জোড়হাট প্রভিন্সিয়াল রেলওয়ে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জোড়হাট প্রভিন্সিয়াল রেলওয়ে
রাজ্যঅসম
কার্যকাল১৮৮৩–১৯৪৩[১]
ট্র্যাক গেজ২ ফুট
দৈর্ঘ্য২৮.৫ মাইল

জোড়হাট প্রভিন্সিয়াল রেলওয়ে (ইংরেজি: Jorehaut Provincial Railway, সংক্ষেপে JPR) ব্রিটিশ অসমের শিবসাগর জেলার ও বর্তমানের জোড়হাট জেলার একটি ২ ফুট দীর্ঘ ন্যারোগজ রেলওয়ে পরিষেবা ছিল। প্রথমে ককিলামুখ ট্রামওয়ে নামকরণ করা এই রেলপরিষেবার নাম পরে ককিলামুখ স্টেট রেলওয়ে, জোড়হাট স্টেট রেলওয়ে ও জোড়হাট প্রভিন্সিয়াল রেলওয়ে হয়েছিল। ১৮৮৪ সালের ৯ ডিসেম্বরে গোহাঁইগাঁও থেকে জোড়হাট শহর পর্যন্ত ৭ মাইল দৈর্ঘ্যের পথ মুক্ত করা হয়।[২] পরবর্তী পর্যাযে একে তিতাবর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয় ও একটি শাখা পথ সিনামরার থেকে মরিয়নি পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৭৯ সালে ডব্লিউ. ডব্লিউ. হাণ্টারের 'A Statistical Account of Assam'তে জোড়হাট নগরের বাণিজ্যিক গুরুত্বর ওপরে এক আলোকপাত প্রকাশিত হয়। ১৮৬৫ সালে জোড়হাট নগরে ১৬০টি দোকান ছিল, তার ২৮টি মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীদের। তারা কার্পাস ও উলবস্ত্র, নুন, সর্ষের তেল, তামাক, গুড়, শুকনো মটর, মাটি, সোনা, প্রবাল, পিতলের বাসন-বর্তন, রন্ধন সরঞ্জাম, কাঁচের অলংকার ইত্যাদি কলিকাতা, সিরাজগঞ্জ ও গোয়ালপারা থেকে আমদানি করত এবং এর থেকে পাটের কাপড়, সর্ষের বীজ, ও হাতির দাঁত রপ্তানি করত। কয়েকজন মুসলমান লোক দ্বারা পরিচালিত দোকানে ইউরোপীয় বস্তু-দ্রব্যের বেচা-কেনাও চলত। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা সেরূপে উন্নত ছিল না। ইতিমধ্যে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের সংবাদ পেয়ে অভিভূত হয়ে চীফ কমিশনার স্টুয়ার্ট বেইলি (Steuart Bayley) ১৮৮২ সালে ভারত সরকারের অনুমতি ছাড়াই জোড়হাটে একটি রেলপথ বাড়ানোর জন্য ১,১১,৩২০ টাকা অসমের প্রভিন্সিয়াল রেভিনিউ থেকে গ্রহণ করেন। তারজন্যে তাকে জবাবদিহি করতে হলেও ভারত সরকার প্রকল্পটি অনুমোদন করে। কিন্তু বেইলির প্রকল্পটি যথেষ্ট যুগান্তকারী ছিল - ককিলামুখের সমীপবর্তী গোঁহাইগাঁও থেকে জোড়হাট নগর পর্যন্ত ৭ মাইল দৈর্ঘ্যের এক রেলপথ। অদূর ভবিষ্যতে ১৮৮৩ সালে রেলপথগুলি ককিলামুখ ঘাট পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে এটি সহায়ক হয়ে উঠেছিল। সেইবছর সেপ্টেম্বর মাসে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের মতই ২ ফুট গজের রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেহেতু প্রধান নগর ও ঘাটের মধ্যে চাপাতা ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রী পরিবহনই এর লক্ষ্য ছিল। সামান্য মূলধনের সঙ্গে ২ ফুট গজ এক সঠিক সিদ্ধান্তই ছিল বলে মনে করা হয়। ডিব্রু-শদিয়া রেলপথের প্রতি মাইল নির্মাণ কার্যে ১.২ লাখ টাকা খরচ হওয়ার বিপরীতে ককিলামুখ ট্রামওয়ের প্রতি মাইল নির্মাণে ২৯,০০০ টাকা খরচ হয়েছিল।

