বিষয়বস্তুতে চলুন

দক্ষিণ মুম্বই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দক্ষিণ মুম্বই
दक्षिण मुंबई
পুরনো মুম্বই
মুম্বইয়ের অঞ্চল
দক্ষিণ মুম্বইয়ের লোটাস কলোনির দিগন্ত রূপরেখা
দক্ষিণ মুম্বইয়ের লোটাস কলোনির দিগন্ত রূপরেখা
হলুদ রঙে চিহ্নিত দক্ষিণ মুম্বই
হলুদ রঙে চিহ্নিত দক্ষিণ মুম্বই
দক্ষিণ মুম্বই মহারাষ্ট্র-এ অবস্থিত
দক্ষিণ মুম্বই
দক্ষিণ মুম্বই
মহারাষ্ট্রে দক্ষিণ মুম্বইয়ের অবস্থান
স্থানাঙ্ক (মালাবার হিল): ১৮°৫৭′০০″ উত্তর ৭২°৪৭′৪২″ পূর্ব / ১৮.৯৫° উত্তর ৭২.৭৯৫° পূর্ব / 18.95; 72.795
দেশ ভারত
রাজ্যমহারাষ্ট্র
জেলামুম্বই শহর
শহরমুম্বই
ওয়ার্ডএ, বি, সি, ডি, ই,
এফএস, এফএন, জিএস, জিএন
সরকার
 • শাসকবৃহত্তর মুম্বই পৌর নিগম
আয়তন
 • মোট৬৭.৭ বর্গকিমি (২৬.১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩১,৪৫,৯৬৬
 • জনঘনত্ব৪৬,০০০/বর্গকিমি (১,২০,০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)

দক্ষিণ মুম্বই,[১] যা দক্ষিণ বোম্বাই বা সোবো নামেও পরিচিত,[২] মুম্বই মহানগরের নগরকেন্দ্র ও দক্ষিণতম এলাকা। এটি কোলাবা থেকে মাহিমশিব অবধি বিস্তৃত এবং শহরের বিভিন্ন প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা এর অন্তর্গত। ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ মুম্বই স্যালসেট দ্বীপের দক্ষিণতম অংশ নিয়ে গঠিত। এর পূর্বদিকে মুম্বই পোতাশ্রয় ও পশ্চিমে আরব সাগর

তাজমহল প্যালেস হোটেল, গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া, ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস, ব্যালার্ড এস্টেটমুম্বই বন্দর এই অঞ্চলের অন্যতম ল্যান্ডমার্ক। কোটিপতি মুকেশ আম্বানির ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অ্যান্টিলিয়া ভবন এখানে অবস্থিত এবং এটি মুম্বইয়ের বিখ্যাত দিগন্ত রূপরেখার অংশ। দক্ষিণ মুম্বইয়ের বেশিরভাগ বাসিন্দা ব্যাবসা, আইন, বাণিজ্য ও ফ্যাশন পরিবারের অন্তর্গত।

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ও সবচেয়ে পুরনো ওয়াইএমসিএ ভবন দক্ষিণ মুম্বইয়ে অবস্থিত। ফোর্ট, নারিমান পয়েন্ট, ব্যালার্ড এস্টেট ও সাম্প্রতিক লোয়ার পারেল দক্ষিণ মুম্বইয়ে অবস্থিত। এই অঞ্চলের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাসচার্চগেট যথাক্রমে ভারতের মধ্য রেলপশ্চিম রেল অঞ্চলের সদর দপ্তর।

এছাড়া বোম্বাই উচ্চ আদালত, বৃহত্তর মুম্বই পৌর নিগমের সদর দপ্তর ও মহারাষ্ট্র পুলিশের সদর দপ্তর দক্ষিণ মুম্বইয়ে অবস্থিত।

দক্ষিণ মুম্বইয়ে ভারতের দুটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে: ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাসভিক্টোরীয় গথিক ও আর দেকো স্থাপত্য-সমাহার। দক্ষিণ মুম্বইয়ে বহুসংখ্যক আর দেকো ভবন রয়েছে, এবং আর দেকো ভবনের সংখ্যার বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামির পরেই মুম্বইয়ের স্থান।[৩]

১৯৭০-এর দশক থেকে জমি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে দক্ষিণ মুম্বইয়ের দক্ষিণতম অংশের আকার দ্বিগুণ করা হলেও বাণিজ্যিক এলাকাগুলো রিয়েল এস্টেটের তীব্র সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। যার ফলে এর রিয়েল এস্টেটের মূল্য বিশ্বের সর্বোচ্চ দশের অন্তর্গত। গড় মাথাপিছু আয়ের অনুপাত হিসাবে মুম্বইয়ের বাণিজ্যিক এলাকার রিয়েল এস্টেট বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল।[৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Malavika's Mumbaistan: Mumbai's North-South Divide"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৯ 
  2. Eyewitness, D. K. (২০১৯-১০-০৩)। DK Eyewitness Top 10 Mumbai (ইংরেজি ভাষায়)। Dorling Kindersley Limited। আইএসবিএন 978-0-241-43046-0 
  3. Chandrashekhar, Vaishnavi (২০১৯-১০-২১)। "Discovering Mumbai's Art Deco Treasures"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৬ 
  4. Sheng, Ellen। "The Five Most Expensive Cities In The World"Forbes (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]