বানৌজা করতোয়া
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
নাম: | বানৌজা করতোয়া |
নির্মাতা: | হাল, রাসেল অ্যান্ড কোম্পানি, অ্যাবেরডিন |
ইয়ার্ড নম্বর: | ৯৮৪ |
নির্মাণের সময়: | ১১ জুন, ১৯৭৮ |
অভিষেক: | ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ |
অর্জন: | ৩১ অক্টোবর, ২০০৩ |
কমিশন লাভ: | ৩ মে, ২০০৪ |
মাতৃ বন্দর: | খুলনা |
শনাক্তকরণ: | পি৯১৩ |
অবস্থা: | সক্রিয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | আইল্যান্ড-শ্রেণীর টহল জাহাজ |
ওজন: | ১,২৬০ টন |
দৈর্ঘ্য: | ৫৯.৫ মিটার (১৯৫ ফু) |
প্রস্থ: | ১১ মিটার (৩৬ ফু) |
গভীরতা: | ৪.৫ মিটার (১৫ ফু) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | ১৬.৫ নট (৩০.৬ কিমি/ঘ; ১৯.০ মা/ঘ) |
সীমা: | ৭,০০০ নটিক্যাল মাইল (৮,১০০ মা; ১৩,০০০ কিমি), ১২ নট (২২ কিমি/ঘ; ১৪ মা/ঘ) গতিতে |
লোকবল: | ৩৯ জন (৫ জন কর্মকর্তা) |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
রণসজ্জা: |
|
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) করতোয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আইল্যান্ড-শ্রেণীর একটি উপকূলীয় টহল জাহাজ। জাহাজটি গভীর সমুদ্র এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বানৌজা করতোয়া জাহাজটি সমুদ্রগামী ট্রলার এফপিভি জুরা (১৯৭৩) এবং এফপিভি ওয়েস্ট্রা (১৯৭৪) জাহাজদ্বয়ের নকশার উপর ভিত্তি করে হল, রাসেল অ্যান্ড কোম্পানি দ্বারা নির্মিত হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫ সালে জাহাজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬ সালে জাহাজটি পানিতে ভাসানো হয়। পরবর্তীতে জাহাজটি এইচএমএস অ্যাল্ডারনি (পি২৭৮) নামে ৬ অক্টোবর, ১৯৭৯ সালে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে।
৩১ অক্টোবর, ২০০২ সালে বানৌজা করতোয়া জাহাজটিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সংগ্রহ করে এবং জাহাজটি ৪ মে, ২০০৪ সালে নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। বর্তমানে জাহাজটি কমোডর কমান্ডিং খুলনা এর কমান্ডের অধীনে মোতায়েন রয়েছে।
বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো
[সম্পাদনা]বানৌজা করতোয়া জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৫৯.৫ মিটার (১৯৫ ফু), প্রস্থ ১১ মিটার (৩৬ ফু) এবং গভীরতা ৪.৫ মিটার (১৫ ফু)। এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ওজন ১,০০০ টন (৯৮০ লং টন) এবং পূর্ণ অবস্থায় ১,২৮০ টন (১,২৬০ লং টন)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি ৫,৬৪০ অশ্বশক্তি (৪,২১০ কিওয়াট) ক্ষমতা সম্পন্ন রাস্টন ১২আরকেসি ডিজেল ইঞ্জিন। যার ফলে জাহাজটি সর্বোচ্চ ১৬.৫ নট (৩০.৬ কিমি/ঘ; ১৯.০ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি ১২ নট (২২ কিমি/ঘ; ১৪ মা/ঘ) গতিতে ৭,০০০ নটিক্যাল মাইল (৮,১০০ মা; ১৩,০০০ কিমি) সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম।
রণসজ্জা
[সম্পাদনা]বানৌজা করতোয়া জাহাজটির উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং গভীর সমুদ্রে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ, চোরাচালান রোধ এবং জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
- ১টি বোফোর্স ৪০ মিমি কামান;
- ২টি ৭.৬ মিমি স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "নানা সক্ষমতার স্মারক বাংলাদেশ নৌবাহিনী | Bangladesh Navy | BNS Karotoa | Navy Ship | Somoy TV"। ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "মোংলায় নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত || Jago News"। ২৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২৩।
- ↑ "Sailing under a different flag – former Royal Navy vessels serving with other navies | Navy Lookout"। www.navylookout.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৪-০৫। ২০২২-০৫-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১৭।
- ↑ "UNROCA (United Nations Register of Conventional Arms)"। www.unroca.org। ২০২১-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৮।
- Brown, David K.; Moore, George (২০১২)। Rebuilding the Royal Navy: Warship Design Since 1945। Barnsley, UK: Seaforth Publishing। আইএসবিএন 978-1-84832-150-2।
- Couhat, Jean Laybayle; Baker, A. D., সম্পাদকগণ (১৯৮৬)। Combat Fleets of the World 1986/87: Their Ships, Aircraft and Armament। Annapolis, Maryland: Naval Institute Press। আইএসবিএন 0-85368-860-5।
- Gardiner, Robert; Chumbley, Stephen, সম্পাদকগণ (১৯৯৫)। Conway's All The World's Fighting Ships 1947–1995। Annapolis, Maryland, USA: Naval Institute Press। আইএসবিএন 1-55750-132-7।