকাডেমি ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় |
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী | গ্রেগর মেন্ডেল |
ক্রিস্টিয়ান ডপলার (/ˈdɒplər/ (জার্মান: [ˈdɔplɐ]; ২৯ নভেম্বর ১৮০৩ – ১৭ মার্চ ১৮৫৩)[১] একজন অস্ট্রীয় গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী। [২] তিনি ১৮০৩ সালে অস্ট্রিয়ার জালৎসবুর্গ নগরীতে একটি ধনাঢ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভিয়েনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গণিতশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তিনি পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করেন। উচ্চশিক্ষায়তনে স্থায়ী চাকরি নিশ্চিত করার পেছনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার উপরে ধৈর্য হারিয়ে তিনি প্রায় উচ্চশিক্ষায়তন ছেড়ে দিয়েছিলেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হতে উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি প্রাগে গণিতের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান। ১৮৩৮ সালে তিনি প্রাগ পলিটেকনিকে অধ্যাপক হিসেবে চাকরি পান। সেখানে কাজ করার সময় তিনি বহুসংখ্যক গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। এদের মধ্যে নক্ষত্রের বর্ণের উপরে একটি বিখ্যাত গবেষণাপত্র ও একটি ঘটনার জন্য তিনি স্মরণীয়, যার নাম দেওয়া হয় ডপলার ক্রিয়া। ১৮৪২ সালে প্রকাশিত বিখ্যাত গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ছিল উ্যবার ডাস ফাব্রিগে লিখ্ট ডের ডপ্পেলষ্টের্নে (Über das fabrige Licht der Doppelsterne, "যুগ্মনক্ষত্রসমূহের বর্ণিল আলো সম্পর্কে")। ডপলার ক্রিয়া অনুসারে কোনও তরঙ্গের পর্যবেক্ষণকৃত কম্পাঙ্ক উৎস ও পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক দ্রুতির উপরে নির্ভরশীল। ডপলার এই ধারণাটি ব্যবহার করে যুগ্মনক্ষত্রগুলির বর্ণের ব্যাখ্যা প্রদান করেন। ১৮৪৯ সালে খ্যাতির সুবাদে তিনি ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ লাভ করেন। জীবনের বেশিরভাগ সময় ধরেই নাজুক স্বাস্থ্যের অধিকারী ডপলারের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং ১৮৫৩ সালে মাত্র ৫০ বছর বয়সে একটি বক্ষ সংক্রমণের কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Whonamedit – dictionary of medical eponyms"। www.whonamedit.com।
- ↑ "Christian Doppler | Austrian physicist | Britannica"। www.britannica.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১০।