প্রবেশদ্বার:যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্য হল ইউরোপীয় মূল ভূখণ্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের সন্নিকটে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। রাষ্ট্রটির সরকারি নাম হল গ্রেইট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের যুক্তরাজ্য। রাষ্ট্রটি চারটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র: ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েল্স্ এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত।
যুক্তরাজ্য অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে গঠিত। দ্বীপগুলোকে একত্রে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ নামে অভিহিত করা হয়। এদের মধ্যে সর্ববৃহৎ দ্বীপটির নাম বৃহৎ ব্রিটেন বা গ্রেট ব্রিটেন। গ্রেট ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ও জনবহুল ভাগটির নাম ইংল্যান্ড, যা দ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশ গঠন করেছে। পশ্চিম অংশে আছে ওয়েলস এবং উত্তরে স্কটল্যান্ড। আয়ারল্যান্ড দ্বীপের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে উত্তর আয়ারল্যান্ড অবস্থিত। আয়ারল্যান্ড দ্বীপ ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের ২য় বৃহত্তম দ্বীপ। এই দ্বীপের সিংহভাগ জুড়ে অবস্থিত আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের সাথে যুক্তরাজ্যের একমাত্র স্থল সীমান্ত রয়েছে। যুক্তরাজ্যের বাকী অংশকে আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তর সাগর, ইংলিশ চ্যানেল এবং আইরিশ সাগর ঘিরে রেখেছে। গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপটি চ্যানেল টানেলের মাধ্যমে ফ্রান্সের সাথে যুক্ত। এছাড়াও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকালীন সময়ে হস্তগত ১৪টি বহিঃস্থ এলাকা এখনও যুক্তরাজ্যের অধীনে রয়েছে।
ব্রিটেন একটি সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। তৃতীয় চার্লস রাষ্ট্রপ্রধান। এখানে একটি সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা বিদ্যমান। লন্ডন শহর যুক্তরাজ্যের রাজধানী; এটি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। সমগ্র যুক্তরাজ্যকে ব্রিটেন নামেও ডাকা হয়। তবে গ্রেট ব্রিটেন নামটি আর সমগ্র দেশটিকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয় না; এটি কেবল গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। ইংল্যান্ড দিয়েও সমগ্র যুক্তরাজ্যকে বোঝানো হয় না। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের অধিবাসীরা সবাই ব্রিটিশ। আবার ইংল্যান্ডের অধিবাসীরা ইংরেজ, ওয়েলসের অধিবাসীরা ওয়েলশ,আয়ারল্যান্ডের অধিবাসীরা আইরিশ এবং স্কটল্যান্ডের অধিবাসীরা স্কটিশ হিসেবে পরিচিত।
দুইটি বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি এবং বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাজ্যের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা ক্ষুণ্ণ হয়। তা সত্ত্বেও বর্তমান বিশ্বে যুক্তরাজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকারী দেশ। যুক্তরাজ্য একটি উন্নত দেশ; এর অর্থনীতি বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম। দেশটির নিউক্লীয় অস্ত্রক্ষমতা রয়েছে; প্রতিরক্ষা খাতে এর ব্যয় বিশ্বে ৩য় সর্বোচ্চ। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং জি-৮, ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কমনওয়েলথ অব নেশন্সের সদস্য।
বাকিংহাম প্রাসাদ ব্রিটিশ রাজ পরিবারের লন্ডনের বাসস্থান এবং বর্তমানে পৃথিবীতে বিদ্যমান বৃহত্তম রাজকীয় প্রাসাদ। প্রসাদটি রাজ পরিবারের বিভিন্ন রাজকীয় অনুষ্ঠান অবসরকালীন বিনোদনের জন্য নির্মিত হয়েছিল, বর্তমানে এটি একটি পর্যটক আকর্ষন। নির্মাণ কালে প্রাসাদটির নাম ছিল বাকিংহাম হাউজ। এটি ১৭০৩ সালে বাকিংহামের ডিউক জন শেফিল্ডের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল, পরবর্তীতে রাজা তৃতীয় জর্জ ১৭৬২ সালে তার ব্যক্তিগত বাসভবন হিসেবে এটি অধিকৃত করেন। পরবর্তী ৭৫ বছরে এটি আরও সম্প্রসারণ করা হয়। সম্প্রসারণের মূল দায়িত্ব পালন করেন স্থপতি জন ন্যাশ ও এডওয়ার্ড ব্লোর। তারা রাজদরবারের চারপাশে তিনটি শাখা নির্মাণ করেন। বাকিংহাম প্রাসাদ সর্বশেষ ১৮৩৭ সালে রাণী ভিক্টোরিয়ার সিংহাসন আরোহণ কালে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের রাজকীয় কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। সর্বশেষ কাঠামোগত সম্প্রসারণ হয়েছিল ভিক্টোরীয় যুগে। (বাকি অংশ পড়ুন...)
