কায়রো

স্থানাঙ্ক: ৩০°২′৪০″ উত্তর ৩১°১৪′৯″ পূর্ব / ৩০.০৪৪৪৪° উত্তর ৩১.২৩৫৮৩° পূর্ব / 30.04444; 31.23583
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কায়রো
القاهرة
রাজধানী
কায়রোর পতাকা
পতাকা
ডাকনাম: হাজার মিনার এর শহর
কায়রো মিশর-এ অবস্থিত
কায়রো
কায়রো
কায়রো আরব বিশ্ব-এ অবস্থিত
কায়রো
কায়রো
কায়রো আফ্রিকা-এ অবস্থিত
কায়রো
কায়রো
Location of Cairo within Egypt
স্থানাঙ্ক: ৩০°২′৪০″ উত্তর ৩১°১৪′৯″ পূর্ব / ৩০.০৪৪৪৪° উত্তর ৩১.২৩৫৮৩° পূর্ব / 30.04444; 31.23583
Country মিশর
GovernorateCairo
Founded969 AD
Founded byFatimid dynasty
সরকার
 • GovernorAtef Abd El Hamid[১]
আয়তন
 • রাজধানী৬০৬ বর্গকিমি (২৩৪ বর্গমাইল)
 • মহানগর১৭,২৬৭.৬ বর্গকিমি (৬,৬৬৭.১ বর্গমাইল)
উচ্চতা২৩ মিটার (৭৫ ফুট)
জনসংখ্যা (2017)
 • রাজধানী৯৫,০০,০০০
 • জনঘনত্ব১৯,৩৭৬/বর্গকিমি (৫০,১৮০/বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা১,৮২,৯০,০০০
 • মহানগর২,০৪,৩৯,৫৪১
 • DemonymCairene
সময় অঞ্চলইইটি (ইউটিসি+০২:০০)
এলাকা কোড(+20) 2
ওয়েবসাইটwww.cairo.gov.eg
প্রাতিষ্ঠানিক নামHistoric Cairo
ধরনCultural
মানকi, iii, vi
অন্তর্ভুক্তির তারিখ1979
রেফারেন্স নং[২]
State PartyEgypt
RegionArab States

কায়রো বা কাহিরা (/ˈkr/ KY-roh; আরবি: القاهرة, প্রতিবর্ণীকৃত: al-Qāhirah, মিশরীয় আরবি: ælqɑ(ː)ˈheɾɑ) মিশরের রাজধানীআরবি শব্দ القاهرة আল-ক্বাহিরা থেকে এই নামের উৎপত্তি। আল-ক্বাহিরা শব্দের অর্থ "বিজয়ী"। এই শহরের খুব কাছেই প্রাচীন মিশরীয় ব্যাবিলন শহর অবস্থিত ছিল বলে ধারণা করা হয়। নীলনদের ব-দ্বীপ এর শীর্ষ ভাগে এই শহরের অবস্থান। নদীর অপর তীরে ছিল মিশরের প্রাচীন রাজধানী মেমফিস

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ফাতিমীয় সেনাপতি জওহর কর্তৃক ৯৬৯ সালে কায়রো শহর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১২শ শতকে ক্রুসেডারদের আক্রমণের শিকার হয় এই শহর। ১৩শ থেকে ১৬শ শতকের প্রথম দিক পর্যন্ত এখানে মামলূক এবং ১৫১৭-১৭৯৮ পর্যন্ত উস্‌মানীয় সাম্রাজ্যের শাসন কায়েম ছিল। ১৭৯৮-১৮০১ সাল ছিল নেপোলিয়নের অধিকারে। ১৮৮২-১৯৩৬ সাল কায়রো ব্রিটিশ অধিকারে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কায়রোতে মিত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য রণাঙ্গণের সদর দপ্তর অবস্থিত ছিল।

ভূগোল[সম্পাদনা]

স্যাটেলাইট থেকে দেখা কায়রো শহর

কায়রো উত্তর মিশরে (যা নিম্ন মিশর হিসাবে পরিচিত), ভূমধ্যসাগরের ১৬৫ কিলোমিটার (১০০ মা) দক্ষিণে এবং সুয়েজ উপসাগর এবং সুয়েজ খাল থেকে ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মা) পশ্চিমে অবস্থিত।[৩] শহরটি নীল নদের তীরে অবস্থিত, ঠিক ততদুর দক্ষিণে যেখানে নদী তার মরুভূমি উপত্যকা এবং শাখাগুলিকে নিচু নীল উপত্যকা অঞ্চলে ফেলেছে। যদিও কায়রো মহানগরটি নীল নদ থেকে চার দিকে অনেক দূরে বিস্তৃত রয়েছে, কেবল নদীর পূর্ব তীরের কায়রো শহর এবং এর মধ্যে দুটি দ্বীপপুঞ্জের মোট আয়তন ৪৫৩ বর্গকিলোমিটার (১৭৫ মাইল)।[৪][৫]

