ঢাকাইয়া ব্যাঙ
ঢাকাইয়া ব্যাঙ | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
উপপর্ব: | Vertebrata |
শ্রেণী: | Amphibia |
বর্গ: | Anura |
পরিবার: | Dicroglossidae |
গণ: | Zakerana |
প্রজাতি: | Z. dhaka |
দ্বিপদী নাম | |
Zakerana dhaka (হাওলাদার, ২০১৬) | |
প্রতিশব্দ | |
Fejervarya dhaka |
ঢাকাইয়া ব্যাঙ (বৈজ্ঞানিক নাম: Zakerana dhaka) হলো ব্যাঙের একটি প্রজাতি যেটি ঢাকায় সাজিদ আলী হাওলাদার কর্তৃক আবিষ্কৃত হয়।[১] ব্যাঙটির নমুনা গণভবন ও জাতীয় সংসদের নিকটবর্তী এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।[১] এটি বাংলাদেশি ঝিঁ ঝিঁ ব্যাঙের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। আবার এটি নেপালি ঝিঁ ঝিঁ ব্যাঙ, পিয়েরের ঝিঁ ঝিঁ ব্যাঙ, বড় পা ওয়ালা ঝিঁ ঝিঁ ব্যাঙ ও তেরাইয়ের ঝিঁ ঝিঁ ব্যাঙের সাথেও গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। ২০১৬ সালে ঢাকাইয়া ব্যাঙ আবিষ্কারের মাধ্যমে ঢাকায় দেড়শ বছর পর নতুন প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কৃত হয়।[২]
এর আগে ১৮৬০ এর দশকে শামুক প্রজাতির প্রাণী বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম থিওবল্ড ঢাকার একটি জলাধার থেকে এক নতুন প্রজাতির শামুক আবিষ্কার করেছিলেন, এই ঘটনার পূর্বে ঢাকায় কোনো নতুন প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কারের সেটি ছিল সর্বশেষ ঘটনা।[৩] প্লোস ওয়ান (একটি বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী) এ ২০১৬ সালের ২ মার্চ 'ঢাকাইয়া ব্যাঙ' আবিষ্কারের খবর প্রকাশিত হয়।[১][৪] ব্যাঙটির নমুনা গণভবন ও জাতীয় সংসদের নিকটবর্তী এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হলেও এটির দেখা মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকাতেও।[১][৫] ব্যাঙের এই প্রজাতিটি সমগোত্রীয় অন্যান্য ব্যাঙের তুলনায় একটু বেশি অভিযোজনক্ষম।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ "New frog species found in Dhaka"। Daily Asian Age।
- ↑ "নাম তার ঢাকাইয়া ব্যাঙ"। ইত্তেফাক। ২০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "দেড় শ' বছর পর দেখা মিলল নতুন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর"। জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "A New Species of Frog (Anura: Dicroglossidae) Discovered from the Mega City of Dhaka"।
- ↑ Howlader, Mohammad Sajid Ali; Nair, Abhilash; Merilä, Juha (২০১৬-০৩-০২)। Castiglia, Riccardo, সম্পাদক। "A New Species of Frog (Anura: Dicroglossidae) Discovered from the Mega City of Dhaka"। PLOS ONE (ইংরেজি ভাষায়)। 11 (3): e0149597। আইএসএসএন 1932-6203। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0149597। পিএমআইডি 26934699। পিএমসি 4801011 ।