ক্যারোলিন তাহহান ফাছাখ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্যারোলিন তাহহান ফাছাখ
২০১৫ সালে ক্যারোলিন তাহহান ফাছাখ
জন্ম
জাতীয়তাসিরীয়
অন্যান্য নামসিস্টার ক্যারোল
পেশাসন্ন্যাসিনী
পরিচিতির কারণদামেস্কে কার্যক্রম

ক্যারোলিন তাহহান ফাছাখ অথবা সিস্টার ক্যারোল হলেন একজন সিরীয় সন্ন্যাসিনী , যিনি গৃহযুদ্ধকালীন সময়ে দেশটির নারী ক শিশুদের নিয়ে কাজ করেছেন। ২০১৭ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার লাভ করেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

ক্যারোলিন তাহহান ফাছাখ জন্মেছিলেন দেশটির আলেপ্পো শহরে। তিনি সালেসিয়ান সিস্টারস অব ডন বস্কোতে যোগ দিয়েছিলেন এবং এরপর 'সিস্টার ক্যারোল' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি দামেস্কে একটি নার্সারি স্কুল চালান, যেটি দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলাকালেও খোলা ছিল। স্কুলটি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব শিশু ও মায়ের জন্য খোলা ছিল। স্কুল পরিচালনাকারী সিস্টারগণ মায়েদের সুঁই চালানো শিখিয়েছিলেন।[১]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

ক্যারোলিন তাহহান ফাছাখ মেলানিস ট্রাম্পের নিকট হতে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার গ্রহণ করছেন

২০১৭ সালে তার কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর]]।[২] সিস্টার ক্যারোলকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিল ভ্যাটিকান[৩]

ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা]

তিনি সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সমর্থক ও ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী।[১] ফাছাখ বাশার আল আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের ঘটনার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি ২০১৭ সালে গণমাধ্যমে বলেছিলেন যে, ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দেশটির শান্তি প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করেছে। তিনি বাশার আল আসাদকে পছন্দ করেন।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Syrian nun honored by State Department says U.S. bombing is step back | The Compass"The Compass (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৪-১১। ২০১৭-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৫ 
  2. "Biographies of the Finalists for the 2017 International Women of Courage Awards"www.state.gov (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৫ 
  3. "GHR and Global Minnesota Host Two International Women of Courage"GHR Foundation। ২০১৯-০৫-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৬ 
  4. "Syrian nun honored by U.S. says Assad is 'not a dictator'"Crux (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৪-১২। ২০১৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৫