বিষয়বস্তুতে চলুন

সুভাষ চক্রবর্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Indrajit675 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''সুভাষ চক্রবর্তী''' একজন ভারতীয় বাঙালি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং [[পশ্চিমবঙ্গ]] [[সিপিআই(এম)]] এর একজন অসংবিদিত নেতা ছিলেন। তিনি [[পশ্চিমবঙ্গ সরকারের]] ক্রীড়া,পরিবহন,এবং যুব দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন।
{{Infobox Indian politician
{{Infobox Indian politician
| honorific_prefix = মাননীয়
| honorific_prefix = মাননীয়
৩৯ নং লাইন: ৩৮ নং লাইন:
| footnotes =
| footnotes =
}}
}}
'''সুভাষ চক্রবর্তী''' একজন ভারতীয় বাঙালি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং [[পশ্চিমবঙ্গ]] [[সিপিআই(এম)]] এর একজন অসংবিদিত নেতা ছিলেন। তিনি [[পশ্চিমবঙ্গ সরকারের]] ক্রীড়া,পরিবহন,এবং যুব দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন।

==প্রথম জীবন==
==প্রথম জীবন==
সুভাষ চক্রবর্তী ১৯৪২ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন হেমচন্দ্র চক্রবর্তী এবং মাতা ছিলেন লাবন্যপ্রভা দেবী। [[দমদম]] উদ্বাস্তু কলোনিতে বসবাস করা কালীন সুভাষ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের শুরু হয়।
সুভাষ চক্রবর্তী ১৯৪২ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন হেমচন্দ্র চক্রবর্তী এবং মাতা ছিলেন লাবন্যপ্রভা দেবী। [[দমদম]] উদ্বাস্তু কলোনিতে বসবাস করা কালীন সুভাষ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের শুরু হয়।

২০:৫৬, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মাননীয়
সুভাষ চক্রবর্তী
মন্ত্রী, পরিবহন দপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
কাজের মেয়াদ
১৯৯৬ – ২০০৯
পূর্বসূরীশ্যামল চক্রবর্তী
উত্তরসূরীরণজিৎ কুন্ডু
মন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
কাজের মেয়াদ
১৯৮৭ – ২০০৯
পূর্বসূরীযতীন চক্রবর্তী
উত্তরসূরীকান্তি গাঙ্গুলি
মন্ত্রী, পর্যটন দপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
কাজের মেয়াদ
১৯৮৭ – ১৯৯৬
বিধায়ক
কাজের মেয়াদ
১৯৭৭ – ২০০৯
পূর্বসূরীগণপতি সুর
উত্তরসূরীসুজিত বসু
সংসদীয় এলাকাবেলগাছিয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৮ই মার্চ ১৯৪২
ঢাকা, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু৩রা আগস্ট, ২০০৯ (বয়স ৬৭)
কলকাতা
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ১৯৬৪ থেকে
দাম্পত্য সঙ্গীরমলা চক্রবর্তী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকারাজনীতি, সমাজকর্মী

সুভাষ চক্রবর্তী একজন ভারতীয় বাঙালি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পশ্চিমবঙ্গ সিপিআই(এম) এর একজন অসংবিদিত নেতা ছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্রীড়া,পরিবহন,এবং যুব দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন।

প্রথম জীবন

সুভাষ চক্রবর্তী ১৯৪২ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন হেমচন্দ্র চক্রবর্তী এবং মাতা ছিলেন লাবন্যপ্রভা দেবী। দমদম উদ্বাস্তু কলোনিতে বসবাস করা কালীন সুভাষ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের শুরু হয়।

সুভাষ চক্রবর্তী দমদম মতিঝিল কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক হন এবং আরও পরে তিনি ভারতের ছাত্র ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হন। সুভাষ চক্রবর্তী সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস এর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সহ-সভাপতি হিসাবেও কাজ করেন।