ভারতীয় রেলওয়ের ইতিহাসে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ককিলামুখ ট্রামওয়ের শুভমুক্তি হওয়ার তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৩। যদিও ১৮৯০-৯১ সংখ্যার ভারতীয় রেলওয়ে আধিকরণ প্রতিবেদন অনুসারে, এই রেলপথগুলি ১৮৮৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারিখে মালবাহী যাতায়াতের কারণে ও যাত্রীবাহী পরিষেবার কারণে ১৮৮৫ সালের ১৭ অক্টোবর তারিখে মুক্ত হয়। কিন্তু সরকারী পুরানো নথিতে পাওয়া তথ্য অনুসারে রেলপথগুলি মুক্ত করা হয় ১৮৮৪ সালের ৯ ডিসেম্বরে।

অসমের এই দ্বিতীয় রেলপথগুলিই অতিশীঘ্রই এর কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠা করে। চাশিল্প অল্পকালেই এই নতুন রেলপরিষেবাটির উপযোগিতা অনুধাবন করে। ঘটনাক্রমে শীঘ্রই সমস্ত চা-বাগানকে সংযোগ করে রেলপথের সম্প্রসারণের এক সামগ্রিক দাবীও উত্থাপিত হয়। ৩,৯৬,৫০০ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ মূল রেলপথগুলিকে তিতাবর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার সঙ্গে এক শাখাপথ মরিয়নি পর্যন্ত সম্প্রসারণের একটি প্রস্তাব ভারত সরকারের কাছে দাখিল করা হয়। প্রস্তাবটিতে একটি টিপ্পনীও যোগ দেওয়া হয়েছিল যে, এই সম্প্রসারণ অঞ্চলটিতে যোগান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার সঙ্গে প্লাবনভূমির আশে-পাশে পতিত মাটির কর্ষণে উদ্যোগ যোগাবে। ১৮৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাহে লর্ড রিপন এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেন কিন্তু এক শর্ত সংলগ্ন করে দেন যে, রেলপথগুলির নাম পূর্বের "ককিলামুখ ট্রামওয়ে" থেকে "ককিলামুখ স্টেট রেলওয়ে"তে পরিবর্তিত করা উচিত।

১৮৮৪ সালের নভেম্বরে ধলী নদী পর্যন্ত রেলপথগুলির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় ও সেই বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে মালবাহী রেলের চলাচল আরম্ভ হয়। কিন্তু ১৮৮৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেলপথগুলি যাত্রীবাহী রেল চলাচলের উপযোগী হিসাবে গণ্য করা হয়নি, যদিও মালবাহী রেলের চলাচল তখন পর্যন্ত সুচারুরূপেই পরিচালিত হচ্ছিল।

ইতিমধ্যে ১৮৮৪ সালের ৯ ডিসেম্বরে গোঁহাইগাঁও ও জোড়হাটের মধ্যবর্তী রেলপথগুলির "ককিলামুখ স্টেট রেলওয়ে" হিসাবে পুনঃনামকরণ করা হয় ও অসমের চীফ কমিশনার স্যার সি. এ. এলিয়ট আনুষ্ঠানিকভাবে পথগুলির শুভমুক্তি ঘটান।

শীঘ্রই ধলী নদীর ওপরে সেতু নির্মাণ করা হয় ও ১৮৮৭ সালের ১৬ জুলাইতে ১.৭৫ মাইল দূরের তিতাবর পর্যন রেলপথগুলির সম্প্রসারণ ঘটে। অবশ্য এই অংশের পুনরীক্ষণ ও অঞ্চল বিশেষে পুনর্স্থাপনের পর ১৮৮৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে প্রথম যাত্রীবাহী রেলের চলাচল হয়। সিনামরা থেকে মরিয়ণি পর্যন্ত ৭ মাইল দৈর্ঘ্যের রেল উপপথটির নির্মাণ কার্য ১৮৮৪ সালের ডিসেম্বরে সম্পূর্ণ হয় ও ১৮৮৫ সালের জানুয়ারির ৭ তারিখে প্রথম মালবাহী রেলের চলাচল আরম্ভ হয়। কিন্তু যাত্রীবাহী রেলের চলাচলের জন্য ১৮৮৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আরো তিনবছর অপেক্ষা করতে হয়। মরিয়নি সংযোগকারী রেলপথগুলি সম্পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে সিনামরা অসমের রেলপথের ইতিহাসে মাকুমের পর দ্বিতীয় রেল জংশন হিসেবে পরিগণিত হয়।