স্যার ইয়ান টেরেন্স বোথাম, ওবিই (২৪শে নভেম্বর, ১৯৫৫) ছিলেন একজন ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ক্রিকেট খেলায় ব্যাটিং ও বোলিং - উভয় বিভাগেই তিনি অসামান্য ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করে বিশ্বের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রকৃত অল-রাউন্ডারের মর্যাদা পেয়েছেন। ইংল্যান্ড দলের পক্ষ হয়ে ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৩৮৩টি টেস্ট উইকেট লাভ করেন ইয়ান বোথাম। শতাধিক টেস্টে অংশগ্রহণের পাশাপাশি অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি। ১৯৮১ সালে অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে পরাভূত করতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিলেন। এ সিরিজটি ‘বোথামের অ্যাসেজ’ নামে পরিচিতি বহন করে আসছে। বিফি ডাকনামেও তিনি সমান জনপ্রিয়। মাঠ ও মাঠের বাইরে বিতর্কিত খেলোয়াড়রূপে তিনি একগুচ্ছ রেকর্ডের অধিকারী হিসেবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বোলারদের পক্ষে সর্বাধিক উইকেট লাভের রেকর্ডটিও ধরে রেখেছিলেন। বর্তমানে তিনি টেলিভিশনে কাজ করছেন। দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অর্থ সংগ্রহের জন্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। ২০০৭ সালে নাইট পদবীতে ভূষিত হন। ডেনিস কম্পটন, জিম কাম্বস ও আর্নল্ড সাইডবটমের ন্যায় তিনিও ফুটবল লীগের অন্যতম ফুটবলার হিসেবে ১১টি খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)
- ... ম্যারি রোজ ছিল টিউডর যুগের যুদ্ধজাহাজ যা ১৫৪৫ সালে সোলেন্ট যুদ্ধের সময় ডুবে গিয়েছিল এবং ৪৩৭ বছর পর উদ্ধার করা হয়?
ওয়েস্টমিন্স্টার প্রাসাদ, হাউজেস অব পার্লামেন্ট নামেও পরিচিত, এই প্রাসাদে যুক্তরাজ্যের আইনসভার দুই কক্ষের (হাউজ অফ লর্ডস এবং হাউজ অফ কমন্স) রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত কাজে একসাথে বসেন। লন্ডনের অধীনে স্বায়ত্তশাসনপ্রাপ্ত নগরী ওয়েস্টমিন্স্টারে টেম্স নদীর উত্তর কূল ঘেঁষে এই প্রাসাদটি অবস্থিত।
- ১২ মার্চ: Mirror's exposé prompts call for inquiry into child abuse ring in Telford, England
- ২০ ফেব্রুয়ারি: Oxfam produces action plan after revelation of prostitution scandal on Haiti
- ২ ফেব্রুয়ারি: 'Save the Children' organisation suspends all activities in Afghanistan after ISIL attack
- ১৭ জানুয়ারি: Irish rock band The Cranberries' lead singer Dolores O'Riordan dies at 46
- ১৫ জানুয়ারি: BBC newsreader Alagiah to undergo treatment for bowel cancer
অঞ্চলভিত্তিক
বিষয়ভিত্তিক