মথুরা পেড়ে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মথুরা পেড়ে
অন্যান্য নামমথুরার পেড়ে বা পেড়া
প্রকারনাস্তা, প্রসাদ
উৎপত্তিস্থলভারত
অঞ্চল বা রাজ্যমথুরা,উত্তর প্রদেশ
প্রধান উপকরণখোয়া, চিনি, দুধ
ভিন্নতামথুরার পেড়ে, মেওয়া ভাতি পেড়ে এবং রপ্তানিযোগ্য বিশেষ পেড়ে
মথুরা পেড়ে
ভৌগোলিক নির্দেশক
ধরনমিষ্টি খাদ্যের পদ
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটhttp://ipindia.nic.in/girindia/

মথুরা পেড়ে হচ্ছে একটি উত্তর ভারতীয় মিষ্টি খাদ্যের পদ যার উৎপত্তি ভারতের মথুরায়উত্তর ভারতে মিষ্টি খোয়া বা মেওয়া থেকে প্রস্তুত করা হয় পেড়া হচ্ছে একটা মেওয়া মিষ্টির প্রকারভেদ।[১] মথুরা পেড়ে ভারতে এতোই প্রসিদ্ধ যে লোকমুখে একটা কথা আছে “মথুরা কা পেড়া অউ ছত্তিসগড় কা খেড়া”।[২] পেড়ার জন্য মথুরা একটি ট্রেডমার্ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৩] ভ্রমণকালে, মথুরার পেড়ে, মেওয়া ভাতি পেড়ে এবং রপ্তানিযোগ্য বিশেষ পেড়ে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।[৪] এই মিষ্টি খাদ্যের পদ ভারতের ভৌগোলিক অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়।

জন্মাষ্টমী ভোগ[সম্পাদনা]

কৃষ্ণের জন্মভুমি মথুরায় জনপ্রিয় প্রসাদ হিসেবে মথুরার পেড়ে বিতরণ করা হয়।[৫] টাটকা মেওয়া, চিনি, দুধ এবং ঘি সাথে অতিরিক্ত স্বাদের জন্য এলাচ একত্রে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়। পেড়ার স্বাদ ছাড়া জন্মাষ্টমী যেন ভারতে অপূর্ণ থেকে যায়। প্রতি বছর এই দিনে পেড়া তৈরি করা হয় কৃষ্ণার নামে উৎসর্গ করতে এবং উপবাস ভাঙ্গতে।[৬]

সার্বভৌমিক প্রসিদ্ধি[সম্পাদনা]

মথুরার বাইরে ও ভারতের অন্যান্য পর্যটন শহরে, মথুরার পেড়ে, আগ্রার পিঠা এবং মনেরের লাড্ডুর মতোই জনপ্রিয়।[৭]

পেড়া মিষ্টি

এন্ড্রয়ড নামকরণে মতানৈক্য[সম্পাদনা]

গুগল যখন পরবৰ্তী এন্ড্রয়ড সংস্করণের নাম ভারতীয় মিষ্টি/মিঠাইর নামে নামাকরণ করবে বলে ঘোষণা করেছিল,বিভিন্ন পরামৰ্শিত নামের ভিতর মথুরা পেড়াও ছিল। কিন্তু ভারত সরকার কোনো একটা নাম সঠিকভাবে নিৰ্বাচন করতে না পাড়ায় গুগল উক্ত প্ৰস্তাবটি ২০১৮ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়।[৮]

লোকসাহিত্যিক রস[সম্পাদনা]

ভারতীয় লোকসাহিত্যে ও মথুরার পেড়ের স্বাদ দেখতে পাওয়া যায়।"মথুরা কা পেড়ে মোহে লাও, খিলাওে জি....."( সে আমাকে মথুরার পেড়ে খেতে দিল) সন্দ পূজন গীতে ভারতে এটি খুব জনপ্রিয়।[৯][১০]

রন্ধন প্রণালীর লিংক[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sanjeev Kapur। Mithai। Popular Prakashan। পৃষ্ঠা Author's Note। আইএসবিএন 9788179917121 
  2. Madhya Pradesh (India) (১৯৬৫)। Madhya Pradesh district gazetteers, Volume 1। Govt. Central Press। পৃষ্ঠা 107। 
  3. John Napier (২০১৩)। They Sing the Wedding of God: An Ethnomusicological Study of the Mahadevji ka byavala as Performed by the Nath-Jogis of Alwar। McFarland। পৃষ্ঠা 175। আইএসবিএন 9781476602134 
  4. Kavita Kanan Chandra (মার্চ ১১, ২০১৫)। "Love and Lord Krishna"Kavita Kanan Chandra। India Currents। ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ 
  5. Seema Mattoo (সেপ্টে ৪, ২০১৫)। "What each region prepares for Krishna on his birthday"Seema Mattoo। Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ 
  6. Sapana Behl। "Mathura ke Pede"Sapana Behl। Indian Simmer। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  7. Saransh Goela (২০১৫)। India on my Platter। Om Books International। পৃষ্ঠা Day 83। আইএসবিএন 9789383202041 
  8. Mishtik Journo (ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫)। "liticians, Laddoo, Chum-chum, Mysore-Pak, Peda, Kheer fight out for Android version name"Mishtik Journo। New Delhi। Faking news। ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৬ 
  9. Folk-lore, Volume 13। Indian Publications। ১৯৭২। পৃষ্ঠা 260। 
  10. Satya Prakash Arya (১৯৭৫)। A Sociological Study of Folklore: Projected Research in Kuru Region (Saharanpur, Muzaffarnagar, Meerut, Bulandshahar, and Bijnor Districts of Western Uttar Pradesh)। Indian Publications। পৃষ্ঠা 102।