জহুরুল করিম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডক্টর
জহুরুল করিম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব
কাজের মেয়াদ
১১- জানুয়ারি ২০০১ – ২৬ অক্টোবর ২০০২
পূর্বসূরীসৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ
উত্তরসূরীআবদুল হক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৫ আগস্ট ১৯৪৮
ছোট হরন গ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পেশাবিজ্ঞানী ও সরকারি কর্মকর্তা

ড. জহুরুল করিম একজন বাংলাদেশি প্রখ্যাত কৃষিবিদ ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও পরবর্তীতে সরকারি আমলা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ, তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।[১]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

জহুরুল করিম ১৫ আগস্ট ১৯৪৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছোট হরন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২]

শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

অন্নদা স্কুল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে পড়াশুনা শেষে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও এম এস সি সম্পন্ন করেন তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ১৯৬৮ সালে বিএসসি (এজি) ১ম স্থান অর্জন করেন ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে এমএসসি (এগ্রোনমি)তে ১ম স্থান অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের রেডিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

. জহুরুল করিম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ব্রি’তে ২৪/০১/১৯৯৬ থেকে ০৮/০১/১৯৯৭ পর্যন্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া, তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং মৎস ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সময়ে চাকুরিতে নিয়োজিত ছিলেন। ড. জহুরুল করিমকে ০২/০১/১৯৯৭ তারিখে ব্রি’র মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বার্ক) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে বদলী করা হয়। তিনি ১১ জানুয়ারি ২০০১ সাল থেকে ২৬ অক্টোবর ২০০২ সাল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]

তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থার সাথে ওতপ্রেত ভাবে জড়িত। দেশে তিনি বিজ্ঞানীদের সর্বোচ্চ সংস্থা 'বাংলাদেশ একাডেমী অফ সাইন্স' এর ফেলো পদে নির্বাচিত এবং সংস্থাটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া একজন বিজ্ঞানী হিসাবে বৈশ্বিক যোগ্যতার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি 'দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সেস' এর একজন ফেলো হিসাবেও নির্বাচিত।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

কর্মক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য তিনি একাধিক জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত। তার মধ্যে অন্যতম, পরিবেশ বিষয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্তি। তাছড়া কৃষি গবেষণায় দীর্ঘদিনের অবদান স্বরূপ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক পুরস্কার লাভ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]