আঁদ্রে কার্তেস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আঁদ্রে কার্তেস
১৯৮২ সালে নিউ ইয়র্কে আঁদ্রে কার্তেস
জন্ম
আন্ডোর কার্টেস

২রা জুলাই, ১৮৯৪
মৃত্যু২৮শে সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫ (৯১ বছর)
জাতীয়তাহাঙ্গেরীয়
পেশাআলোকচিত্র
দাম্পত্য সঙ্গীএলিজাবেথ স্যালি

আঁদ্রে কার্তেস (হাঙ্গেরীয় ভাষায়: André Kertész) (২রা জুলাই, ১৮৯৪ - ২৮শে সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫) হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণকারী আলোকচিত্রগ্রাহক। তিনি আলোকচিত্র কম্পোজিশনে বিশেষ অবদান এবং ফটো রচনার প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের জন্য বিখ্যাত হয়েছেন। দীর্ঘ কর্মজীবনের প্রথম দিকে কয়েকটি কারণে তিনি বিশেষ পরিচিতি লাভ করতে পারেন নি। কারণগুলোর মধ্য ছিল, সে সময়ের প্রচলিত প্রথা বাদ দিয়ে ভিন্নরকম ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলের ব্যবহার এবং ছবি তোলার নিজস্ব ধরন ত্যাগ করার প্রতি অনীহা। অবশ্য কর্ম জীবনের শেষ দিকেও মনে করতেন, তার যোগ্যতার যথেষ্ট আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তিনি পাননি। অবশ্য বর্তমানে তাকে ফটো সাংবাদিকতার ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। [১][২] সামগ্রিক আলোকচিত্র শিল্পের ইতিহাসেও তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন।

পরিবারের সবাই চাইতেন কার্তেস শেয়ার বেচা-কেনার কাজ করুক। কিন্তু তিনি সেই তখন থেকেই আলোকচিত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েন। নিজেই অনেক কিছু শিখেছেন। তার প্রাথমিক আলোকচিত্রগুলো বিভিন্ন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছিল। জীবনের অনেকটা সময়ই তার ছবি এভাবে প্রকাশিত হয়েছে। অবশ্য শেষ দিকে তিনি এর জন্য অর্থগ্রহণ ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেন এবং ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে প্যারিসে চলে যান। সেখানে অভিবাসীদের শিল্প চাহিদা মেটানো এবং উপাত্ত আন্দোলনে যুক্ত হয়ে পড়েন। এ কাজে সফলতাও অর্জন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চাপে তাকে ফ্রান্স ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে হয়। সেখানে জীবন চালাতে তাকে বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল। আয়ের অন্যতম উৎস ছিল ছবি বিক্রয় । তার ছবির উপযুক্ত স্বীকৃতি না-দেয়ায় বেশ কয়েকজন সম্পাদকের সাথে তার মনোমালিন্যও হয়েছিল। ১৯৪০ ও ১৯৫০-এর দশকে সাময়িকীতে ছবি দেয়া ছেড়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। তার ছবিগুলো দেশে-বিদেশে বেশ প্রশংসা অর্জন করে। অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পান। তারপরও তিনি মনে করতেন, মেধার উপযুক্ত স্বীকৃতি পাননি। এই ধারণা নিয়েই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার ছবিগুলো কোন সময়ে কোথায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল তার উপর ভিত্তি করে তার কর্মজীবনকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হচ্ছে: হাঙ্গেরীয় যুগ, ফরাসি যুগ, মার্কিন যুগ এবং আন্তর্জাতিক যুগ (জীবনের শেষ দিকে)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Naef, Weston J.; Phillips, Sandra S.; Travis, David (১৯৮৫)। André Kertész: Of Paris and New York। Chicago: The Art Institute of Chicago। পৃষ্ঠা 7–124। আইএসবিএন 0-500-54106-X 
  2. Capa, C.; Hinson, Hal; Harder, Susan; Kubota, Hiroji (১৯৮৭)। André Kertész: Diary of Light। New York: Aperture Books। পৃষ্ঠা 198–206। আইএসবিএন 0-89381-256-0 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]