জয়া অরুণাচলম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জয়া অরুণাচালাম
প্রতিষ্ঠাতা, ওয়ার্কিং উইমেন'স ফোরাম
উত্তরসূরীনন্দিনী আজাদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম৮ই ফেব্রুয়ারি ১৯৩৫
তামিল নাড়ু, ভারত
মৃত্যু২৯শে জুন ২০১৯
চেন্নাই, তামিল নাড়ু, ভারত
পুরস্কারপদ্মশ্রী, স্ত্রীশক্তি পুরস্কর

জয়া অরুণাচলম (৮ই ফেব্রুয়ারি ১৯৩৫-২৯শে জুন ২০১৯) একজন ভারতীয় সমাজকর্মী ছিলেন, যিনি প্রান্তিক নারীদের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যে অবস্থিত একটি বেসরকারী সংস্থা ওয়ার্কিং উইমেন'স ফোরাম-এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[১] ১৯৭৮ সালে, তিনি দরিদ্র শ্রমজীবী মহিলাদের সংগঠিত করার জন্য ফোরামের তত্ত্বাবধানে তাঁর কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলেন এবং ছোট ব্যবসা শুরু করতে বা তাদের বিদ্যমান ব্যবসার বিকাশের জন্য ব্যাংকগুলি থেকে সহায়তা নিয়ে তাদের ক্ষুদ্র ঋণ, মূলধন সরবরাহ করেছিলেন।

প্রাথমক জীবন[সম্পাদনা]

জয়া ১৯৩৫ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি তারিখে ভারতের তামিল নাড়ুতে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২] তিনি অর্থনীতি ও ভূগোল বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন।[৩] তিনি ইতালির রাজধানী রোমের সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট-এর পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য ছিলেন এবং কাউন্সিলে যোগদানকারী প্রথম দক্ষিণ এশীয় মহিলা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।[৪]

জয়া তামিল নাড়ু কংগ্রেস কমিটির সহ সভাপতি এবং অখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির একজন সদস্য এবং সারা ভারত জুড়ে মহিলা কল্যাণ ও বিকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন কমিটির সদস্য হিসাবেও কাজ করেছিলেন।[৫]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তিনি তাঁর কাজকর্মের জন্য বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেছিলেন; যার মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গ্লোবাল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, ক্যালিফোর্নিয়ার গ্লিস্টমান ফাউন্ডেশন পুরস্কার থেকে আন্তর্জাতিক সক্রিয় পুরস্কার (২০০৩) এবং ভারতের জাতীয় সচেতনতা ফোরাম দ্বারা প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় একতা পুরস্কার অন্যতম।[৪] ১৯৮৭ সালে ভারত সরকার তাঁকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী প্রদান করে এবং ২০০২ সালে তামিল নাড়ু রাজ্য সরকার তাঁকে নারী শক্তি পুরস্কার প্রদান করেছিল।[৬] তিনি ২০০৯ সালে জমনালাল বাজাজ পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ২০১০ সালে, তিনি গডফ্রে ফিলিপস জাতীয় সাহসী পুরস্কারে সামাজিক কাজকর্মের ক্ষেত্রে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৭]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

জয়া তামিল নাড়ুর এক ব্রাহ্মণ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[৮] স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরে, ১৯৫৫ সালে তিনি একজন চেট্টিয়ারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি শিক্ষিত হয়েও জয়ার বাবা মা দ্বারা অনুমোদিত হন নি। তাঁকে তাঁর বাবা মা এবং ছয় বোন সহ তাঁর পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মায়ের মৃত্যুর পরে তাঁদের পুনর্মিলন হয়েছিল।[৯]

তাঁর মেয়ে নন্দিনী আজাদ এখন আইসিএনডব্লিউ-এর সভাপতি এবং তাঁর কাছ থেকে ডব্লিউডব্লিউএফ-এর সমস্ত কাজকর্মের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।[১০]

জয়া দুই সপ্তাহ ধরে অসুস্থ থাকার পরে ২০১৯ সালের ২৯শে জুন তারিখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি তাঁর শেষ দিনগুলো তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে কাটিয়েছিলেন।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Empowering the women of Madras"। BBC News। ২৩ আগস্ট ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  2. "Jamnalal Bajaj Award"। Jamnalal Bajaj Foundation। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৫ [অকার্যকর সংযোগ]
  3. "A Lifelong Champion Of India's Poorest Women"Washington Post। ৬ মে ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  4. "Fight against poverty"। The Hindu। ৫ জুন ২০০৫। ২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  5. "Veteran social activist Jaya Arunachalam passes away"Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৬-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১০ 
  6. "End of an era: Legendary cooperator Jaya Arunachalam passes away"Indian Cooperative (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৬-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১০ 
  7. "Lifetime achievement award for Jaya Arunachalam"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। Special Correspondent। ২০১০-১১-০৫। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৬ 
  8. "Jaya Arunachalam"www.giraffe.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১০ 
  9. Kannan, Amutha (২০১২-১০-০৯)। "Working towards making women an alternative head at home"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১০ 
  10. Reporter, Staff (২০১৯-০৬-২৯)। "Working Women's Forum founder Jaya Arunachalam passes away"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১০