এমিল কোন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এমিল কোন
এমিল জর্জ কোন
জন্ম(১৮৫৪-০৮-২৮)২৮ আগস্ট ১৮৫৪
মৃত্যু২৮ জানুয়ারি ১৯৪৪(1944-01-28) (বয়স ৮৯)
রিংজেনবার্গ, সুইজারল্যান্ড
মাতৃশিক্ষায়তনস্ট্র্যাসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণতাত্ত্বিক তড়িচ্চুম্বকত্ব
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
ডক্টরাল উপদেষ্টাআগস্ট কুন্ড

এমিল জর্জ কোন (২৮ সেপ্টেম্বর ১৮৫৪ – ২৮ জানুয়ারি ১৯৪৪) একজন জার্মান পদার্থবিদ ছিলেন।


জীবন[সম্পাদনা]

কোনের ম্যাকলেনবার্গের নিউস্ট্রেলিসে ১৮৫৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা আগস্ট কোন একজন আইনজীবী এবং তার মাতার নাম শার্লোট কোন। কোন ১৭ বছর বয়সে লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্র নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। তবে তিনি হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্ট্র্যাসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। স্ট্র্যাসবার্গে তিনি ১৮৭৯ সালে স্নাতক সম্মান অর্জন করেন। ১৮৮১ থেকে ১৮৮৪ পর্যন্ত তিনি পদার্থবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানে আগস্ট কুন্ডের সহকারী ছিলেন। ১৮৮৪ সালে তিনি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে প্রাণবন্ত হন এবং একজন প্রাইভেট লেকচারার হিসাবে যুক্ত হন। ১৮৮৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত তিনি স্ট্র্যাসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদের সদস্য ছিলেন এবং ১৮৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সহকারী অধ্যাপক হিসাবে মনোনীত হন। তিনি প্রথমে পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করলেও পরে সম্পূর্ণ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের দিকে ঝুঁকেছিলেন। ১৯১৮ সালে তিনি অসাধারণ অধ্যাপক হিসাবে মনোনীত হন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এবং ফ্রান্স কর্তৃক আলসেস-লোরেন দখলের পরে কোন এবং তার পরিবারকে ১৯১৮ সালের বড়দিনের প্রাক্কালে স্ট্র্যাসবার্গ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ১৯১৯ সালের এপ্রিলে তিনি রোস্টক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসাবে মনোনীত হন। ১৯২০ সালের জুন থেকে তিনি ফ্রাইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বক্তৃতা দিতেন। ১৯৩৫ সালে তিনি হাইডেলবার্গে অবসর নিয়েছিলেন যেখানে তিনি ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত বসবাস করেছিলেন। তিনি নাৎসি সরকারের স্বৈরাচারের প্রতিবাদে রিচার্ড গ্যানস, লিও গ্রাটিজ, জর্জ জাফি, ওয়াল্টার কফম্যানের মতো অন্যান্য পদার্থবিদদের সাথে ডাচ ফিজিকালিশ গেসেলশ্যাফ্ট (ডিপিজি) থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

কোন একজন বাপ্তাইজিত প্রোটেস্ট্যান্ট ছিলেন এবং মেরি গোল্ডশ্মিড্টের (১৮৬৪-১৯৫০) সাথে তাঁর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যার সাথে তার দুটি কন্যা সন্তান রেয়েছে। ইহুদি বংশোদ্ভূত হওয়ায় তিনি নাৎসি সরকারের অধীনে চাপের কারণে সুইজারল্যান্ডে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি প্রথমে হাসিলবার্গ-হফলুহ এবং ১৯৪২ সাল থেকে সুইজারল্যান্ডের রিংজেনবার্গে বসবাস করেছিলেন, যেখানে তিনি ৯০ বছর বয়সে মারা যান।

কোনের ছোট ভাই কার্ল কোন (১৮৫৭–১৯৩১) হামবুর্গের একজন সফল বণিক ছিলেন, যিনি ১৯১২ সাল থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত হামবুর্গের সিনেটর হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। [১]

