বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি ফেলোশিপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি ফেলোশিপ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি কর্তৃপক্ষ প্রদান করে থাকে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মানসূচক এই ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। একাডেমি বাংলাদেশের সর্বাধিক খ্যাতনামা বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের মধ্য থেকে ‘জাতীয় ফেলো’ নির্বাচন করে থাকে।[১] ১৯৭১ সালের পূর্বে ‘পাকিস্তান বিজ্ঞান একাডেমি’র ৩০ জন ফেলোর মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশি ফেলো ছিলেন যারা বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।[১] প্রতিষ্ঠাতা ১২ জনকে সম্মানসূচক ‘ফাউন্ডেশন ফেলো’ হিসেবেও অবহিত করা হয়। এছাড়াও, জাতীয় ফেলো, প্রবাসী ফেলো, বিদেশিফেলো ও সহযোগী ফেলো - এ চারটি শাখায় ফেলো নির্বাচিত হন। ফেলোগণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাডেমির স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করেন।

ফেলোগণ[সম্পাদনা]

জাতীয় ফেলো[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠাকালীন ১২জন ফেলোও এর অন্তর্ভূক্ত তবে তাদের ফাউন্ডেশন ফেলো হিসেবে অবহিত করা হয়। একাডেমির নীতিমালা অনুসারে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অসামান্য মৌলিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ এই শাখায় ফেলো নির্বাচন করা হয়। এই শাখায় ১০০ জনের বেশি ফেলো নির্বাচন করা হয় না। নীতিমালা অনুসারে ১০০ জন পূর্ণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নিয়োগ করা হয় তবে কোন এক বছরে ১০ জনের বেশি ফেলো নিয়োগ করা হয় না। পদত্যাগ, অবসর বা মৃত্যুজনিত কারণে নির্বাচিত কোন সদস্যপদ খালি হলে ফেলো নির্বাচনের নির্দেশিকা অনুসারে শূন্যপদে ফেলো নিয়োগ করা হয়।[২] নিম্নোক্ত তালিকাতে এখন পর্যন্ত জাতীয় ফেলো শাখায় ফেলোশিপপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের সবার নাম রয়েছে।

