দ্রিতা (ম্যাগাজিন)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্যাজেটা দ্রিতা
সম্পাদকগ্রঞ্জিত জেলা
বিভাগসাহিত্য
প্রকাশনা সময়-দূরত্বসাপ্তাহিক (রবিবার)
প্রকাশকঅ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য ইয়াং মডার্ন আর্টিস্টস অফ আলবেনিয়া বর্তমানে ম্যাগাজিনটির সম্পাদক। ব্যক্তি হিসেবে আছে পেত্রো পোগা, শাহিন কোলোঞ্জা, এবং আলবেনিয়ান লিগ অফ রাইটার্স অ্যান্ড আর্টিস্ট
প্রথম প্রকাশ১৪ জানুয়ারি, ১৮৮৩
দেশ আলবেনিয়া
ভাষাআলবেনীয়
ওয়েবসাইটwww.artistet.org/drita

দ্রিতা ম্যাগাজিন (আলবেনীয়: Shoqëria e Artistëve të Rinj Modernë) হচ্ছে অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য ইয়াং মডার্ন আর্টিষ্ট অফ আলবেনিয়া থেকে আলবেনিয়া থেকে প্রকাশিত একটি ম্যাগাজিন। আলবেনীয় দ্রিতা শব্দের অর্থ ‘আলো’। আলবেনীয় ভাষায় প্রকাশিত ম্যাগাজিনগুলোর মধ্যে দ্রিতা সর্বপ্রথম।[১] এই ম্যাগাজিনটি ১২৭ বছর ধরে প্রকাশিত হয়ে আসছে। যদিও মাঝে কয়েকবার এটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

দ্রিতা আলেবেনীয় ভাষায় প্রকাশিত প্রথম দিকের ম্যাগাজিনগুলোর একটি। ১৮৮৩ সালে প্রথমে এটি ছাপা হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে (পরবর্তীতে উসমানীয় সাম্রাজ্য)। তুরস্কে অবস্থিত দ্য সেন্ট্রাল কমিটি ফর ডিফেন্ডিং আলবেনিয়ান রাইটস, সোসাইটি ফর দ্য প্রিন্টিং অফ দি আলবেনিয়ান রাইটিংস, এবং তাদের সভাপতি সামি ফ্রাশেরি ছিলেন ম্যাগাজিনটির প্রধান অবদানকারী। যদিও সে সময়ে তাদের পরিচয় গোপন ছিলেন। ম্যাগাজিনটির প্রকাশক ছিলেন পেট্রো পোগা। তৃতীয় সংখ্যার প্রকাশের পর ম্যাগাজিনটি তাদের নাম পরিবর্তন করে রাখে দিতুরিয়া (অর্থ ‘জ্ঞান’)।[৩] সেই সাতে ম্যাগাজিনটি স্থানান্তর করে বুখারেস্টে স্থানান্তরিত হয়।[৪] এরপর ম্যাগাজিনটি প্যান্ডেলি সোতিরির পরিচালনায় পরিচালিত হতে থাকে।

এই প্রকাশনাটি তৎকালীন শাসক ও লেখকদের একটি গোষ্ঠীর বিরূদ্ধে ছিলো বলে জানা যায়। পরিচয়ের গোপনীয়তা রক্ষার্থে নাইম ফ্রাশেরি নিজেও তার নাম শুধুমাত্র ডি (D) অক্ষর দ্বারা স্বাক্ষর করতেন। যে কমিটি এই ম্যাগাজিনটির প্রকাশনায় সহায়তা করতো তারা আলবেনিয়ায় বাইবেলের বইগুলো প্রকাশ করতেন। তারা গসপেল অফ ম্যাথিউজেনেসিস-এর মতো বইও প্রকাশনার অনুমতি বের করেন।[৪]

এই ম্যাগাজিনটি শুধুমাত্র আলবেনিয়ার প্রথম গবেষণাধর্মী ম্যাগাজিন ছিলো না।[৪] এই ছিলো আলবেনিয়ার আধুনিক লেখনীর একটি নিদর্শন ও অংশ। এই ম্যাগাজিনটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছিলো কারণ কোতো হোজি, সামি ফ্রাশেরি, পাশকো ভাসা, এবং জানি ভ্রেতো ১৮৭৯ সালে লেখার জন্য আলবেনীয় ভাষার অক্ষরগুলোকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেছিলেন। এর ওপর ভিত্তি করেই আলেবনীয় ভাষার প্রথম বর্ণমালার বই লেখা সম্ভব হয়েছিলো, বাইবেল প্রকাশ করা গিয়েছিলো, এবং একই সাথে দ্রিতাও প্রকাশিত হয়েছিলো।[৪]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাবার পর ১৯৪৫ সালে আবার এটির প্রকাশিত হতে থাকে, এবং আলবেনিয়ান লিগ অফ রাইটার্সের এ প্রাতিষ্ঠানিক ম্যাগাজিন হিসেবে নির্বাচিত হয়। কিছু সময়ের জন্য টিওডোর কেকো ম্যাগাজিনটির প্রধান সম্পাদকে দায়িত্ব পালন করেন।[৫] তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত আলবেনীয় লেখক। ২০০৭ সালে অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য ইয়াং মডার্ন আর্টিস্ট অফ আলবেনিয়া ম্যাগাজিনটির দায়িত্ব নেয় এবং তাদের মাধ্যমেই ম্যাগাজিনটি এখনো প্রকাশিত হয়ে আসছে।[২][৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. The Albanians: an ethnic history from prehistoric times to the present, Edwin E. Jacques, p.296, 1995, accessed 19 April 2010
  2. "Official Website"। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১০ 
  3. SAMI FRASHËRIOR ŠEMSEDDIN SAMI ?MYTHOLOGIZATION OF AN OTTOMANINTELLECTUAL IN THE MODERN TURKISH ANDSOCIALIST ALBANIAN HISTORIOGRAPHIES BASEDON « SELECTIVE PERCEPTION »Bülent Bilmez* page 18 [১]
  4. The Albanians: an ethnic history from prehistoric times to the present, Edwin E. Jacques, p.290, 1995, accessed April 2010
  5. "Teodor Keko"। Toena Publishing House। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১০ 
  6. Riza Lahi (২০০৮-০৯-২৮)। "[[আলবেনীয় ভাষা|আলবেনীয়]]"। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১০  ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)