ফারসান (খাদ্য)
ফারসান বা ফার্সান ( গুজরাটি: ફરસાણ, হিন্দি এবং মারাঠি: फरसाण) ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে উদ্ভূত নোনতা খাবারকে বোঝায়।[১] মারোয়ারি রন্ধনপ্রণালী, গুজরাটি খাবার, মারাঠি খাবার এবং সিন্ধি রন্ধনপ্রণালীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ফারসান, যেখানে বিশেষ অনুষ্ঠানে এবং অতিথিদের আপ্যায়ন করার জন্য বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরি করা হয় এবং চায়ের সাথে উপভোগ করা হয়।[২] গুজরাটি ও রাজস্থানী ব্যবসায়ীদের আগমন এবং মুম্বাইতে সিন্ধিদের অভিবাসনের কারণে সারা ভারতে, বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে ফারসান পাওয়া যায়।[১]
কিছু ফারসান ভেজে পরে শুকানো হয় এবং সংরক্ষণ করা যায়; অন্য ক্ষেত্রে তাজা বা বাষ্প যোগে তৈরি করা হয়। নিম্নে ফারসানের প্রধান ধরণগুলি হল:[২][৩]
- ধোকলা
- ফাফদা
- খামান
- চেভডো (বোম্বে মিক্স)
- চাকরী
- ভাজিয়া
- খান্ডভি
- মেদু ভাদা
- পাত্রাস, পাতারভেলিয়া
- গাঠিয়া
- মাথিয়া
- ভ্যানভা
- হ্যান্ডভো
- আলু সেভ
- বেসন সেভ
- ধেবরা
- পেয়েছিলাম একটি
- বাকরওয়াড়ি
- মসলা পুরি
ইতিহাস[সম্পাদনা]
ভারত যখন অবিভক্ত ছিল তখন সিন্ধু রাজ্য বোম্বে প্রেসিডেন্সির অধীনে ছিল এবং তা বোম্বে এবং সিন্ধ নামেও পরিচিত ছিল। রাজস্থানের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে এবং তৎকালীন বোম্বাইয়ের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে গুজরাত একই রকম রন্ধনসম্পর্কীয় ঐতিহ্যকে ভাগ করে নিয়েছে। যদিও গুজরাটি খাবারে ফারসান অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও তাদের উত্স একই। উল্লাসনগরের সিন্ধিরা বেসন পাপড়ি, সেবা ডাল স্যান্ডউইচ, দই সেভ পুরি ইত্যাদির মতো কয়েকটি বিশেষ খাবারের আকারে এই ঐতিহ্যটিকে সংরক্ষণ করেছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ Vikas Khanna (২০১৩)। SAVOUR MUMBAI: A CULINARY JOURNEY THROUGH INDIA'S MELTING POT। Westland। পৃষ্ঠা 378। আইএসবিএন 9789382618959। ১৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "Farsan Recipe, 150 Gujarati Farsan Recipes Page 1 of 14 - Tarla Dalal"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "Farsan • Gujarati Recipes"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭।