শ্বেতা পণ্ডিত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্বেতা পণ্ডিত
২০১২ সালে শ্বেতা পণ্ডিত
জন্ম
পেশানেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী, অভিনেত্রী
কর্মজীবন২০০০-বর্তমান
আত্মীয়
সঙ্গীত কর্মজীবন
ধরননেপথ্য সঙ্গীত, হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয়, ভারতীয় পপ
বাদ্যযন্ত্রকণ্ঠ
লেবেলভার্জিন রেকর্ডস

শ্বেতা পণ্ডিত হলেন একজন ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পীঅভিনেত্রী। তিনি তেলুগুতামিল চলচ্চিত্রের গান এবং অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় গান গেয়ে থাকেন। তেলুগু ভাষার কোটা বঙ্গারু লোকম (২০০৮) চলচ্চিত্রের "নেনানি নিবাণী" গানে কণ্ঠ দিয়ে শ্রেষ্ঠ তেলুগু নারী নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেন। এছাড়া তিনি মির্চি সঙ্গীত পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

শ্বেতা মুম্বইয়ে এক সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বিশ্বরাজ পণ্ডিত। তার পিতামহ সঙ্গীত আচার্য পণ্ডিত প্রতাপ নারায়ণ এবং তার পিতামহের ভাই প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত জসরাজ। তার বোন শ্রদ্ধা পণ্ডিত একজন সঙ্গীতশিল্পী,[১] এবং ভাই যশ পণ্ডিত টেলিভিশন অভিনেতা। শ্বেতা বলেন যে, তার গান গাওয়ার প্রেরণা হলেন তার বোন শ্রদ্ধা।[১]

মাত্র ৪ বছর বয়সে শ্বেতা সুরকার ইলাইয়ারাজার সুরে অঞ্জলি চলচ্চিত্রে কাজ করেন, যা পরে হিন্দিতেও রেকর্ড করা হয়। তিনি এই চলচ্চিত্রের প্রধান শিশুশিল্পীর হয়ে ডাবিং করেন এবং হিন্দিতে গানগুলিও গান,[২] ফলে তিনি বলিউড সঙ্গীতশিল্পের কনিষ্ঠতম সঙ্গীতশিল্পী। নয় বছর বয়সে তিনি তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হুসেনের সুরকার হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্র সাজ-এর গানেও কণ্ঠ দেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

২০০০ সালে তিনি যখন সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তখন তিনি যশ রাজ ফিল্মসে আদিত্য চোপড়া পরিচালিত মোহাব্বতে চলচ্চিত্রের গান গাওয়ার সুযোগ পান।[১] তাকে একাধিক গায়িকা থেকে অডিশনের মাধ্যমে বাছাই করা হয়েছিল। তিনি এই চলচ্চিত্রের পাঁচটি গানে কণ্ঠ দেন, সেগুলি হল "চলতে চলতে" (১ম সংস্করণ), "প্যায়রোঁ মেঁ বন্ধন হ্যায়", "আঁখেঁ খুলি", "সোনি সোনি" ও "চলতে চলতে" (২য় সংস্করণ)। ২০০২ সালে তার যখন ১৬ বছর বয়স তখন ইএমআই ভার্জিন রেকর্ডস থেকে তার প্রথম অ্যালবাম ম্যাঁয় জিন্দগি হুঁ প্রকাশিত হয়, ফলে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ পপ তারকা। এই অ্যালবামের তিনটি গানের ভিডিও প্রকাশিত হয়, এতে তিনি অভিনয়ও করেন। এরপর তিনি রুদ্রাক্ষ (২০০৩) চলচ্চিত্রে "ইশ্‌ক খুদাই", নিল এন নিক্কি (২০০৫) চলচ্চিত্রে "হাল্লা রে" এবং ফাইট ক্লাব (২০০৬) চলচ্চিত্রে "চোরে কি বাতেঁ" গানে কণ্ঠ দেন। ২০০৫ সালে তার আরেকটি পপ গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়, যার নাম আপলাম চাপলাম। এই অ্যালবামের গানে বলিউড তারকা সালমান খান অভিনয় করেন।

২০০৭ সালে তার গাওয়া পার্টনার চলচ্চিত্রের "ইউ আর মাই লাভ", ও ওয়েলকাম চলচ্চিত্রের "তেরা সরাপা" গান দুটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০০৮ সালে তিনি তেলুগু ভাষার কোটা বঙ্গারু লোকম (২০০৮) চলচ্চিত্রের মিকি জে. মেয়ারের সুরে "নেনানি নিবাণী" গানে কণ্ঠ দিয়ে শ্রেষ্ঠ তেলুগু নারী নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেন।[৩] একই বছর তিনি সরকার রাজ (২০০৮) চলচ্চিত্রের "ঝিনি ঝিনি" গানে কণ্ঠ দেন।

২০১১ সালে তিনি সত্যগ্রহ চলচ্চিত্রে "রঘুপতি রাঘব", ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা চলচ্চিত্রে "চাডা দে রং", লেডিস ভার্সাস রিকি বেহল চলচ্চিত্রে "থাগ লে", মেরে ব্রাদার কি দুলহান চলচ্চিত্রে "মধুবালা" গানে কণ্ঠ দেন। পরের বছর তার তামিল চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে অভিষেক ঘটে যুবান শঙ্কর রাজার সুরে বেট্টাম চলচ্চিত্রের "কাট্টিপিডি এন্না" গানের মধ্য দিয়ে। তিনি ড্যাভিড নামের একটি তামিল চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন।[২] ২০১৪ সালে তিনি রাজা নটবরলাল চলচ্চিত্রে "তেরে হোকে রহেঙ্গে" ও হাইওয়ে চলচ্চিত্রে "হীরা" গানে কণ্ঠ দেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

শ্বেতা ২০১৬ সালে ইতালীয় চলচ্চিত্র প্রযোজক ইভনো ফুচ্চির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৪] ২০১৮ সালের অক্টোবরে তিনি জানান যে, তার যখন ১৫ বছর বয়স, তখন সঙ্গীত পরিচালক অনু মালিক তাকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন; এর ফলশ্রুতিতে মালিককে ইন্ডিয়ান আইডল অনুষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Shweta Pandit: High notes of success"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২০ 
  2. "Would love to sing more Tamil songs: Shweta"নিউজ এইটিন। ১৭ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২০ 
  3. "filmfare south awards 2008 - Telugu cinema function"আইডল ব্রেইন। চেন্নাই। ৩ আগস্ট ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২০ 
  4. "Shweta Pandit marries Italian boyfriend Ivano Fucci"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২০ 
  5. "MeToo: Singer Shweta Pandit calls Anu Malik a paedophile, says he asked her for a kiss at 15"হিন্দুস্তান টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]