বাচি কারকারিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাচি কারকারিয়া
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষাইংরেজি সাহিত্যে অনার্স সহ স্নাতক, সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা
মাতৃশিক্ষায়তনলরেটো কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাসাংবাদিক, লেখক
উল্লেখযোগ্য কর্ম
ডেয়ার টু ড্রিম: এ লাইফ অফ এম এস ওবেরয়

বাচি কারকরিয়া হলেন একজন ভারতীয় সাংবাদিক এবং সংবাদপত্রের বিভাগীয় লেখক। তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে একজন সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন এবং বেনেট কোলম্যান অ্যাণ্ড কো লিমিটেড মিডিয়া গ্রুপের জন্য নতুন ব্র্যাণ্ড তৈরিতেও সাহায্য করেছেন। তিনি সংবাদপত্রে ইরাটিকা নামে তাঁর ব্যঙ্গাত্মক লেখা[১] এবং সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বই, যার শিরোনাম- ডেয়ার টু ড্রিম: এ লাইফ অফ এম এস ওবেরয় - লেখার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।[২]

তিনি মুম্বাই মিররের জন্য গিভিং জ্ঞান নামে সম্পর্কের ওপর একটি পরামর্শ কলাম লেখেন,[৩] এটি টাইমস অফ ইন্ডিয়া গ্রুপের জন্য একটি শহর কেন্দ্রিক ট্যাবলয়েড। তিনি টেলিভিশন সংবাদ অনুষ্ঠানের নিয়মিত প্যানেলভুক্ত বক্তা।[৪][৫]

বাচি কারকারিয়া প্রথম ভারতীয় হিসেবে ওয়ার্ল্ড এডিটর ফোরামের বোর্ডে ছিলেন। তিনি আজীবন অর্জনের জন্য ইউএস-ভিত্তিক মেরি মরগান-হিউইট পুরস্কারের প্রাপক এবং হনলুলুর ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টারের জেফারসন ফেলো। তিনি বিল অ্যাণ্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এবং ইণ্ডিয়া এইডস ইনিশিয়েটিভের উপদেষ্টা বোর্ডে রয়েছেন।[৬]

শিক্ষা, প্রাথমিক পেশা এবং ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

একটি পার্সি পরিবারে জন্মগ্রহণ করে বাচি কারকারিয়া ১৯৬৫ সালে কলকাতার লরেটো কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স সহ স্নাতক হন এবং তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা লাভ করেন ও স্বর্ণপদক পান। তারপর তিনি তাঁদের পারিবারিক পত্রিকায় যোগ দেন। পরে, তিনি খুশবন্ত সিংয়ের অধীনে ইলাস্ট্রেটেড উইকলিতে চলে যান এবং পরবর্তীকালে টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে, টাইমস গ্রুপ তাঁকে ওয়েলসের কার্ডিফে অবস্থিত থমসন ফাউণ্ডেশনে উন্নত সাংবাদিকতায় একটি কোর্স করার জন্য পাঠায়।

সাংবাদিক হিসেবে জীবন[সম্পাদনা]

শহুরে সমস্যা[সম্পাদনা]

১৯৮০-এর দশকে, যখন শহরের সমস্যাগুলি নিয়ে প্রতিবেদনকে উচ্চ স্তরের সাংবাদিকতা বলে মনে করা হতো না, তখন কারকারিয়া কলকাতার দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকার জন্য শহুরে বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন। মুম্বাইতে ফিরে তিনি দ্য মেট্রোপলিসের শনিবারের সংস্করণ সম্পাদনা করেন, বোম্বে টাইমস চালু করেন এবং টাইমস অফ ইন্ডিয়ার ব্যাঙ্গালোর সংস্করণের নাটকীয় পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ১০ বছর ধরে ৪নং-এ স্থবির থাকার পর, ১৯৯৭ সালের মাঝামাঝি, সংস্করণটি ১নং-এ পৌঁছেছিল এবং তারপর থেকে ক্রমাগতভাবে নেতৃত্ব দিয়ে গেছে। ব্যাঙ্গালোর মডেলটি টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রিমিয়ার মুম্বাই এবং দিল্লি সংস্করণ সহ অন্যান্য সমস্ত সংস্করণের মাপনদণ্ড নিয়ামক হয়ে উঠেছে।

২০০০ সালে, মুম্বাই ট্যাবলয়েড মিড-ডে তাঁর জন্য সম্পাদকীয় পরিচালকের পদ তৈরি করেছিল, যা ছিল তাঁর খ্যাতির স্বীকৃতি। এই নতুন অবস্থান কারকারিয়াকে ইন্টারনেট এবং রেডিও সাংবাদিকতায় মূল্যবান অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যার ফলে মুদ্রণ মাধ্যমে তাঁর দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। দিল্লির আবাসিক সম্পাদক হিসাবে টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে ফিরে এসে, তিনি কাগজটিকে এর রাজনৈতিক নির্ভরতা থেকে বার করে এনেছিলেন। এর স্বীকৃতির ফলস্বরূপ, তিনি অবশেষে ২০০৪ সালে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার জাতীয় মেট্রো সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন।