কাজ[সম্পাদনা]

বিশ শতকের শুরুর দিকে কোন তাত্ত্বিক তড়িচ্চুম্বকত্বের অন্যতম সম্মানিত বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তিনি গতিশীল বস্তুর জন্য তড়িচ্চুম্বকত্বের লোরেন্টজিয়ান তত্ত্বের সাথে অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং একটি স্বাধীন তত্ত্বের প্রস্তাব করেছিলেন। তাঁর বিকল্প তত্ত্ব ম্যাক্সওয়েলের ক্ষেত্র-সমীকরণগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল যা ১৮৮৭ সালের মাইকেলসন –মর্লির পরীক্ষা (এমএমএক্স) সহ তৎকালীন সময়ে (১৯০০-১৯০৪) পরিচিত তড়িচ্চুম্বক এবং আলোক সম্পর্কিত সমস্ত প্রাসঙ্গিক পরীক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। কোনের গতিশীল বস্তুর তড়িচ্চুম্বকত্বের ধারণাটি এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল যে আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে একটি ধ্রুব বেগ নিয়ে ভ্রমণ করে। তবে তার তত্ত্বটিতে অভ্যন্তরীণ ত্রুটি রয়েছে। তত্ত্বটি অনুযায়ী বায়ুর অভ্যন্তরে এমএমএক্সের ঋণাত্মক ফলাফল ধারণা করা গেলেও শূন্য মাধ্যমে ধনাত্মক ফলাফল আশা করা যায়। তত্ত্বটির দুর্বলতার আরেকটি কারণ হলো, তার ধারণাটি পরমাণু এবং ইলেকট্রন ব্যবহার না করেই তৈরি হয়েছিল। সুতরাং ১৯০৫-এর পরে তাঁর তত্ত্বটি হেনড্রিক লরেঞ্জ এবং অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কর্তৃক বর্জিত হয়েছিল। [২][৩][৪][৫]

তার নিজস্ব তত্ত্ব অনুযায়ী (১৯০০ এবং ১৯০১ সালে বিকাশিত) ইথারের ধারণাটি নির্মূল (পরমাণুর ধারণা সহ) করার জন্য অর্থনীতির মূলনীতি ব্যবহার করেছিলেন এবং যুক্তি দিয়েছিলেন যে একে কেবল শূন্য মাধ্যমও বলা যেতে পারে। তিনি আরও জানালেন যে, কেউ এমন প্রসঙ্গ কাঠামোও ব্যবহার করতে পারেন যেখানে স্থায়ী তারাগুলি স্থির রয়েছে। একটি তাত্ত্বিক ধারণা হিসাবে "ইথারকে" একটি উপাদান হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে, তবে কোনের মতে এটি কেবল রূপক হবে এবং তার তত্ত্বের পরিণতিগুলিকে প্রভাবিত করবে না। [৬] তিনি ১৮৫৯ সালে লোরেঞ্জের প্রবর্তিত রূপান্তর সমীকরণ x'= x-vt এবং t' = t-vx / c² তার তত্ত্বে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং এগুলোকে "লরেঞ্জীয় রূপান্তর" নামে সম্বোধন করেছিলেন ( জার্মান: Lorentz'sche Transformation )। [৭] ১৯০৫ সালে এই নামটি (v/c এর সমস্ত যুক্তিসিদ্ধ রূপান্তরের জন্য) অঁরি পোয়াঁকারে সাধারণভাবে ব্যবহৃত অভিব্যক্তি "লরেঞ্জ রূপান্তর" এ পরিবর্তন করেছিলেন।

