অতিসংবেদনশীলকারক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্ক্যানিং ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ দ্বারা বিবিধ উদ্ভিদ পরাগের চিত্র। পরাগগুলি খুব সাধারণ অতিসংবেদনশীলকারক।

অতিসংবেদনশীলকারক (ইংরেজিতে "অ্যালার্জেন") সাধারণত একটি নির্দোষ পদার্থ যা কিছু ব্যক্তিতে অতিসংবেদনশীলতা বা অ্যালার্জির সৃষ্টি করে এবং তাদের দেহে প্রতিক্রিয়ক প্রতিবস্তুর (রিঅ্যাজিনিক অ্যান্টিবডি) উৎপাদন প্রক্রিয়াকে উদ্দীপ্ত করে; এ ক্ষেত্রে সাধারণত IgE অর্থাৎ ই-শ্রেণীর প্রতিবস্তু বা অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়। কিছু ব্যক্তির দেহের অনাক্রম্যতন্ত্র অতিসংবেদনশীলকারকগুলিকে বহিরাগত ক্ষতিকারক ও বিপজ্জনক পদার্থ হিসেবে গণ্য করে এবং প্রতিক্রিয়া হিসেবে এমন সব রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যার কারণে নাক, চোখ, গলা, কান, ত্বক বা মুখগহ্বরের তালুতে অতিসংবেদনশীলতা বা অ্যালার্জির বিভিন্ন উপসর্গের সৃষ্টি হয়।[১]

অতিসংবেদনশীলকারকগুলি প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে উৎপন্ন হতে পারে বা কৃত্রিম উপায়েও উৎপন্ন হতে পারে। ফুলের পরাগরেণু, ছত্রাকের রেণু বা বীজাণু, ধুলাবালি, ধূলিমাকড়, পশুর লোমের খুশকি, কীটপতঙ্গের দেহাবশেষ বা মল, কিছু খাদ্য (ডিম, চীনাবাদাম, দুধ, মাছ, মাংস, গম, ইত্যাদি), রক্তরস, ওষুধ (ত্বকের ওষুধ বা ব্যাকটেরিয়ানাশক), কীটপতঙ্গের বিষ, ইত্যাদি অতিসংবেদনশীলকারকের কিছু উদাহরণ।[১][২]

দেহের যেসব স্থানে উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায়, সেগুলি গবেষণা করে সাধারণত অতিসংবেদনশীলকারক চিহ্নিত করা হয়। যেমন ছত্রাকরেণু, পরাগরেণু ও পশুলোমের খুশকি সাধারণত শ্বসনের ফলে দেহে প্রবেশ করে এবং চোখ, নাক ও শ্বাসনালীতে উপসর্গের সৃষ্টি করে। রূপচর্চার দ্রব্যাদি সাধারণত মুখ ও হাতের ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়া কোন সময় উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তার উপর ভিত্তি করেও অতিসংবেদনশীলকারক চিহ্নিত করা যায়। যেমন পরাগরেণুর প্রতি অতিসংবেদনশীলতা সাধারণত একটি বিশেষ ঋতুতে ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Allergen Definition, The American Academy of Allergy, Asthma and Immunology, ১৩ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৮ 
  2. Allergen, US National Laboratory of Medicine 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]