গোঁহাইগাঁও রেলপথগুলির টার্মিনাস হিসাবে গণ্য করা হলেও খরালি কালের বিকল্প হিসাবে ৩.২৫ মাইলের অন্য একটি সম্প্রসারণ ১৮৮৯ সালের নভেম্বরের ১১ তারিখে মুক্ত করা হয়। এর সাথে সাথে সমগ্র রেলপথের সর্বমোট দৈর্ঘ্য ২৮.৫ মাইল হয়।

কারিগরি দিক[সম্পাদনা]

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের আদলে ২ ফুট গজের ন্যারোগজ পরিষেবাই এই রেলপথে প্রচলিত ছিল। কারিকরী দিক থেকে এই রেলপথগুলি তৈরি করা মোটেই সুসাধ্য কাজ ছিল না। এতে রেলপথের নিচে কোনো পাথরের বালাস্ট ব্যবহার করা হয়নি, সূক্ষ্মতম ভাঁজটি ৪৮০ ফুট ছিল, এবং কার্যকরী ঢাল ছিল ১:৮০০। অবশ্য জোড়হাট ও সিনামরার মধ্যে এই ঢাল ১:৪০০ ছিল। প্রারম্ভে, ককিলামুখ স্টেট রেলওয়ে পুরানো ব্যবহৃত ইঞ্জিন কেনাই সস্তা ও লাভজনক অনুভব করেছিল। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে এমন অনেক সামগ্রীর এক ভাণ্ডার ছিল। তেমন এক লৌহ সৈনিকের উদাহরণ ছিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের পুরানো স্টিম ইঞ্জিন 'টাইনি' (Tiny)। শিলিগুড়িতে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে নির্মাণের সময়ে ঠিকাদারদের ব্যবহারের জন্য আনা সেটিই প্রথম ইঞ্জিন ছিল। শুরুতে, তার নাম 'সূতারাম' দেওয়া হয়েছিল, যদিও শিলিগুড়িতে এসে উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তার নাম 'টাইনি' হয়ে যায়। সঠিক তারিখ জানা না গেলেও টাইনি ১৮৮০র দশকের প্রারম্ভে পরিষেবা প্রদানের তথ্য পাওয়া যায় কারণ তাকে ভাইসরয়ের প্রথম দার্জিলিং যাত্রার দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়েছিল। টাইনিকে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ইঞ্জিন নম্বর দেওয়া হওয়া হয়নি বরঞ্চ অধিক সময় এটি শিলিগুড়িতে শান্টিং কার্যে অতিবাহিত করেছিল। ১৮৮৬ সালে তাকে জোড়হাট স্টেট রেলওয়ের ইঞ্জিন নম্বর ৪ হিসাবে চাবাগানসমূহে পরিষেবাবৃত্ত করা হয়। নিশ্চিতভাবে এর পরিষেবাকে স্বাগত জানানো হয়েছিল, কারণ পূর্বের তিনটি ইঞ্জিন সহজে লাইনচ্যুত হতে দেখা গিয়েছিল। ২-ফুট গজের ইঞ্জিনগুলি সাধারণত ভারতবর্ষের রেলপথসমূহের মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে নিয়োজিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৪২ সালে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের টিনধারিয়া কর্মশালার ম্যানেজার জিমি শ' (Jimmy Shaw) জে. পি. আর. পরিদর্শন করে এর থেকে চারটি ইঞ্জিন কেনার প্রস্তাব দেন। কিন্তু পরিচালন সমিতি সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দেননি। অন্যদিকে, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের কয়েকটি ইঞ্জিন আসাম রেলওয়ে ট্রেডিং কোম্পানির অধীনে অসম পর্যন্ত এসে অদ্যাপি মার্ঘেরিটা ও টিপংপানীর কয়লাখনিতে পরিষেবা প্রদান করছে। অনুরূপে জে. পি. আর.-এর দুটি ইঞ্জিন এখনও দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের পরিষেবায় ব্রতী রয়েছে।