এইচআইভি/এইডস এবং লিঙ্গ[সম্পাদনা]

কারকারিয়ার বেশিরভাগ কাজ জনস্বাস্থ্য, বিশেষ করে এইচআইভি/এইডস-এর জন্য নিবেদিত। তাঁর অনুসন্ধানী এবং বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন কর্মপন্থার বিষয়সূচি স্থির করেছে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে তাঁর খুঁটিয়ে গবেষণা করে লেখাগুলি গত ১৫ বছরে ভারতীয় মহামারীর সামাজিক মহামারীবিদ্যা প্রদান করে: জীবন এবং জীবিকার মধ্যে আটকে থাকা প্রান্তিক সম্প্রদায়ের দুর্দশা, নীতিনির্ধারকদের অস্বীকার, নতুন চিকিৎসা অন্ত্যজ হিসাবে এইডস এবং রক্তের পণ্যগুলিতে দূষণ। তাঁর হোয়াইট-নাকল অনুসন্ধানী সিরিজের (ইংরেজি: white-knuckle investigative series ভয়, উদ্বেগ, ইত্যাদির খুব শক্তিশালী অনুভূতি দেখানো, অনুভব করা বা সৃষ্টি করা) ফলে শেষে উল্লেখিত রক্তের পণ্যগুলি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে একটি নতুন নিরাপত্তা নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। তাঁর কাজের সারাংশ এইচআইভি/এইডসের জটিল প্রকৃতি এবং প্রভাব ব্যাখ্যা করেছে, এটিকে একটি মানবিক মুখ দিয়েছে, সরকারী উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন করেছে, জবাবদিহিতা দাবি করেছে এবং বিপজ্জনক ভণ্ডামি প্রকাশ করেছে।

কারকারিয়া সান ফ্রান্সিসকো, বার্লিন, চিয়াং মাই, ইয়োকোহামা এবং বার্সেলোনায় আন্তর্জাতিক এইডস সম্মিলনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং এই মহামারীকে থামানোর জন্য বিশ্বের প্রধান উদ্যোক্তাদের সাথে পরিচিত হয়েছেন। বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ইন্ডিয়া এইডস ইনিশিয়েটিভের উপদেষ্টা বোর্ডে নিযুক্ত হওয়া ছাড়াও, তিনি ভারতের শীর্ষ এইডস সংস্থা, এনএসিও- এর প্রথম আইনি, নৈতিক এবং সামাজিক কমিটিতে কাজ করেছেন এবং এখন আবার তার উপদেষ্টা বোর্ডে রয়েছেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল এইডস ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ (আইএভিআই) এর কাজ এবং ভারতের সাম্প্রতিক ভ্যাকসিন পরীক্ষার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। ইউএস-ভিত্তিক মেরি মরগান হিউইট আজীবন অর্জন পুরস্কার এবং ১৯৯২ মিডিয়া ইণ্ডিয়া পুরস্কার, উভয়েই তাঁর এইডস সম্পর্কিত প্রতিবেদনের ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা ও অভিন্নভাবে উচ্চ মানের বিশেষ উল্লেখ করেছে।

প্রায় বাধ্যতামূলক কাজ হিসাবে কারকারিয়ার মনোযোগ লিঙ্গ বৈষম্যের দিকে গিয়েছিল। ১৯৮০ সালে তিনি কলকাতার প্রাচীন পত্রিকা দ্য স্টেটসম্যানের প্রথম মহিলা সহকারী সম্পাদক নিযুক্ত হন। এই পুরুষতান্ত্রিক দৈনিক পত্রিকাটি এমন বিষয়গুলি নিন্দার সাথে লিখেছিল বা কেবল অপ্রয়োজনীয় হিসাবে বরখাস্ত করেছিল, যা দেখে তিনি সম্মান রাখার জন্য লেখা শুরু করেন। যে দশক তিনি এখানে কাজ করেছিলেন, তিনি তীব্রভাবে সামাজিক লিঙ্গকে তাঁর বিষয়সূচীতে রেখেছিলেন। কল্পনা শর্মা এবং আম্মু জোসেফের দ্বারা পরিচালিত একটি মিডিয়া স্টাডিতে সেই সত্য স্বীকার করা হয়েছে। কিভাবে একজন প্রবীণ এবং দায়িত্বশীল মহিলা সম্পাদকীয় অবস্থান, সম্পাদকীয় নীতি ও অনুশীলনে আমূল পরিবর্তন আনতে পারেন, তাঁর কাজকে একটি উদাহরণ হিসাবে এটি ব্যবহার করেছে।

