বিভ্রমমূলক দ্বীপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জর্জ পাওয়েলের তৈরি করা এন্টার্কটিকার ব্রান্সফিল্ড প্রণালীর ১৮২২ সালের দক্ষিণ সেটল্যান্ড দ্বীপের নৌ-চলাচল চার্টের খণ্ডে দেখানো মধ্যবর্তী বিভ্রমমূলক দ্বীপের চিত্র (ডানে - নিচে)।
১৫৫৮ সালের যেনো মানচিত্রে উত্তর আটলান্টিকের বিভ্রমমূলক দ্বীপ ফ্রাইসল্যান্ড-কে দেখানো হয়েছে।
নিকোলাস জার্মানাসের ১৪৬৭ সালের টলেমি'র ভূগোলের সংস্করণে কৃষ্ণ সাগরের খণ্ডে ভৌতিক কিয়ানিডা দ্বীপ দেখানো হয়েছে।

বিভ্রমমূলক দ্বীপ, বা, ভৌতিক দ্বীপ হলো এমন একটি কাল্পনিক দ্বীপ যা কোনো এক সময়কালে কোনো একটি মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে যার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সচরাচর এদের উদ্ভব ঘটে মূলত পূর্বের নাবিকদের কোনো নতুন অঞ্চল অনুসন্ধান সম্পর্কিত প্রতিবেদন থেকে এবং এগুলি সাধারণত নৌচালনা সম্পর্কিত ত্রুটি, ভুল পর্যবেক্ষণ, যাচাই না-করা ভুল তথ্য বা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রদত্ত মনগড়া তথ্যের ফলাফল। এগুলোর কোনো কোনোটি "অনাবিষ্কৃত" হওয়ার আগে পর্যন্ত কয়েক শতাব্দী ধরেও মানচিত্রে থেকে যায়।

যেসব স্থান একদা ছিলো বলে দাবি করা হয়েছিল (বা, পরিচিত ছিলো) কিন্তু পরবর্তীকালে সমুদ্রে গ্রাস হয়ে গিয়েছে বা অন্য কোনোভাবে ধ্বংস হয়েছে এরূপ হারিয়ে যাওয়া স্থানগুলির বিপরীতে ভৌতিক দ্বীপগুলো এমন একটি স্থান যা সমকালীনভাবে অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি করা হলেও পরে দেখা যায় যে এটি সেই প্রথম স্থানে ছিল না (বা, ক্যালিফোর্নিয়া দ্বীপের মতো একে একটি দ্বীপ হিসাবে পাওয়া যায় না)।

বিভ্রমমূলক / ভৌতিক দ্বীপের তালিকা[সম্পাদনা]

নাম "আবিস্কার"
সময়কাল
টীকা
আনতিল্লিয়া ৭১৪/১৫ শতক এই দ্বীপটি আটলান্টিসের মতোই আটলান্টিক মহাসাগরের একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক ভূখণ্ড যা একজন ইবেরীয় কিংবদন্তীর থেকে বর্ণিত।
আটলান্টিস খ্রিস্ট-পূর্ব ৩৬০ প্রাচীন গ্রিক পণ্ডিত প্লেটো কর্তৃক বর্ণিত, পরবর্তীকালে এটিকে সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়; ১৬৬৪ সালের এথানাসিয়াস কির্চারের মানচিত্রে চিত্রিত।
অরোরা দ্বীপ ১৭৬২ স্পেনিশ বাণিজ্য জাহাজ অরোরা কর্তৃক আবিস্কৃত, বর্তমানে ধারণা করা হয় যে এটি সম্ভবতঃ সাগ রক

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

অধিক পঠন[সম্পাদনা]

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]