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কায়রোতে বায়ু দূষণের মাত্রা প্রস্তাবিত সুরক্ষা স্তরের তুলনায় প্রায় ১২ গুণ বেশি।[৬]

মহানগর এলাকা[সম্পাদনা]

গ্রেটার কায়রো আফ্রিকার বৃহত্তম মহানগর অঞ্চল। এটি কায়রো গভর্নরেট, গিজা গভর্নরেটের কিছু অংশ এবং ক্লেয়ুবিয়া গভর্নরেটের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত।

স্যাটেলাইট সিটি[সম্পাদনা]

কায়রোর পশ্চিমে ৬ই অক্টোবর সিটি এবং কায়রোর পূর্বে নিউ কায়রো হল বড় শহুরে বিকাশ যা কায়রো অঞ্চলের অতিরিক্ত বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য নির্মিত হয়েছে। নতুন বিকাশে বেশ কয়েকটি উচ্চ-আবাসিক উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন: তাহরির স্কয়ার

নতুন পরিকল্পনা[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের মার্চ মাসে কায়রো গভর্নরেটের একটি অনুন্নত অঞ্চলে একটি অপ-নামহীন পরিকল্পিত শহর নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছিল, যা মিশরের প্রশাসনিক ও আর্থিক রাজধানী হিসাবে কাজ করবে।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

বৃহত্তর কায়রো দীর্ঘকাল মিশর এবং এই অঞ্চলের জন্য শিক্ষা এবং শিক্ষাগত পরিষেবার কেন্দ্রস্থল ছিল। আজ বৃহত্তর কায়রোতে মিশরীয় শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করে এমন অনেক সরকারি অফিস রয়েছে, কায়রোতে মিশরের অন্যান্য শহরের চেয়ে সর্বাধিক বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

পরিবহণ[সম্পাদনা]

কায়রোতে একটি বিস্তৃত রোড নেটওয়ার্ক, রেল ব্যবস্থা, পাতাল রেল ব্যবস্থা এবং সামুদ্রিক পরিষেবা রয়েছে। ব্যক্তিগত যানবাহন, ট্যাক্সি ক্যাব, ব্যক্তি মালিকানাধীন পাবলিক বাস এবং কায়রোর স্থানীয় মাইক্রোবাস দ্বারা সড়ক পরিবহন অনেক সহজলভ্য। কায়রো, বিশেষত রামেসিস স্কোয়ার প্রায় পুরো মিশরীয় পরিবহন নেটওয়ার্কের কেন্দ্রবিন্দু।

ক্রীড়া[সম্পাদনা]

মিশরের সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা হল ফুটবল এবং কায়রোতে বেশ কয়েকটি ক্রীড়া দল রয়েছে যা জাতীয় এবং আঞ্চলিক লীগে প্রতিযোগিতা করে। সর্বাধিক পরিচিত দলগুলি হল আল-আহলি, এল জামালেক এবং আল-ইসমাইলি । আল আহলি এবং এল জামালেক বার্ষিক ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্ভবত মিশরের পাশাপাশি আফ্রিকা-আরব অঞ্চলের সর্বাধিক দেখা স্পোর্টস ইভেন্ট। উভয় দলই মিশরীয় ফুটবলের "প্রতিদ্বন্দ্বী" হিসাবে পরিচিত এবং আফ্রিকা এবং আরব বিশ্বের প্রথম এবং দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন। তারা তাদের ঘরের খেলাগুলি কায়রো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম বা নাসের স্টেডিয়ামে খেলে থাকে যা মিশরের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম, এটি কায়রোর বৃহত্তম এবং বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়ামগুলির একটি।