  1. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৩]
  2. সৈয়দ হেদায়েতউল্লাহ (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৩]
  3. কাজী মোতাহার হোসেন (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৩]
  4. ওসমান গণি (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৩]
  5. মফিজ উদ্দিন আহমেদ (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৩]
  6. মোকাররম হোসেন খোন্দকার (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৩]
  7. সাইফউদ-দীন চৌধুরী (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৩]
  8. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৩]
  9. এম ইন্নাস আলী (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৩]
  10. কামাল উদ্দিন আহমেদ (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৪][৫][৬][৭]
  11. নুরুল ইসলাম (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৩]
  12. শরীফ মুহাম্মদ আজিজুল হক (১৯৭৩ - ফাউন্ডেশন ফেলো)[৩]
  13. এ কে এম সিদ্দিক (১৯৭৪)[৮]
  14. এমএএম মুহতাশাম হোসেন (১৯৭৪)
  15. আশরাফুল হক (১৯৭৪)
  16. মোহাম্মদ ইব্রাহিম (১৯৭৫)[৮]
  17. নুরুল আবসার খান (১৯৭৫)
  18. আহমদ হোসাইন (১৯৭৫)
  19. ওয়াহিদউদ্দিন আহমেদ (১৯৭৫)
  20. সৈয়দ জহির হায়দার (১৯৭৫)
  21. মোহাম্মদ রফি খান (১৯৭৫)
  22. হিরন্ময় সেন গুপ্ত (১৯৭৭)
  23. এম শমশের আলী (১৯৭৮)
  24. আবুল মকসুদ হারুন অর রশীদ (১৯৭৮)
  25. আমিনুল ইসলাম (১৯৭৮)
  26. সাঈদ বজলে আলী (১৯৭৮)
  27. একে শামসুদ্দিন আহমেদ (১৯৭৮)
  28. এম নরুল হক খান (১৯৭৮)
  29. ফজলুল হালিম চৌধুরী (১৯৭৯)
  30. কাজী আবদুল লতীফ (১৯৭৯)
  31. আহমদ শামসুল ইসলাম (১৯৮০)
  32. এ কে এম নুরুল ইসলাম (১৯৮০)
  33. আবদুল জব্বার (১৯৮০)
  34. আবদুল কাইয়ুম সরকার (১৯৮১)
  35. সাঈদ নুরুন নবী (১৯৮২)
  36. আব্দুল মতিন পাটোয়ারি (১৯৮৩)
  37. কাজী এম বদরুদ্দোজা (১৯৮৩)
  38. জামাল নজরুল ইসলাম (১৯৮৩)
  39. শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান (১৯৮৪)
  40. সুলতান আহমেদ চৌধুরী (১৯৮৫)
  41. আনোয়ার হোসেন (১৯৮৫)
  42. একেএম আমিনুল হক চৌধুরী (১৯৮৮)
  43. মাহমুদুল আমিন (১৯৮৮)
  44. কাজী আবদুল ফাত্তাহ (১৯৯১)
  45. মাহমুদুর রহমান চৌধুরী (১৯৯২)
  46. মুহাম্মদ আবদুল আজিজ খান (১৯৯২)
  47. আমির হোসেন খান (১৯৯৩)
  48. জহুরুল করিম (১৯৯৫)
  49. এম জহির উদ্দিন (১৯৯৫)
  50. এ এম চৌধুরী (১৯৯৭)
  51. মেসবাহউদ্দিন আহমদ (১৯৯৭)
  52. এম ইদ্রিস আলী (১৯৯৭)
  53. জামিলুর রেজা চৌধুরী (১৯৯৮)
  54. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম (১৯৯৮)
  55. মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়া (১৯৯৮)
  56. অরুণ কুমার বসাক (১৯৯৮)
  57. হাজেরা মাহতাব (১৯৯৮)
  58. শরিফ এনামুল কবির (১৯৯৯)
  59. আনোয়ার হোসেন (১৯৯৯)
  60. একেএম আজহারুল ইসলাম (১৯৯৯)
  61. মোহাম্মদ কায়কোবাদ (১৯৯৯)
  62. লিয়াকত আলী (১৯৯৯)
  63. এ কে আজাদ খান (২০০০)
  64. কে এম সুলতানুল আজিজ (২০০০)
  65. সৈয়দ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (২০০০)
  66. এএসএম মতিউর রহমান (২০০০)
  67. নঈম চৌধুরী (২০০০)
  68. মোহাম্মদ মশিউজ্জামান (২০০১)
  69. হাসিনা খান (২০০২)
  70. জিয়া উদ্দীন আহমেদ (২০০২)
  71. মেসবাহউদ্দিন আহমদ (২০০৩)
  72. মোহাম্মদ রেজওয়ান খান (২০০৩)
  73. হারুন কেএম ইউসুফ (২০০৪)
  74. আলী আজগর (২০০৪)
  75. মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ (২০০৪)
  76. শাহ মোহাম্মদ ফারুক (২০০৫)
  77. আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী (২০০৬)
  78. এম ফিরোজ আহমেদ (২০০৭)
  79. ফিরদৌসী কাদরী (২০০৮)
  80. মোঃ সাইদুর রহমান (২০০৯)
  81. চৌধুরী মাহমুদ হাসান (২০১০)
  82. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ (২০১১)
  83. মুহিবুর রহমান (২০১২)
  84. সিরাজুল ইসলাম (২০১৩)
  85. ইয়ারুল কবীর (২০১৪)
  86. আব্দুল আলীম (২০১৪)
  87. জেবা ইসলাম সিরাজ (২০১৫)
  88. সালেহ হাসান নকীব (২০১৫)
  89. চৌধুরী রফিকুল আহসান (২০১৫)
  90. মোহাম্মদ সোহেল রহমান (২০১৬)
  91. মোহাম্মদ কামরুল হাসান (২০১৬)
  92. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম (২০১৬)
  93. আব্দুল্লাহ আল মামুন (২০১৭)
  94. আবু বিন হাসান সুসান (২০১৮)
  95. আনোয়ার হোসেন (২০১৮)
  96. খান শহীদুল হক (২০১৮)
  97. মির্জা হাসানুজ্জামান (২০১৮)
  98. মোবারক আহমদ খান (২০১৯)
  99. মনিরুল আলম (২০১৯)
  100. জীবন পোদ্দার (২০১৯)
  101. মামুন আল মাহতাব (২০২০)[৮]

