হেমায়েত মোল্লা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হেমায়েত মোল্লা
ব্যক্তিগত তথ্য
ডাকনামহেমায়েত
জাতীয় দলবাংলাদেশ
জন্মবাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার কাটাবুনিয়া গ্রাম
পেশাজাতীয় দলের ক্যারম প্লেয়ার এবং ইজিবাইক চালক
নিয়োগকর্তাজাতীয় ক্যারম ফেডারেশন
ক্রীড়া
দেশবাংলাদেশ
ক্রীড়াক্যারম
অবস্থানবিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে পঞ্চম
সাফল্য ও খেতাব
বিশ্ব ফাইনালবিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে পঞ্চম
জাতীয় ফাইনালচ্যাম্পিয়ন (২০১৮,২০১৯)

হেমায়েত মোল্লা বাংলাদেশ জাতীয় ক্যারম দলের একজন খেলোয়াড়। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ক্যারমের ২০১৮ ও ২০১৯ সালের শিরোপাধারী ছিলেন[১] এবং আন্তর্জাতিক ক্যারম র‍্যাংকিংয়ে পঞ্চম।[২][৩][৪][৫] হেমায়েতের জন্ম বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার কাটাবুনিয়া গ্রামে। তিনি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ জাতীয় ক্যারম দলের হয়ে খেললেও বাকি সময় ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।[২]

শৈশব[সম্পাদনা]

হেমায়েত মোল্লার বাবার নাম হাশেম মোল্লা। অভাবের সংসারে বাবা হাশেম ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে পারেননি। শৈশবে হেমায়েত মাছ ব্যবসায়ীদের নৌকায় ঘুরাঘুরি করতেন কাজের আশায়। পারিশ্রমিক থেকে যা পেতেন তার একটি অংশ দিতে হতো বড় ভাই বেলায়েত মোল্লাকে। টাকা নিয়ে বেলায়েত ক্যারম খেলতেন। একদিন হেমায়েতকে সঙ্গী করেন। সেই থেকে হেমায়েতকে ক্যারমের নেশা পেয়ে বসে। হেমায়েতের খেলার দক্ষতা বড়দেরও মুগ্ধ করে। এরপরে তিনি বাজিতেও খেলা শুরু করেন। একপর্যায়ে ঢাকা পালিয়ে এসে স্কুল ভ্যানচালিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন।[২]

তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

বাজিতে খেলতে গিয়ে একবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হাফিজুর রহমানকে হাড়িয়ে দেন। তখন তিনি ক্যারম ফেডারেশনের নাম জানতে পারেন। এবং পরবর্তীতে চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করে ফাইনালে পৌছে যান। যা নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপর ডাক পরে জাতীয় দলে।

হেমায়েত বিকেএসপিতে সার্ক ক্যারম চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে ব্রোঞ্জ জিতিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ২৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান অধিকার করে। সেখানেও হেমায়েত দুর্দান্ত খেলে যোগ্যতার প্রমাণ দেন। তিনি ২০১৪ সালের মালদ্বীপ বিশ্বকাপ এবং ২০১৬ সালের দিল্লি আন্তর্জাতিক ক্যারম (আইসি) কাপেও ছিলেন। এরপর ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো খেলেই জাতীয় ক্যারমে চ্যাম্পিয়ন হন। ২০১৯ সালেও তিনি ক্যারম চ্যাম্পিয়নশিপে তার শিরোপা ধরে রাখেন। ক্যারম খেলোয়াড় হিসেবে এক হিটে নিজের সব ঘুঁটি ফেলায় (ক্যারমের ভাষায় বলা হয় স্লাম) বিশেষ দক্ষ হেমায়েত। ডিসেম্বরে আয়োজিত পুনেতে আইসি কাপে দুবার স্লাম করে ১০০ মার্কিন ডলার জেতেন।

জাতীয় ক্যারম ফেডারেশনে স্থায়ী চাকুরির ব্যবস্থা না থাকায় তিনি ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।[৪][৫][৬][৭][৮][৯][১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জাতীয় ক্যারমে চ্যাম্পিয়ন হেমায়েত মোল্লা"বাংলা ট্রিবিউন। ২০১৯-১১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪ 
  2. "ভ্যানচালক থেকে ক্যারমের বিশ্বমঞ্চে"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪ 
  3. "আইসিএফ ক্যারমে তৃতীয় বাংলাদেশ"দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্ব ক্যারমে পঞ্চম হেমায়েত"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪ 
  5. "প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্ব ক্যারমে পঞ্চম হেমায়েত মোল্লা"। ২০১৯-১২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪ 
  6. "বিশ্ব ক্যারমে বাংলাদেশ তৃতীয়"Dhakatimes24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪ 
  7. "আবারও বিশ্ব ক্যারমে তৃতীয় বাংলাদেশ, র‍্যাংকিংয়ে পঞ্চম হেমায়েত | খেলা"ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪ 
  8. "হেমায়েত-আফসানা চ্যাম্পিয়ন"jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. "হেমায়েত আফসানা চ্যাম্পিয়ন"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪ 
  10. "প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পঞ্চম হেমায়েত"nagorikbarta.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]