অ্যান এনজোগু
অ্যান এনজোগু | |
---|---|
জাতীয়তা | কেনিয়ান |
পরিচিতির কারণ | আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার ২০১০ বিজয়ী |
অ্যান এনজোগু হলেন কেনিয়ার একজন মানবাধিকার কর্মী।[১] তিনি দেশটিতে ২০০৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর সহিংসতায় নারী নির্যাতন নিয়ে কাজ করেছেন।[২] তিনি দেশটির যৌন সহিংসতাবিরোধী আইন প্রণয়নের সাথেও যুক্ত ছিলেন।[১][৩][৪]
জীবনী
[সম্পাদনা]তিবি দেশটিতে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন, কাজ করেছেন নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালে তিনি দেশটির আইনসভার সদস্যদের বেতন পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানানোর পর তাকে গ্রেফতার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।[১] তার মতে, কেনিয়ার আইনসভা সদস্যদের বেতন দেশটির ভঙ্গুর অবস্থার দরুন কমানো উচিত। তিনিসহ যারা তার মতকে সমর্থন করে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাদের আইনিপ্রক্রিয়াটি "অ্যান এনজোগু এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র" নামের পরিচিত। তারা দেশের সাংবিধানিক উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন যে, দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন কেনিয়ানকে বিনা বিচারে ২৪ ঘণ্টার বেশি আটক রাখতে পারে না। মামলায় তারা সফল হয়েছিলেন।[১] ২০০৮ সালে তিনি দেশটির সুধীসমাজ সভার যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। সুধীসমাজ সভা দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি করার জন্য কাজ করেছিল।
২০০৮ সালে তিনি গ্র্যান্ড রিজেন্সি হোটেল বিক্রির সময় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তার মতে, হোটেলটি বিক্রির সময় দুর্নীতি হতে পারে। গ্রেফতারের সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল।[১][৫]
২০১২ সালে অ্যান এনজোগু এবং তার ছেলেকে অ্যান এনজোগুর বাবাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আনা হয়েছিল কিন্তু, ২০১৩ সালে তারা অভিযোগ থেকে মুক্তি পান।[৬]
সম্মাননা
[সম্পাদনা]২০১০ সালে তাকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Ann Njogu, Kenya"। U.S. Department of State।
- ↑ "Courage, and Heart, on Behalf of Kenya's Women"। The Huffington Post।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ১৭ মে ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৯।
- ↑ "Kenyan Sexual offence act" (পিডিএফ)। ২১ জুলাই ২০১৬। ২০১৭-০২-১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-১২।
- ↑ "Kenya's Ann Njogu, is a "Woman of Courage""। Mshale।
- ↑ Court rules Ann Njogu and son have no case to answer ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখে, SAR, Retrieved 16 July 2016