জহুরুল করিম
ডক্টর জহুরুল করিম | |
---|---|
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব | |
কাজের মেয়াদ ১১- জানুয়ারি ২০০১ – ২৬ অক্টোবর ২০০২ | |
পূর্বসূরী | সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ |
উত্তরসূরী | আবদুল হক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৫ আগস্ট ১৯৪৮ ছোট হরন গ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া |
পেশা | বিজ্ঞানী ও সরকারি কর্মকর্তা |
ড. জহুরুল করিম একজন বাংলাদেশি প্রখ্যাত কৃষিবিদ ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও পরবর্তীতে সরকারি আমলা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ, তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।[১]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]জহুরুল করিম ১৫ আগস্ট ১৯৪৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছোট হরন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২]
শিক্ষা জীবন
[সম্পাদনা]অন্নদা স্কুল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে পড়াশুনা শেষে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও এম এস সি সম্পন্ন করেন। তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ১৯৬৮ সালে বিএসসি (এজি) ১ম স্থান অর্জন করেন ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে এমএসসি (এগ্রোনমি)তে ১ম স্থান অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের রেডিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]ড. জহুরুল করিম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ব্রি’তে ২৪/০১/১৯৯৬ থেকে ০৮/০১/১৯৯৭ পর্যন্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া, তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং মৎস ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সময়ে চাকুরিতে নিয়োজিত ছিলেন। ড. জহুরুল করিমকে ০২/০১/১৯৯৭ তারিখে ব্রি’র মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বার্ক) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে বদলী করা হয়। তিনি ১১ জানুয়ারি ২০০১ সাল থেকে ২৬ অক্টোবর ২০০২ সাল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]
তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থার সাথে ওতপ্রেত ভাবে জড়িত। দেশে তিনি বিজ্ঞানীদের সর্বোচ্চ সংস্থা 'বাংলাদেশ একাডেমী অফ সাইন্স' এর ফেলো পদে নির্বাচিত এবং সংস্থাটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া একজন বিজ্ঞানী হিসাবে বৈশ্বিক যোগ্যতার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি 'দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সেস' এর একজন ফেলো হিসাবেও নির্বাচিত।
পুরস্কার
[সম্পাদনা]কর্মক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য তিনি একাধিক জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত। তার মধ্যে অন্যতম, পরিবেশ বিষয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্তি। তাছড়া কৃষি গবেষণায় দীর্ঘদিনের অবদান স্বরূপ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক পুরস্কার লাভ করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ঃ সাবেক সচিবগণের তালিকা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৬ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ "ডঃ-মোঃ-জহিরুল-করিম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৩।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |