ভাঁট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভন্টাকি (ঘেঁটু) বা ভাঁট চৈতঘাড়া ফুল
Clerodendrum infortunatum
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: উদ্ভিদ
বিভাগ: সপুষ্পক উদ্ভিদ
শ্রেণী: Eudicots
বর্গ: Lamiales
পরিবার: Lamiaceae
গণ: Clerodendrum
প্রজাতি: infortunatum
দ্বিপদী নাম
Clerodendrum infortunatum
L.
প্রতিশব্দ
  • Clerodendrum viscosum Vent.
  • Clerodendrum calycinum Turcz.
সাভারের বিরুলিয়ায় প্রস্ফুটিত ভাঁট ফুল

ভাঁট, ভাইট, বনজুঁই বা ঘেটু গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। বৈজ্ঞানিক নাম Clerondendron viscosum। এটি গ্রামবাংলার অতি পরিচিত একটি বুনো উদ্ভিদ।[১]

বিস্তৃতি[সম্পাদনা]

ভারতবর্ষ, বাংলাদেশমায়ানমার অঞ্চল এদের আদি নিবাস।[১]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

ভাঁট গাছের প্রধান কাণ্ড সোজাভাবে দন্ডায়মান, সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশেল আছে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম অবধি ফুল ফোটে। এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। ফুল ফোটার পর মৌমাছিরা ভাঁট ফুলের মধু সংগ্রহ করে। গ্রামের মেঠো পথের ধারে, পতিত জমির কাছে এরা জন্মে থাকে এবং কোনরূপ যত্ন ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। এছাড়াও পাহাড়ি বনের চূড়ায় এবং পাহাড়ি ছড়ার পাশে এদের উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষনীয়।[১]

ব্যবহার[সম্পাদনা]

ভাঁট গাছ ঔষধি গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এর পাতার রস শিশুর জ্বর দূর করে। এছাড়াও সনাতন ধর্মালম্বীরা ভাঁট ফুল দিয়ে ভাঁটি পূজার আয়োজন করে থাকে।[১]

ঔষধি গুণাগুন[সম্পাদনা]

এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। ফ্ল্যাভোনয়েড থাকার জন্য এটি ক্যানসার দমনে সহায়ক। এছাড়াও কৃমি, চুলকানি, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার ও উদরাময় প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে এটি সাহায্য করে। তবে এটি খুব বেশি স্বীকৃত নয়।

বাংলা সাহিত্যে ভাঁট[সম্পাদনা]

জীবনানন্দ দাশের একটি কবিতায় ভাঁট গাছের প্রসঙ্গ এসেছে,

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]