রিতা ইয়াহান ফারুজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রিতা
প্রাথমিক তথ্য
জন্মনামরিতা ইয়াহান ফারুজ
জন্ম (1962-03-24) ২৪ মার্চ ১৯৬২ (বয়স ৬২)
উদ্ভবতেহরান, ইরান
ধরনরক সঙ্গীত, সোল সঙ্গীত, পপ সঙ্গীত, ফোক সঙ্গীত
পেশাগায়িকা, অভিনেত্রী
বাদ্যযন্ত্রকণ্ঠ
কার্যকাল১৯৮৬–বর্তমান

রিতা ইয়াহান ফারুজ (হিব্রু ভাষায়: ריטה יהאן-פרוז‎, ফার্সি: ریتا جهان‌فروز; ইংরেজি: Jahanforuz; জন্ম: মার্চ ২৪, ১৯৬২), তার স্টেজ নাম রিতা এর জন্য অধিক পরিচিত, হচ্ছেন ইসরায়েলের একজন পপ গায়িকা এবং অভিনেত্রী।[১]

২০১১ সালে, রিতা ইয়াহান ফারুজ তার পছন্দের ফার্সি ভাষাতে গান গেয়েছিলেন, যা বিভিন্ন পপ রেকর্ডে মুক্তির পর তিনি ইরানে বেশ জনপ্রিয় একজন শিল্পী হয়ে ওঠে। ২০১২ সালে, তার অ্যালবাম "অল মাই জয়েস" প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি ফার্সি ভাষায় বেশ কয়েকটি গান গেয়েছিলেন, যা ইসরায়েল এবং ইরানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তিন সপ্তাহের পর সেটি ইসরায়েলে স্বর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। তিনি ইসরায়েলি এবং ইরানি নাগরিকদের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেনন, এবং তিনি বলেন, তিনি তাদের দেশের মধ্যে চাপের প্রাচীর ভেঙ্গে দেবেন বলে আশা করেন।[২]

জীবনী[সম্পাদনা]

রিতা ইয়াহান ফারুজ ইরানের এক ইহুদি পরিবারে ১৯৬২ সালে ইরানের তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার ১৯৭০ সালে ইসরায়েলে অভিবাসন করে এবং তেল আভিভের বাইরে একটি উপশহর এলাকায় বসবাস করে। তিনি ১৯৮০-এর দশকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে ব্যান্ড সদস্য হিসাবে পেশাগতভাবে গান গাওয়া শুরু করেন এবং দ্রুততার সাথে সাফল্যের দেখা পেতে শুরু করেন।[২] রিতা ইয়াহান ফারুজ গায়িকা, সুরকার ও কীবোর্ডের বাদক রামী ক্লেইনস্টাইনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, যার সাথে তার দুই কন্যা মেশি ও নোয়া আছে। এই দম্পতি ২০০১ সালের অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে সঞ্চালনা করেন। ২০০৭ সালে, তারা পৃথক হওয়ার ঘোষণা দেন।

গান এবং অভিনয় ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

১৯৮০ সালে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীতে একটি বাদ্যযন্ত্রের অংশ হিসাবে রিতা ইয়াহান ফারুজ তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮২ সালে তিনি অভিনয়ের "বেইত জভি" স্কুলে অংশ নেন। ইসরায়েলে সাধারণ জনগণের প্রথম প্রকাশ ১৯৮৬ সালের প্রাক-ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতা (কাদম-ইউরোভিশন নামে পরিচিত) অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হন। এই সিদ্ধান্তে এসেছিল যে আসন্ন ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় তিনি ইসরায়েলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। অতঃপর উক্ত প্রতিযোগিতায় রিতা ইয়াহান ফারুজ জয়লাভ করতে পারেননি, কিন্তু তার গান শভিল হাব্রিচাহের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। সেই একই বছর, রিতা ইয়াহান ফারুজ "মাই ফেয়ার লেডি"-এর অভিযোজনে অভিনয় করেন এবং তার আত্ম-শিরোনাম প্রথম অ্যালবাম "রিতা" মুক্তি পায়, যা ট্রিপল প্ল্যাটিনাম নামে পরিচিটি লাভ করে। এই অ্যালবামটি প্রায় ১২০,০০০ বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল। ১৯৮৭ সালে, রিতা ফারুজ একটি ইংরেজি অ্যালবাম "ব্রেকিং দস ওয়ালস" মুক্তি দেন। সেই অ্যালবামে তার প্রথম অ্যালবামে মূল উপাদানগুলো ছাড়াও তার ইব্রীয় গানের বেশ কয়েকটি ইংরেজি সংস্করণ রয়েছে। ইসরায়েলের স্বর্ণ (২০ হাজার কপি) স্বীকৃতি থাকা সত্ত্বেও, সেই অ্যালবাম একটি আন্তর্জাতিকভাবে সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Rita - Official Website"rita.co.il। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  2. Fassihi, Farnaz; Mitnick, Joshua. "Iran and Israel Can Agree on This: Rita Jahanforuz Totally Rocks", Wall Street Journal, June 2, 2012

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]