ব্যবহারকারী:Rmtskh007/খেলাঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভারতে সমাজতন্ত্র[সম্পাদনা]

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভারতে সমাজতন্ত্র হল একটি রাজনৈতিক আন্দোলন যা ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশ হিসেবে একবিংশ শতকের গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জমিদার, রাজকীয় শ্রেণী এবং জমিদারদের পাইক-পেয়াদাদের বিরুদ্ধে ভারতের কৃষক ও শ্রমিকদের সমর্থনের কারণে আন্দোলনটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। স্বাধীনতার পর এবং নব্বয়ের দশকের গোড়ার দিকে সমাজতন্ত্র ভারতীয় সরকারের কিছু অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতি গ্রহণে ব্যবহৃত হয়। যদিও তারা বেশিরভাগই ক্ষেত্রে ডিরিজিজমের নীতি অনুসরণ করেছিল।[১][২] পরবর্তীতে ভারত আরোও বাজার-ভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যায়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৭১ সালে কলকাতার একটি দল কার্ল মার্ক্সের সাথে ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল[৩] এর ভারতীয় বিভাগ সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করেছিল। মার্চ ১৯১২ সালে প্রথম একটি ভারতীয় প্রকাশনার নিবন্ধ (ইংরেজি) মডার্ন রিভিউতে মার্কস ও এঙ্গেলস-এর নাম উল্লেখ করে। Karl Marx – a modern Rishi শিরোনামের সংক্ষিপ্ত জীবনীমূলক নিবন্ধটি জার্মান-ভিত্তিক ভারতীয় বিপ্লবী লালা হার দয়াল লিখেছিলেন। ভারতীয় ভাষায় কার্ল মার্ক্সের প্রথম জীবনী ১৯১৪ সালে আর. রামা কৃষ্ণ পিল্লাই লিখেছিলেন।

রুশ বিপ্লবের সময় মার্কসবাদ ভারতীয় মিডিয়াতে একটি বড় প্রভাব ফেলেছিল। বিপিন চন্দ্র পাল এবং বাল গঙ্গাধর তিলক ছিলেন বিশিষ্ট ভারতীয়দের মধ্যে অগ্রগামী যারা লেনিন এবং রাশিয়ার নতুন শাসকদের প্রশংসা করেছিলেন। আবদুল সাত্তার খায়রি ও আবদুল জব্বার খায়রি বিপ্লবের কথা শুনে তাৎক্ষনাত মস্কো চলে যান। মস্কোতে তাঁরা লেনিনের সাথে দেখা করেন এবং তাঁকে তাঁদের শুভেচ্ছা জানান। রুশ বিপ্লব উত্তর আমেরিকার গদর পার্টির মতো অভিবাসী ভারতীয় বিপ্লবীদেরও প্রভাবিত করেছিল।[৪]

খিলাফত আন্দোলন আদি ভারতীয় সাম্যবাদের উত্থানে অবদান রাখে। অনেক ভারতীয় মুসলমান খিলাফত রক্ষায় ভারত ত্যাগ করেছিলেন। সোভিয়েত অঞ্চল পরিদর্শন করার সময় তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কমিউনিস্ট হয়ে ওঠে। কিছু হিন্দুও মুসলিম মুহাজিরদের সাথে সোভিয়েত অঞ্চলে ভ্রমণে যোগ দেয়।[৫]

ভারতে বলশেভিক সহানুভূতির ক্রমবর্ধমান প্রভাবে ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষ স্পষ্টতই বিরক্ত ছিল। প্রথম পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ফতোয়া জারি করে মুসলমানদেরকে কমিউনিজম প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র বিভাগ কমিউনিস্ট প্রভাব পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষ শাখা প্রতিষ্ঠা করে। কাস্টমসকে ভারতে মার্কসবাদী সাহিত্যের আমদানি পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া প্রচুর সংখ্যক কমিউনিস্ট বিরোধী প্রচারণা-প্রকাশনা প্রকাশিত হয়।[৬]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রভাবে ভারতে শিল্পের দ্রুত বিস্ঘতার ঘটে, যার ফলে একটি শিল্প ধনিক শ্রেণি তৈরি হয়। একই সঙ্গে বাড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যার দরূণ ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখে। ভারত জুড়ে নগর কেন্দ্রগুলিতে ইউনিয়ন গঠন করা হয়েছিল এবং ধর্মঘট সংগঠিত হয়েছিল। ১৯২০ সালে সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়।[৭]

মুব্বাইয়ে এস এ ডাঙ্গে নামক একজন রাশিয়ার উন্নয়নে বিমুগ্ধ ভারতীয় ছিলেন। ১৯২১ সালে তিনি Gandhi Vs. Lenin শিরোনামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন যেটি উভয় নেতার দৃষ্টিভঙ্গির একটি তুলনামূলক পাঠ। এবং এই পুস্তিকার মাধ্যমে লেনিন দুজনের মধ্যে উত্তম হিসেবে বিবেচিত হয়। স্থানীয় মিল-মালিক রণছোদ্দাস ভবন লোটবালার সাথে মার্কসবাদী সাহিত্যের একটি লাইব্রেরি স্থাপন করে মার্কসবাদী ক্লাসিকের অনুবাদ প্রকাশ করা শুরু হয়।[৮] ১৯২২ সালে লোটবালার সাহায্যে ডাঙ্গে ইংরেজি সাপ্তাহিক সোশ্যালিস্ট, প্রথম ভারতীয় মার্কসবাদী জার্নাল, চালু করেন।[৯]




[সম্পাদনা]

  1. "Socialism in India"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০১-১১। 
  2. "Socialism in India"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০১-১১। 
  3. "Socialism in India"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০১-১১। 
  4. "Socialism in India"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০১-১১। 
  5. "Socialism in India"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০১-১১। 
  6. "Socialism in India"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০১-১১। 
  7. "Socialism in India"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০১-১১। 
  8. "Socialism in India"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০১-১১। 
  9. "Socialism in India"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০১-১১।