দ্য স্টেটসম্যান-এ, তিনিই সর্বপ্রথম তথাকথিত হেফাজতে মহিলাদের সুরক্ষায় ঘটা প্রতারণার কথা প্রকাশ করেছিলেন : এদের মধ্যে ছিল ধর্ষণের শিকার, সম্পত্তির অধিকার নিয়ে যে মহিলাদের সাথে দ্বন্দ্ব তাদের সুবিধামত পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হিসাবে মিথ্যা প্রত্যয়িত বা এমনকি যারা নিঃস্বযৌতুকের মৃত্যু, পুলিশ বাহিনীর অন্তর্নিহিত লিঙ্গ কুসংস্কার যার জন্য মামলা নথিভুক্ত করা হয়না এবং বাস্তবিকভাবে হেফাজতে ধর্ষণ সবই তাঁর সম্পাদকীয় এবং বিশেষ মন্তব্যের নিয়মিত বিষয় হয়ে উঠেছিল।

পরবর্তীতে, যখন নগরায়ন তাঁর নিজের লেখার এবং তাঁর সম্পাদনা করা দৈনিকের বিষয় হয়ে উঠেছিল, তিনি স্বাস্থ্য, লিঙ্গ এবং প্রকৃতপক্ষে মানব সম্পর্কের সূক্ষ্ম বুননের উপর দ্রুত পরিবর্তনশীল শহরগুলির প্রভাব অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি কেবল পরিকাঠামো নয়, বরঞ্চ 'আন্তর্কাঠামো'-তে বেশি জোর দিয়ে, তার দিকে সমান অথবা বেশি ওজন দিয়েছেন।

তাঁর নারী-কেন্দ্রিক কলাম, ডিফারেন্সেস, দ্য সানডে টাইমস এবং তারপর মিড-ডেতে বেশ কয়েক বছর ধরে চলেছিল।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

দ্য স্টেটসম্যান- এ জনসংখ্যার উপর তাঁর কাজের মধ্যে তাঁর লিঙ্গ সম্পর্কিত লেখার বিষয়বস্তু মাপসই হয়ে সহজে বসে গেছে। তিনি সপ্তাহে অন্তত একবার বহুবিধ ও জটিল সমস্যাগুলির উপর সম্পাদকীয় বা একটি স্বাক্ষরিত অংশ লিখে সেটিকে একটি তীব্র পরিলেখ দিয়েছেন। সবচেয়ে তীব্র আঘাতকারী ছিল 'মেকিং সাকারস অফ দ্য থার্ড ওয়ার্ল্ড' শিরোনামের শিশু ফর্মুলা খাদ্যের বৈশ্বিক রাজনীতির উপর একটি সিরিজ। তিনিই প্রথম 'লক্ষ্য-চালিত' পদ্ধতির ত্রুটিগুলি নির্দেশ করেছিলেন। তিনি দাবি করতে পারেন যে এখন বহুল ব্যবহৃত শব্দ 'ভ্রূণহত্যা' তিনিই তৈরি করেছেন, যখন তিনি অ্যামনিওসেন্টেসিসকে চিকিৎসাগত সাধনী থেকে লিঙ্গ গণহত্যার একটি অস্ত্রে পরিণত করার স্নোবলিং অনুশীলনের (ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া) তীব্র নিন্দা করতে শুরু করেছিলেন। এটি ছিল ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি।

এক দশক পরে যখন তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে চলে আসেন, তখন তিনি দেশের নতুন প্রজনন স্বাস্থ্য নীতির নথির সহ-লেখক হওয়ার জন্য পপুলেশন কাউন্সিল কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। যোগাযোগের দক্ষতার সাথে তাঁর বিস্তৃত এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বোঝাপড়ার সমন্বয় করে তিনি নীতিটিকে স্বচ্ছ করে তোলেন। এর ফলে এটি সরকারী, আধা-সরকারি এবং এনজিও 'গ্রাহকদের' কাছে অধিগমনযোগ্য হয়ে ওঠে।

একজন পেশাদার হিসাবে, তিনি কার্যক্ষেত্রে বড় ধারণা করতে, কার্যপ্রণালীর বিভিন্ন বিন্দুর মধ্যে সংযোগ সাধন করতে শেখান এবং বিশদ বিবরণের সঙ্গে গভীরতা নিয়ে অনুশীলন করার ক্ষমতা নিয়ে আসেন। তিনি তথ্যের বিশাল ভাণ্ডার থেকে সারাংশ বার করতে পারেন, গুজব থেকে আসল তথ্য বের করতে পারেন। তিনি শৈলী এবং সারমর্ম উভয়কে সঙ্গে নিয়ে কিভাবে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে হয় জানেন।

