পাহাড়ি টুনটুনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পাহাড়ি টুনটুনি
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস
পরিবার: Cettiidae
গণ: Phyllergates
প্রজাতি: P. cucullatus
দ্বিপদী নাম
Phyllergates cucullatus
(টেমিঙ্ক, ১৮৩৬)

পাহাড়ি টুনটুনি (বৈজ্ঞানিক নাম:Phyllergates cucullatus) (ইংরেজি: Mountain tailorbird) এক ধরনের গায়ক পক্ষী। এটি Cettiidae পরিবারের Phyllergates গণ ভুক্ত।

আবাসস্থল[সম্পাদনা]

এই পাখি উত্তর-পূর্ব ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, লাওসথাইল্যান্ড দেখতে পাওয়া যায়।[২]

গঠন[সম্পাদনা]

এরা দৈর্ঘ্য ১০-১২ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৬-৭ গ্রাম হয়ে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক পাখির পিঠ জলপাই-সবুজ বর্ণের। কপাল, ডানা ও লেজ লালচে। মাথার চাঁদির সামনের অংশ ছায়ার মতো, যদিও ঘাড়ের পিছনটা অপেক্ষাকৃত ধূসর। এর চোখ বাদামি; চোখের পিছনের খাটো ভ্রু-রেখা সাদা-হলদে; চোখের ডোরা কালচে হয়ে থাকে। কান-ঢাকনি এবং গলা ও বুক ধূসর। পেট ও লেজতল-ঢাকনি উজ্জ্বল হলুদ। পা ও পায়ের পাতা সামান্য বাদামি-মেটে। সোজা ঠোঁট দুরঙা: উপরের ঠোঁট কালো ও নিচের ঠোঁট কমলা গোড়াসহ শিঙ-রঙা। পেট উজ্জ্বল হলদে, যা দেখে এই পাখিকে সহজে চেনা যায়। স্ত্রী পাখির বর্ণে সামান্য তফাৎ রয়েছে। ওদের বুকে কালো রেখার অনুপস্থিত।[৩]

স্বভাব[সম্পাদনা]

পোকামাকড় বা কীট পতঙ্গ এদের প্রদান খাদ্য। ঝোপঝাড়ে অতি ক্ষুদ্র পোকা শিকার করে ও এছাড়া আকাশে ওড়েও পোকা-মাকড় ধরে থাকে। প্রজনন মৌসুম মে-সেপ্টেম্বর। মাটির কাছাকাছি গাছের ডালে পাতা সেলাই করে বাসা বাঁধে। ৩-৪টি ডিম পাড়ে। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৪/১৫ দিন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Orthotomus sutorius"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. "পাহাড়ি টুনটুনি"। ২০১৬-০৪-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-১০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "টুনটুনি"bn.banglapedia.org