উত্তরসূরী[সম্পাদনা]

ব্রহ্মপুত্র নদের গতির সঙ্গে সংগতি রেখে জাহাজঘাটের অবস্থান অনবরত পরিবর্তিত হওয়ার সাথে সাথে রেলপথগুলিও মধ্যবর্তী সময়ে পরিবর্তিত হয়েছিল ও প্রত্যেক পরিবর্তনে নতুন নামকরণও ঠাই পেয়েছিল। পূর্বের ককিলামুখ ষ্টেট রেলওয়ে (KSR)-র থেকে ১৮৮৬ সালে জোড়হাট ষ্টেট রেলওয়ে (Jorhat State Railway – JSR) ও পরবর্তী পর্যায়ে ১৯১৫ সালে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের (Assam Bengal Railway – ABR) মূলপথকে সংলগ্ন করার পরে অধিক আভিজাত্যপূর্ণ জোড়হাট প্রভিন্সিয়াল রেলওয়ে[৩] (Jorhat Provincial railway – JPR) নামে পরিবর্তন হয়। ১৯৩৭ সালে ভারত সরকার দ্বারা এই রেলপথগুলি রাষ্ট্রীয়কৃত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অসম ও বাংলার রেলপথের জালিকাটিতে যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটানো হয়। ১৯৪২ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়েইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়েকে সংযুক্ত করে সরকার বেঙ্গল অ্যান্ড আসাম রেলওয়ে (Bengal & Assam Railway) গঠন করে। এতে বহু ছোট ছোট রেল কোম্পানীকে নিয়ে ১৯৪৩ সালে জোড়হাট প্রভিন্সিয়াল রেলওয়েতে[১] সাামিল করা হয়।

সেই রেলপরিষেবা নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার অর্ধশতাধিক কাল পার হয়ে গেলেও শেষের নামটি এখনও জোড়হাটবাসীর মধ্যে প্রচলিত হয়ে আছে।

বর্তমান[সম্পাদনা]

পূর্বের ন্যারোগজ পরিষেবাকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মিটারগজ পরিষেবা প্রতিস্থাপিত করার সাথে সাথে তিতাবর-চিনামরা ও গোঁহাইগাওঁ-ককিলামুখের মধ্যের পথ দুদিকে বিভক্ত হয়ে পরে। মিটারগজ পরিষেবা নিমাতীঘাট পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ফরকাটিং জংশন থেকে অন্য এক শাখা এসে জোড়হাট টাউন স্টেশন (রেলওয়ে কোড JTTN) হয়ে জোড়হাট জংশনে (রেলওয়ে কোড JT) যুক্ত হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত মিটারগজ পরিষেবার জোড়হাট জংশন ও নিমাতীঘাটের মধ্যবর্তী পরিষেবাও বাতিল করা হয়। ১৯৯৭ সালে মরিয়নি-জোড়হাট টাউন-ফরকাটিং শাখার ব্রডগজ পরিষেবায় উন্নীতকরণ হয়। জোড়হাট জংশন স্টেশন বর্তমান মার্শেলিং ইয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। জোড়হাট জংশন এখনও স্থানীয় লোকের মধ্যে জে. পি. আর. নামে প্রসিদ্ধ।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "NFR History"। NF Railway। ২ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৪ 
  2. http://jorhat.nic.in/history-of-jorhat.html
  3. রবীন্দ্র চন্দ্র বরুয়া (২০০৭)। "ব্রহ্মপুত্র উপত্যকাত রেলগাড়ী"। মন্থন: ২০, ২১।  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  1. Dutta, A.K. Indian Railways: The Final Frontier. 2002. (Published by NFR)
  2. Griffiths, P. The History of Indian Tea Industry, 1967
  3. Mahanta, A. P. Railway Transport and Its Impact on Resource Utilisation in the Brahmaputra Valley, 1992 (Ph.D. Thesis, Gauhati University.
  4. Sinclair, Boyd. Running on Time In a Timeless Land in Ex-CBI Roundup, November 1950 Issue.
  5. Tour Diary of the Deputy Commissioner, Sibsagar. Archived in Jorhat D.C's Office