পরিবার

সুভাষ চক্রবর্তীর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তীও সিপিআইএম এর একজন সমস্যা। রমলা চক্রবর্তী বর্তমানে সিপিআইএমের মহিলা সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। সুভাষ চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর তিনি সুভাষ চক্রবর্তীর আসন থেকে সিপিআইএম প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

রাজনৈতিক জীবন

সুভাষ চক্রবর্তী তার পুরো রাজনৈতিক জীবনে সমগ্র বাংলা জুড়ে দারুন জনপ্রিয় ছিলেন। ১৯৭৭ সালে প্রথম বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার সময় তিনি প্রথমবার বেলগাছিয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারে যুব, ক্রীড়া এবং দুগ্ধ দপ্তরের মন্ত্রী হন। ১৯৮৭তে সুভাষ চক্রবর্তী সরকারের যুব ও পর্যটন দপ্তরের পূর্ণমন্ত্রী হন। তিনি আমৃত্যু পরিবহণ , যুব এবং ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন।

সুভাষ চক্রবর্তী তার সমস্ত রাজনৈতিক জীবনজুড়ে ছিলেন বিতর্কিত এবং মাটির কাছাকাছি। তিনি রাজনৈতিক নেতার চেয়েও তার বড় পরিচয় হল তিনি ছিলেন একজন অসামান্য জননেতা।

মৃত্যু

সুভাষ চক্রবর্তী ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে কিডনি ও ফুসফুসে সমস্যাজনিত কারনে কলকাতার আমরি হাসপাতালে ভর্তি হন। এক সপ্তাহ পর ৬৭ বছর বয়সে সুভাষ চক্রবর্তী মারা যান। মৃত্যুর পর তার বয়স নিয়ে খানিকটা বিতর্ক দানা বাঁধে। কেউ কেউ বলেন মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৮ আবার কেউ কেউ বলেন তার বয়স হয়েছিল ৬৮। [১] [২]

বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া

সুভাষ চক্রবর্তী মারা যাবার পর কিংবদন্তি কমিউনিস্ট নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, যাকে সুভাষ চক্রবর্তী আদর্শ মনে করতেন, তিনি মন্তব্য করেন - "আমার যাবার সময় হয়েছে কিন্তু হাস্যকরভাবে আমি জীবিত অথচ সুভাষ আর নেই। সুভাষ ছিল একজন অত্যন্ত দক্ষ নেতা" [৩] সুভাষ চক্রবর্তী মারা যাবার পাঁচ মাস পর জ্যোতি বসুও একই হসপিটালে মারা যান।

ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন – "আমি বিস্মিত। কষ্ট হচ্ছে। আমি জানতাম গত কয়েকমাস ধরে সুভাষদা অসুস্থ ছিলেন। তিনি মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। আমি ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক বন্ধু হিসাবে তাঁকে চিনতাম।"

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী রুদ্ধ কণ্ঠে বলেন সুভাষ চক্রবর্তী তার দাদার মতো ছিলেন- "আমি তাঁকে প্রচন্ড ভালোবাসতাম। তিনি দল নির্বিশেষে সবাইকে সাহায্য করতেন। প্রতিদিন ১০০-১৫০ লোক তার বাড়িতে আসতেন সাহায্য চাইতে। এবং কেউই খালি হাতে ফিরে যেতেন না। যে কারও বিপদেই তিনি পাশে থাকতেন।"

সুভাষ চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর কলকাতা ময়দানের ক্লাবগুলি তাঁদের নিজ নিজ পতাকা অর্ধেক নামিয়ে রেখে সুভাষ চক্রবর্তীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে।[৩]

তথ্যসূত্র

  1. "WB Minister Subhas Chakraborty Dead"Headlines India। ৬ আগস্ট ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০০৯ 
  2. "West Bengal Communist leader dies"BBC। ২০০৯-০৮-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৩ 
  3. http://zeenews.india.com/home/senior-wb-minister-subhas-chakraborty-passes-away_552428.html