লারাবাঙ্গা মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লারাবাঙ্গা মসজিদ
লারাবাঙ্গা মসজিদ, ঘানা
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
জেলা[[পশ্চিম গঞ্জা জেলা]]
অঞ্চলউত্তরীয় ধর্মীয়
যাজকীয় বা
সাংগঠনিক অবস্থা
ব্যবহার হচ্ছে
অবস্থাসক্রিয়
অবস্থান
অবস্থান ঘানা
রাজ্যঘানা
স্থাপত্য
স্থপতিআয়ুবা
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীসুদানীয় নকশার স্থাপত্য
বিনির্দেশ
দৈর্ঘ্য৮ মিটার (২৬ ফু)
প্রস্থ৮ মিটার (২৬ ফু)
গম্বুজসমূহএক
মিনারএক
উপাদানসমূহরৌদ্রপক্ব ইষ্টক (কাদা মাটি আর বেণুবাঁশ)

লারাবাঙ্গা মসজিদ হল ঐতিহাস্যিক সুদানীয় স্থাপত্যের নকশায় তৈরি একটি মসজিদ। এই মসজিদটি ঘানার লারাবাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত। এটা ঘানার সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ এবং পশ্চিম আফ্রিকার পুরাতন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৪২১ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি তৈরির পর থেকে কয়েকবার এই মসজিদটিকে পুননির্মাণ করা হয়। বিশ্ব ভাস্কার্য তহবিল (WMF) মসজিদটির পুনরায় নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এই মসজিদটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন ১০০ এলাকার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। পুননির্মাণের কাজটি কাদা মাটির- আস্তর বা কাদা-মাটির-প্লাষ্টারের জ্ঞানে রেখে করা হয়েছে।

এই মসজিদটির একটি পুরাতন কোরআন আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, ১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে এই মসজিদের তৎকালীন ইমাম ইদান বারিমাহ বারাম আল্লাহ্ এর কাছে প্রার্থনা করেন, তার প্রার্থনার ফলস্বরূপ জান্নাত বা স্বর্গ থেকে এই আল কোরআন তাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। মসজিদটি কাদা আর বেণুবাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মসজিদটির দুইটি পিরামিডীয় আকৃতির মিনার রয়েছে।

অবস্থান[সম্পাদনা]

লারাবাঙ্গা মসজিদটি ঘানার উত্তরীয় অঞ্চলের পশ্চিম গঞ্জা জেলার ডামোংগো এর কাছাকাছি ইসলামী শহর লারাবাঙ্গায় অবস্থিত। লারাবাঙ্গা শহরটি প্রায় ১০ মাইল (১৬ কিমি) পশ্চিমে ডামোংগো শহরের, এবং এখান থেকে মোল ন্যাশনাল পার্ক ৫ মাইল (৮.০ কিমি) দূরে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পৌরণিক কাহিনী অনুযায়ী, ১৪২১ খ্রিষ্টাব্দে আয়ুবা নামক একজন মুসলিম বণিক লারাবাঙ্গায় অবস্থানকালে স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্নে তাকে কাছের পাথরের নিকটে মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়। হঠাৎ সে যখন ঘুম থেকে জেগে উঠে আর সেখানে সেই জায়গাটি খুজে পায় এবং যতদিন মসজিদটা সম্পূর্ণ হয়নি ততদিন তিনি নির্মাণ কাজ অগ্রসর করেন।[২][৩] বিশ্বাস করা হয় যে, মসজিদের পাশের বাওবাব গাছের তলায় আয়ুবার দেহাবশেষ সমাহিত করা হয়েছে।[২] পশ্চিম আফ্রিকার শহরে অবস্থিত অন্যান্য মসজিদের তুলনায় এই মসজিদটি অনেক পৃথক, এছাড়াও লারাবাঙ্গা মসজিদটি তুলনামূলকভাবে ছোট।

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "লারাবাঙ্গা মসজিদ"। ঘানা পর্যটন কর্তৃপক্ষ। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৩ 
  2. "Ancient Mosques of the Northern Region"। Ghana Museums & Monuments Board। ২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৩ 
  3. Briggs 2014, পৃ. 436।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]