লোকঐতিহ্য জাদুঘর

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৩′৪৮″ উত্তর ৯০°২৩′৪৯″ পূর্ব / ২৩.৭৩০০১৭৫° উত্তর ৯০.৩৯৬৮২৯৮° পূর্ব / 23.7300175; 90.3968298
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লোকঐতিহ্য জাদুঘর
মানচিত্র
স্থাপিত২০১৭
অবস্থানবর্ধমান হাউস, বাংলা একাডেমি
স্থানাঙ্ক২৩°৪৩′৪৮″ উত্তর ৯০°২৩′৪৯″ পূর্ব / ২৩.৭৩০০১৭৫° উত্তর ৯০.৩৯৬৮২৯৮° পূর্ব / 23.7300175; 90.3968298
ধরনলোকজাদুঘর
প্রতিষ্ঠাতাবাংলাদেশ সরকার
মালিকসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়

লোকঐতিহ্য জাদুঘর বাংলাদেশের ঢাকার একটি লোকজাদুঘর। এটি বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের তৃতীয় তলার পশ্চিম পাশে অবস্থিত।[১][২] বিষয়ভিত্তিক জাদুঘর হিসেবে জাদুঘরটি বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতির সৃষ্টিশীলতা উপস্থাপন করে। ২০২০ সালে জাদুঘরটি জনসাধারণের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।[৩] এটি বাংলা একাডেমির তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত চারটি জাদুঘরের মধ্যে একটি।[৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৫২ সালে বর্ধমান হাউস ছিল পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিনের বাসভবন। ১৯৫৫ সালে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর লোকাচারবিদ্যার উপাদান সংগ্রহের এবং সংরক্ষণের বিষয়ে পদক্ষেপ গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন পুরোনো প্রেস ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে লোকশিল্পের সংগৃহীত বিভিন্ন উপাদান প্রদর্শন করার ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তীকালে সম্প্রসারিতভাবে উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে লোকঐতিহ্য জাদুঘর নামে বর্ধমান হাউসে এই সংগ্রহশাল স্থানান্তর করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থ বিভাগের অনুমোদনে ২০১৪-২০১৭ অর্থবছরে ‘বর্ধমান হাউসে লোকঐতিহ্য জাদুঘর সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ কর্মসূচি নামে জাদুঘরটি পূর্ণাঙ্গরূপে স্থাপন করা হয়।[২][৩]

সংগ্রহ[সম্পাদনা]

১৯৫৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন লোকউপাদান উপাদান সংগ্রহ করেছিল বর্তমানে সেগুলি এখানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাদুঘরের উল্লেখযোগ্য সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে গাজীর পট, শতরঞ্জি, বাঁশ-বেতের উপকরণ, রিকশাচিত্র, দারুশিল্প’র সামগ্রী (কাঠের কাজ), গ্রামীণ জীবনধারার মডেল নকশিশিকা, নকশিকাঁথা, জামদানি, মৃৎশিল্পের অলংকার, প্রভৃতি। গৃহস্থলি সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রাচীন ধাতব পানের বাটা, পানথাল, নকশিবাটি, সুরাই (মাটির তৈরি সরুগলা জলপাত্রবিশে), জগ, ভূঙ্গার (জলপাত্র), গ্লাস, গামলা, খলোই (বাঁশ দ্বারা নির্মত মাছ বা তরিতরকারি প্রভৃতি বহন করবার খাড়া ঝুড়িবিশেষ), সরডোষ, রেকাবি (ক্ষুদ্র থালাবিশেষ), ঝঅর, গারু, হাতপাখা মাপনি (পরিমাপ যন্ত্র), চালুনি, ইত্যাদি। এখানে মোঘল আমলের একটি বড় ‘আফতাবা (পানি রাখার পাত্র) রয়েছে।[২] লোক বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে রয়েছে বাঁশি, সারিন্দা, একতারা, দোতারা, করতাল, ঢাক, খঞ্জনি, ঝাঝ, ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে কাঠ, মাটি, ধাতু, শোলা প্রভৃতি উপকরণে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক সংগ্রহ।[৩][২] এসকল প্রাচীন নিদর্শনগুলো ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ, মিরপুর, জিঞ্জিরা এবং দিনাজপুর, নাটোর, রাজশাহী জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।[২]

সময়সূচী[সম্পাদনা]

জাদুঘরটি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। শুক্র ও শনিবার সপ্তাহিক বন্ধ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. নন্দী, দীপন (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "বর্ধমান হাউস এখন জাদুঘর"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৪ 
  2. "বাংলা একাডেমিতে 'লোকঐতিহ্য জাদুঘর' স্থাপন"। dmpnews। ২০ জুলাই ২০১৭। ১৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৪ 
  3. "লোকঐতিহ্য জাদুঘর"বাংলা একাডেমি। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৪ 
  4. "৬৬ বছরে বাংলা একাডেমি"যায়যায়দিন। ৩ ডিসেম্বর ২০২০। ৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৪