প্রবাসী ফেলো[সম্পাদনা]

বাংলাদেশি বিশিষ্ট বিজ্ঞানী যারা স্থায়ী অথবা অস্থায়ীভাবে প্রবাসে বসবাস করছেন তাদের প্রবাসী ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। এ শাখায় একইসাথে অনধিক ২০ জন ফেলো নির্বাচিত করা হয়। তবে ২০ জনের কোটা পূর্ণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এক বছরে সর্বোচ্চ তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিম্নোক্ত তালিকাতে এখন পর্যন্ত প্রবাসী ফেলো শাখায় ফেলোশিপপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের সবার নাম রয়েছে।

বিদেশি ফেলো[সম্পাদনা]

বিশিষ্ট বিজ্ঞানী যারা বাংলাদেশের নাগরিক নন এবং বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বা এ বিষয়ে যাদের বিশেষ জ্ঞান রয়েছে তাদের বিদেশি বা আন্তজার্তিক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। নিম্নোক্ত তালিকাতে এখন পর্যন্ত বিদেশি ফেলো হিসেবে মনোনীত ব্যক্তিবর্গের সবার নাম রয়েছে।

সহযোগী ফেলো[সম্পাদনা]

সহযোগী ফেলো শাখায় সাধারণ সর্বোচ্চ ১৫ জন ফেলো থাকতে পারেন। তুলনামূলক তরুন বিজ্ঞানী যাদের বয়স ৪৫ বছরের কম, গবেষণায় উচ্চতর ডিগ্রি রয়েছে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী প্রতিভার অধিকারী ও প্রতিশ্রুতিশীল সাধারণত তাদের এই ফেলোশীপ দেওয়া হয়। কোন একক বছরে ৩ জনের বেশি ফেলো মনোনীত করা হয় না। সহযোগী ফেলো হিসেবে নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ মনোনীত হয়েছেন।

  1. আবুল বাশার মীর মোহাম্মদ খাদেমুল ইসলাম (২০১৬)[১১]
  2. আব্দুল্লাহ শামস বিন তারিক (২০১৬)
  3. আবুল হাসনাত (২০১৮)
  4. মামুন মোল্লা (২০১৮)
  5. তানভীর ফেরদৌস সাঈদ (২০১৯)
  6. আবু রেজা মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম (২০২০)
  7. এজে সালেহ আহম্মাদ (২০২০)[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  2. "বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি ফেলোশিপ"বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  3. "ফাউন্ডেশন ফেলো"বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  4. মো. আনোয়ার হোসেন (২০১২)। "আহমদ, কামালউদ্দিন"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  5. "In memoriam: Professor Kamaluddin Ahmad (1921–2004)"। Food and Nutrition Bulletin২৬ (১): ১৬৪। ২০০৫। ডিওআই:10.1177/156482650502600115 
  6. "Scientific symposium on Professor Kamal opens in the city"bdnews24.com। ২ জুলাই ২০০৫। 
  7. "Nutrition & Biochemical Sciences for the Benefit of Mankind"International Centre for Diarrhoeal Disease Research, Bangladesh। ২০ এপ্রিল ২০১১। ১১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  8. "ফেলো তালিকা"বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  9. "প্রবাসী ফেলো"বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  10. "বিদেশি ফেলো"বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  11. "সহযোগী ফেলো"বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২