লেখক হিসেবে জীবন[সম্পাদনা]

তাঁর লেখাগুলির মধ্যে আছে কিংবদন্তি হোটেল ব্যবসায়ী এম এস ওবেরয়ের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া জীবনী ডেয়ার টু ড্রিম; নকশাকার কৃষ্ণ মেহতার সহযোগিতায়, শহরের অদ্ভুত আত্মাকে ধারণ করে তৈরি একটি সমৃদ্ধ চিত্রিত বই মুম্বাই মস্তি; কিংবদন্তি পার্ক স্ট্রিটে কলকাতার আইকনিক চা-ঘর ফ্লুরিস নিয়ে লেখা দ্য কেক দ্যাট ওয়াকড। এছাড়াও আছে ইরাটিকাইওর ফ্লিপ ইজ শোয়িং, তাঁর কলামের সংগ্রহ এবং অন্যান্য নিবন্ধ। তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়া গ্রুপ এবং ভারতের বৈশ্বিক ইঞ্জিনিয়ারিং জায়ান্ট লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর কর্পোরেট জীবনী লিখেছেন। তিনি ভারতের সামাজিক পরিবর্তনের নথিভুক্ত বইগুলিতে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ প্রবন্ধে অবদান রেখেছেন। তিনি প্রশংসিত চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের জন্য এইডস-এর উপর একটি তথ্যচিত্র রচনা করেছেন। ডি এল কোবার্নের পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী নাটক দ্য জিন গেম থেকে তাঁর রূপান্তর দ্য রামি গেম সমালোচনামূলক ও বাণিজ্যিক সাফল্য পেয়েছিল এবং স্থানীয় দাতব্য সংস্থাগুলির জন্য তহবিল সংগ্রহকারী হিসাবে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করেছিল। তিনি আরও লিখেছেন ইন হট ব্লাড: দ্য নানাবতী কেস যা ভারতকে নাড়া দিয়েছিল। এই বইটি ২০১৭ সালের ১৫ই মে প্রকাশিত হয়েছিল।[৭]

মিডিয়া প্রশিক্ষক হিসাবে জীবন[সম্পাদনা]

শহরের প্রতি তাঁর আবেগকে তিনি মিডিয়া প্রশিক্ষক হিসাবে তাঁর নতুন অবতারে প্রকাশ করেছেন। এটি উদীয়মান অর্থনীতিতে সম্পাদকদের জন্য ওয়ার্ল্ড এডিটর ফোরামের মাস্টার ক্লাসের মাধ্যমে হ্যানয় এবং কায়রোতে শুরু হয়েছিল। এর ফলে মিশরের ইউএসএআইডি-র অর্থায়নে পরিচালিত মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট তাঁকে আল ইয়ুম গ্রুপের আলেকজান্দ্রিয়া সংস্করণ স্থাপনে সহায়তা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কয়েক বছর পরে, ২০০৮ সালে, তাদের জন্য একটি সতেজকারক প্রোগ্রাম পরিচালনা করার পাশাপাশি কাজে দিগন্ত প্রশস্ত করা এবং অন্যান্য স্থানীয় কাগজপত্রের দক্ষতা উন্নত করার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি এখন টাইমস গ্রুপের একজন মনোনীত মিডিয়া প্রশিক্ষক এবং অন্যান্য মিডিয়া হাউস ও জে স্কুলগুলিতে তাঁর দক্ষতা প্রদান করেন। তিনি মুম্বাইয়ের টাইমস মিডিয়া ট্রেনিং সেন্টারের পাঠ্যক্রমের বিকাশকারী দু'জনের একজন ছিলেন এবং তিনি পুরো রিপোর্টিং মডিউলটি পরিচালনা করেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১], The Times of India website. Retrieved 2 August 2010.
  2. Best selling business books of the decade
  3. "Archived copy"। ১৮ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-১৩ , Mumbai Mirror website. Retrieved 2 August 2010.
  4. "The Newshour Debate: Guilty of rape and murder - Part 2 - video dailymotion"Dailymotion (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-২৫ 
  5. St Pauls Institute of Communication Education (২০১৪-০৩-০৪), Bachi Karkaria teaches 'reporting your city' at St Pauls Institute of Communication Education., Archived from the original on ২০২১-১২-২৮, সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-২৫ 
  6. [২], Milken Institute website. Retrieved 2 August 2010.
  7. Karkaria, Bachi J. (২০১৭)। In Hot Blood: The Nanavati Story that Shook India। Juggernaut। আইএসবিএন 978-9386228277