১৯০৪ সালে তিনি তাঁর তত্ত্বটি ১৯০৪ সালের লরেঞ্জের পরিপক্ব তত্ত্বের সাথে তুলনা করে লরেঞ্জ রূপান্তরটির ভৌত ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যা পরে ১৯০৫ সালে আলবার্ট আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতার সুত্রে ব্যবহৃত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, স্থানীয় সময়কে এই ধারণার ফলস্বরূপ বর্ণনা করেছিলেন যে আলো সমস্ত দিক দিয়ে অবিচ্ছিন্ন বেগ সহকারে গোলাকার তরঙ্গ হিসেবে সঞ্চালিত হয় (পোয়াঁকারে ইতিমধ্যে ১৯০০ সালে অনুরূপ সংজ্ঞা দিয়েছিলেন)।

Everywhere, where the propagation of radiation is not the object of measurement, we define identical moments of time at different points of Earth's surface, by treating the propagation of light as timeless. In optics, however, we define these identical moments of time by assuming, that the propagation takes place in spherical waves for every relatively resting and isotropic medium. This means: the "time" which actually serves us for the representation of terrestrial processes, is the "local time" , for which the equations I'b to IVb hold, – not the "general time" .[৮]

— এমিল কোন, ১৯০৪

চলন্ত রড এবং ঘড়ি ব্যবহার করে দৈর্ঘ্য সংকোচনসময় প্রসারনের প্রভাবও তিনি চিত্রিত করেছিলেন।

are those measuring numbers being read at an "initially correct" measuring-rod (initially = when at rest), after it was introduced into the system and was accordingly deformed. [...] are those time intervals indicated by an "initially correctly ticking" clock, after it was inserted into the system and accordingly has changed its rate.[৯]

— এমিল কোন, ১৯০৪

তিনি সমালোচনা করে বলেছিলেন যে লরেঞ্জ তত্ত্বের "পরম সময়" এবং "স্থানীয় সময়" এর মধ্যে পার্থক্য কৃত্রিম, কারণ এটি পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা যায় না। তবে কোন নিজেই বিশ্বাস করেছিলেন যে লরেঞ্জের তত্ত্বের বৈধতা কেবল আলোক সম্পর্কিত ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ, অন্যদিকে তাঁর তত্ত্ব অনুযায়ী যান্ত্রিক ঘড়িগুলির পক্ষে "পরম" সময়কে নির্দেশ করা সম্ভব। [১০][১১] পরবর্তীতে ১৯১১ সালে (তার তত্ত্বটি বর্জিত হওয়ার পরে) কোন "লরেঞ্জ এবং আইনস্টাইন" এর আপেক্ষিকতা নীতি গ্রহণ করেছিলেন এবং বিশেষ আপেক্ষিকতার উপর একটি সংক্ষিপ্তসার লিখেছিলেন, যা আইনস্টাইন কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছিল। [১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Fritz Emde (১৯৪৭)। "Nachruf auf Emil Cohn": 81–83। 
  2. Darrigol, O., Olivier (১৯৯৫)। "Emil Cohn's electrodynamics of moving bodies": 908–915। ডিওআই:10.1119/1.18032 
  3. Darrigol, Olivier (২০০০)। Electrodynamics from Ampére to Einstein। Clarendon Press। আইএসবিএন 0-19-850594-9 
  4. Janssen, M.; Stachel, J. (২০০৪)। "The Optics and Electrodynamics of Moving Bodies" (পিডিএফ) 
  5. Miller, A.I. (১৯৮১)। Albert Einstein's special theory of relativity. Emergence (1905) and early interpretation (1905–1911)। 191-182। Addison–Wesleyআইএসবিএন 0-201-04679-2 
  6. Cohn, 1901, pp. 98-99.
  7. Cohn, 1900, p. 519.
  8. Cohn, 1904 II, p. 1408.
  9. Cohn, 1904 I, p. 1299.
  10. Darrigol (2000), p. 368
  11. Janssen/Stachel (2004), pp. 31-32
  12. Miller (1981), p. 182

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

  • Cohn, E. (১৯০৪)। "Zur Elektrodynamik bewegter Systeme II": 1404–1416।  অজানা প্যারামিটার |শিরোনাম-সংযোগ= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)