আকাশ পথে পরিবহন ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শহরের তথা দেশের প্রধান ও ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • Abu-Lughod, Janet (১৯৬৫), "Tale of Two Cities: The Origins of Modern Cairo", Comparative Studies in Society and History, 7 (4), Cambridge, UK: Cambridge University Press, আইএসএসএন 0010-4175  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  • Afaf Lutfi Sayyid-Marsot (১৯৮৪), Egypt in the Reign of Muhammad Ali (illustrated, reprint সংস্করণ), Cambridge, UK: Cambridge University Press, আইএসবিএন 0521289688 
  • Beattie, Andrew (২০০৫), Cairo: A Cultural History (illustrated সংস্করণ), New York: Oxford University Press, আইএসবিএন 0195178939 
  • Butler, Alfred J. (২০০৮), The Arab Conquest of Egypt - And the Last Thirty Years of the Roman Dominion, Portland, Ore: Butler Press, আইএসবিএন 1443727830 
  • Behrens-Abouseif, Doris (১৯৯২), Islamic Architecture in Cairo (2nd সংস্করণ), Brill, আইএসবিএন 978-90-04-09626-4 
  • Byrne, Joseph Patrick (২০০৪), The Black Death (illustrated, annotated সংস্করণ), Westport, Conn.: Greenwood Publishing Group, আইএসবিএন 0313324921 
  • Collins, Robert O. (২০০২), The Nile (illustrated সংস্করণ), New Haven, Conn.: Yale University Press, আইএসবিএন 0300097646 
  • Daly, M. W.; Petry, Carl F. (১৯৯৮), The Cambridge History of Egypt: Islamic Egypt, 640-1517, Cambridge, UK: Cambridge University Press, আইএসবিএন 0521471370 
  • Glassé, Cyril; Smith, Huston (২০০৩), The New Encyclopedia of Islam (2nd revised সংস্করণ), Singapore: Tien Wah Press, আইএসবিএন 0759101906 
  • Golia, Maria (২০০৪), Cairo: city of sand, Reaktion Books, আইএসবিএন 9781861891877 
  • Hawass, Zahi A.; Brock, Lyla Pinch (২০০৩), Egyptology at the Dawn of the Twenty-First Century: Archaeology (2nd সংস্করণ), Cairo: American University in Cairo, আইএসবিএন 9774246748 
  • Hourani, Albert Habib; Khoury, Philip Shukry; Wilson, Mary Christina (২০০৪), The Modern Middle East: A Reader (2nd সংস্করণ), London: I.B. Tauris, আইএসবিএন 1860649637 
  • İnalcık, Halil; Faroqhi, Suraiya; Quataert, Donald; McGowan, Bruce; Pamuk, Sevket (১৯৯৭), An Economic and Social History of the Ottoman Empire (illustrated, reprinted সংস্করণ), Cambridge, UK: Cambridge University Press, আইএসবিএন 0521574552 
  • McGregor, Andrew James (২০০৬), A Military History of Modern Egypt: From the Ottoman Conquest to the Ramadan War, Westport, Conn.: Greenwood Publishing Group, আইএসবিএন 0275986012 
  • Meri, Josef W.; Bacharach, Jere L. (২০০৬), Medieval Islamic Civilization: An Encyclopedia, New York: Taylor & Francis, আইএসবিএন 0415966922 
  • Raymond, André (২০০০), Cairo, Cambridge, Mass.: Harvard University Press, আইএসবিএন 0674003160 
  • Sanders, Paula (২০০৮), Creating Medieval Cairo: Empire, Religion, and Architectural Preservation in Nineteenth-Century Egypt, Cairo: American University in Cairo, আইএসবিএন 9774160959 
  • Shillington, Kevin (২০০৫), Encyclopedia of African History, New York: Taylor & Francis, আইএসবিএন 1579584535 
  • Shoshan, Boaz (২০০২), David Morgan, সম্পাদক, Popular Culture in Medieval Cairo, Cambridge, UK: Cambridge University Press, আইএসবিএন 0521894298 
  • Sicker, Martin (২০০১), The Islamic World in Decline: From the Treaty of Karlowitz to the Disintegration of the Ottoman Empire (illustrated সংস্করণ), Westport, Conn.: Greenwood Publishing Group, আইএসবিএন 027596891X 
  • Winter, Michael (১৯৯২), Egyptian Society Under Ottoman Rule, 1517-1798, London: Routledge, আইএসবিএন 041502403X 
  • Winter, Michael (২০০৪), Egyptian Society Under Ottoman Rule, 1517-1798, London: Routledge, আইএসবিএন 0203169239 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "محافظ القاهرة يرفض تطوير المستثمرين الحدائق.. ويؤكد: "هيسحلوا الغلابة""। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  2. UNESCO World Heritage Centre। "Historic Cairo – UNESCO World Heritage Centre"। Whc.unesco.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২০ 
  3. "Cairo to Suez"WolframAlpha। Wolfram Research। ১১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ 
  4. "Cairo Maps"। Cairo Governorate। ১৯ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ 
  5. Brinkhoff, Thomas। "Egypt: Governorates & Cities"। City Population। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ 
  6. "Archived copy"। ২৯ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

ছবি এবং ভিডিও[সম্পাদনা]