ইসরায়েল-সুদান সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইসরায়েল-সুদান সম্পর্ক
মানচিত্র Israel এবং Sudan অবস্থান নির্দেশ করছে

ইসরায়েল

সুদান

ইজরায়েল এবং সুদানের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নেই, কিন্তু ইসরায়েলের আঞ্চলিক সহযোগিতা মন্ত্রী আইয়ুব কারার মতে, তারা গোপন সম্পর্ক বজায় রাখছে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সুদান আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৪৮ সালের আরব-ইজরায়েলি যুদ্ধ এবং ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে, যদিও এটি সুয়েজ সংকটে অংশগ্রহণ করেনি। ১৯৫০-এর দশকের প্রথম দিকে, তদকালীন পরাধীন সুদানের সাথে ইজরায়েলের সাথে সক্রিয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল।[২]

সুদান ইওম কিপপুর যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেনি, কারণ সুদানের সেনারা অংশগ্রহণ করতে অনেক দেরি করে ফেলেছিল। ইজরায়েল প্রথমদ্বিতীয় সুদানীয় গৃহযুদ্ধে সুদানের সরকারের সাথে লড়াই করা খ্রিস্টান মিলিশিয়াদের সমর্থন করে।

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম ঘান্দোর বলেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তারা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে।[৩] সুদানের রাষ্ট্রপতি ওমর আল-বশির সৌদি সংবাদপত্র ওকাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "ইজরায়েল যদি সিরিয়া জয় করত, তাহলে সেই মুহূর্তে সেখানে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হত, তা এই মুহূর্তের ধ্বংসযজ্ঞের চেয়ে বেশি হত না, এখন পর্যন্ত নিহত দের সংখ্যাকে টেনে নিয়ে বৃদ্ধি করত না এবং এখন যেভাবে তাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে সেভাবে বহিষ্কার করা হতো না।"[৪]

কোভিড-১৯ -এ আক্রান্ত একজন কূটনীতিবিদকে বাঁচানোর জন্য ইজরায়েল সুদানে চিকিৎসক এবং সরঞ্জাম বিমানযোগে প্রেরণ করে।[৫]

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুতে জানা যায় যে ইজরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ করেছে এবং এর পূর্বের বছর আরব-আফ্রিকার দেশগুলোর সাথে ইরানের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হবার পর সুদানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করেছে, এগুলো সবই সুদান এবং ইসরায়েলের মধ্যে একটি গোপন জোট নিশ্চিত করে।[৬] কারা পরে বিয়ারশেবাতে এক অনুষ্ঠানে জানান যে তিনি সুদানের অনেক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন এবং তিনি অস্বীকার করেননি যে সুদানের একজন কর্মকর্তা সম্প্রতি ইজরায়েল সফরে এসেছেন।[৭] ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সুদানের সভারেইনটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান উগান্ডায় মিলিত হন, যেখানে তারা উভয়েই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হন।[৮] ঐ মাসের শেষের দিকে ইজরায়েলি বিমান সুদানের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।[৯]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. i24News (২৫ জানুয়ারি ২০১৬)। "01/24: Kara: Israel has ties with Saudi Arabia, Sudan, Oman, UAE, etc..." – YouTube-এর মাধ্যমে। 
  2. Gabriel R. Warburg: The Sudan and Israel – An Episode in Bilateral Relations, in: Middle Eastern Studies, Vol. 28, No. 2 (April 1992), pp. 385–396.
  3. Sudan said willing to consider normalizing ties with Israel Times of Israel
  4. "Will Israel revive its relationship with Khartoum?"। ১৭ মার্চ ২০১৬। 
  5. https://www.timesofisrael.com/tv-israel-sent-doctors-to-sudan-in-bid-to-save-diplomat-behind-secret-ties
  6. Ravid, Barak (৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Israel Urges U.S., Europe to Bolster Ties With Sudan, Citing Apparent Split With Iran" – Haaretz-এর মাধ্যমে। 
  7. "معاريف: مسؤول سوداني زار تل أبيب.. ووزير إسرائيلي: 'لا تورطوني'"صدى البلد। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। 
  8. Landau, Noa (৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Netanyahu, Sudanese Leader Meet in Uganda, Agree to Start Normalizing Ties" – Haaretz-এর মাধ্যমে। 
  9. "Netanyahu says Israeli planes have started overflying Sudan"Reuters। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০।