বহির্জাগতিক জীবদের আক্রমণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এইচ জি ওয়েলস রচিত দ্য ওয়ার অভ দ্য ওয়ার্ল্ডস উপন্যাসে মঙ্গল গ্রহ থেকে আগত বহির্জাগতিক জীবেরা পৃথিবী আক্রমণ করছে; চিত্রণে এনরিকে আলিইম কোররেয়া

বহির্জাগতিক জীবদের আক্রমণ বা মহাকাশ থেকে আক্রমণ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ও চলচ্চিত্রে উপস্থাপিত একটি সাধারণ বিষয়বস্তু, যেখানে বহির্জাগতিক জীবেরা পৃথিবী আক্রমণ করে এবং মানুষদেরকে হত্যা ও উচ্ছেদ করে, মানুষদেরকে দাসে পরিণত করে, মানুষকে খাদ্য হিসেবে খামারের পশুর মতো পালন করে, পৃথিবীর সম্পদ লুণ্ঠন করে বা সমগ্র পৃথিবীকে ধ্বংস করে। এ ধরনের কাহিনীকে বহিরাগত আক্রমণ সাহিত্য বর্গের একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক উপবর্গ হিসেবে গণ্য করা যায়। ইংরেজ সাহিত্যিক এইচ জি ওয়েলস তাঁর যুগান্তরী উপন্যাস দ্য ওয়ার অভ দ্য ওয়ার্লডস-এ এই বিষয়টি ব্যাপকভাবে তুলে ধরেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে বহির্জাগতিক জীবদের দ্বারা বাস্তবিকপক্ষেই পৃথিবী আক্রমণের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম, কেননা এতে সময় ও সম্পদের খরচ অত্যন্ত বেশি পড়বে।[১]

বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা[সম্পাদনা]

সেটি ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ জ্যোতির্বিজ্ঞানী সেথ শস্ট্যাক মনে করেন যে বেশ কয়েকটি কারণে বহির্জাগতিক জীবদের পৃথিবী আক্রমনের সম্ভাবনা কম। তাঁর মতে পৃথিবীতে লভ্য সব সম্পদ ঐসব জীবদের নিজস্ব গ্রহেই বিদ্যমান কিংবা সেগুলি খুঁজে বের করা ও সৃষ্টি করা পৃথিবী দখলের চেয়ে বেশি সহজ। তিনি আরও মনে করেন যে বহির্জাগতিক জীবরা যদি পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে চায়, তাহলে তারা প্রথমে তা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা রোবটের মাধ্যমে করবে, নিজেরা নয়। [২] নাসা-এমস গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী ডেভিড মরিসন এই যুক্তি দিয়েছেন যে প্রথম যোগাযোগের ঘটনাটি বেতার যোগাযোগের রূপে সাধিত হবে, স্বচক্ষে পরিদর্শনের মাধ্যমে নয়।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rowan, Karen (২০১০-০৪-২৯)। "Stephen Hawking warning: What would an alien invasion be like?"The Christian Science Monitorআইএসএসএন 0882-7729। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-৩০ 
  2. "Wayback Machine"। ২০১০-০৭-০৫। ২০১০-০৭-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৫