হাশিম আবদুল হালিম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হাশিম আবদুল হালিম
মন্ত্রী, বিচার বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার[১]
কাজের মেয়াদ
১৯৭৭[১] – ১৯৮২[১]
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার
কাজের মেয়াদ
৬ মে ১৯৮২[২] – ১৮ মে ২০১১
উত্তরসূরীবিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৭৭ - ২০০৬
সংসদীয় এলাকাএন্টালি বিধানসভা কেন্দ্র
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য
কাজের মেয়াদ
২০০৬ - ২০১১
সংসদীয় এলাকাআমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্র
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৩৫-০৬-০৫)৫ জুন ১৯৩৫[২]
মৃত্যু২ নভেম্বর ২০১৫(2015-11-02) (বয়স ৮০)
কলকাতা, ভারত
রাজনৈতিক দলভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)
সন্তান[১]
বাসস্থানকলকাতা

হাশিম আবদুল হালিম (৫ জুন ১৯৩৫ - ২ নভেম্বর ২০১৫) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৮২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার ছিলেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

হালিম আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। হালিমের বাবা আবদুল হালিম বাংলায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তাঁর কাকা, এম ইশাক ছিলেন কংগ্রেস পার্টির সদস্য এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কমনওয়েলথ সংসদীয় সমিতির চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেনন। [৩]

হালিম আজীবন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭৭ সালে প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ছয় দফায় বিধানসভায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিচার বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন এবং পরে ১৯৮২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বিধানসভার স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৭৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমডাঙা আসনের বিধায়ক ছিলেন। তিনি এরপর ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এন্টালি আসনের এমএলএ ছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের অসংখ্য বিভাগ এবং কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হালিম ভারতে এবং বিদেশে অসংখ্য সেমিনারে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। হালিম ভারতের যে কোনও বিধানসভার সর্বাপেক্ষা দীর্ঘকালীন সময় ধরে স্পিকারের দায়িত্ব পালনকরেন। তিনি টানা ২৯ বছর এই দায়িত্ব পালন করেন - ৬ মে ১৯৮২ থেকে মে ২০১১ সাল পর্যন্ত। পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ সালের নির্বাচনের পরে হালিমের পরিবর্তে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার হয়েছিলেন।

হালিম বাণিজ্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন, আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং টোকিওর সোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট লাভ করেছিলেন। তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং তাঁর চারটি সন্তান ছিল। তার পুত্র ফুয়াদ হালিম, ২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে বালিগঞ্জের আসনে সিপিআই (এম) প্রার্থী ছিলেন, তবে তৃণমূল কংগ্রেসের সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে ৪১,০০০ ভোটে হেরেছিলেন।

২ নভেম্বর ২০১৫ কলকাতায় হালিম সালে মারা যান। [৪] তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Shri Hashim Abdul Halim, MLA. LegislativeBodiesIndia.nic.in. (Retrieved 6 May 2011)
  2. Speaker of West Bengal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ অক্টোবর ২০১২ তারিখে. MapsofIndia.com. (Retrieved 3 June 2011)
  3. Dr. Fuad Halim | Home Page ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ আগস্ট ২০১১ তারিখে. (Retrieved 27 August 2011).
  4. "Former West Bengal assembly speaker Hashim Abdul Halim died in Kolkata"PrepSure.com। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৬