খলিল হাক্কানি
খলিলুর রহমান হাক্কানি | |
---|---|
خلیلالرحمن حقاني | |
শরণার্থী মন্ত্রণনালয় | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | |
প্রধানমন্ত্রী | মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ |
আমির | হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পাক্তিয়া প্রদেশ, আফগানিস্তান রাজ্য | ১ জানুয়ারি ১৯৬৬
জাতীয়তা | আফগান |
রাজনৈতিক দল | তালিবান |
সম্পর্ক | জালালউদ্দীন হাক্কানি (ভাই) সিরাজউদ্দীন হাক্কানি (ভাতিজা) আনাস হাক্কানি (ভাতিজা) আব্দুল আজিজ হাক্কানি (ভাতিজা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | দারুল উলুম হাক্কানিয়া, পাকিস্তান |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | তালিবান (আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত) |
শাখা | হাক্কানি নেটওয়ার্ক |
কাজের মেয়াদ | ২০২১ পর্যন্ত |
পদ | চিফ অপারেশন অফিসার (২০০৯ পর্যন্ত) কমান্ডার (২০০৯-২০২১) |
কমান্ড | Chief of security for Kabul (August 10, 2021 - September 7, 2021) |
যুদ্ধ | সোভিয়েত–আফগান যুদ্ধ |
খলিলুর রহমান হাক্কানি বা খলিল হাক্কানি ( পশতু: خلیلالرحمن حقاني ; জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৬৬ ) হলেন একজন আফগান শরণার্থী মন্ত্রী, হক্কানি নেটওয়ার্কের একজন বিশিষ্ট নেতা এবং[১][২] আফগান মুজাহিদ ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা জালালুদ্দীন হাক্কানির ভাই ও সিরাজ উদ্দীন হাক্কানির চাচা।
কার্যক্রম[সম্পাদনা]
আফগান যুদ্ধের সময় তালেবানের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহে তিনি নিযুক্ত ছিলেন এবং গোটা যুদ্ধেই তিনি আফগানিস্তানে তালেবানের অভিযানকে সমর্থন করেছিলেন।[৩] ২০০২ সালে, খলিল আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশে আল কায়েদাকে শক্তিশালী করার জন্য তার দায়িত্বে থাকা লোকদের মোতায়েন করেন।[৩] ২০০৯ সালে তিনি হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও তালেবান দ্বারা বন্দী শত্রু বন্দীদের আটকে সহায়তা করেছিল।[৩] ২০১০ সালে, তিনি আফগানিস্তানের লগার প্রদেশে তালেবানকে অর্থায়ন করেন।[৩] হাক্কানি নিজের ভাগ্নে ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানির দ্বারা প্রদত্ত সামরিক আদেশগুলি পালন করতেন, যিনি এক্সিকিউটিভ অর্ডার ১৩২২৪ এর অধীনে মার্চ, ২০০৮ সালে মার্কিনদের কাছে সন্ত্রাসী মনোনীত হয়েছিলেন। [৩] ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ৯ই ফেব্রুয়ারী এক্সিকিউটিভ অর্ডার ১৩২২৫ এর অধীনে আমেরিকার ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট তাকে বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত করে[৪] এবং তাদের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী হিসেবে তার জন্য ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল।[৫][৬] তিনি একজন হাজি উপাধিসহ তালিকাভুক্ত হন এবং পাকিস্তানের পেশোয়ার, মিরাম শাহ, উত্তর ওয়াজিরিস্তান এজেন্সি ও আফগানিস্তানের পাকতিয়ার ঠিকানা দিয়েছেন; যদিও তার জন্ম তারিখ বিভিন্নভাবে দেওয়া হয়, যা ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৬ সালের মধ্যে হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে। [৭]
২০১১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী জাতিসংঘ রেজোলিউশন ১৯০৪ ( ২০০৯ ) এর অনুচ্ছেদ ২ অনুসারে, খলিলকে ১৯৮৮ সালের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় (TAi.150) যোগ করা হয়েছিল আল-কায়েদা, ওসামা বিন লাদেন বা তালেবানের সাথে "অংশগ্রহণ করার জন্য"।[৮]
হাক্কানি নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন খলিলের ভাই জালালউদ্দিন হাক্কানি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তারা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের তালেবান শাসনে যোগ দেয়।[৮] জাতিসংঘ স্থির করে যে, তিনি তালেবান এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের হয়ে তহবিল সংগ্রহ করার কার্যকলাপে জড়িত এবং আর্থিক সহায়তাকারীদের পেতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পরিচালনা করেন।[৮] ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, হাক্কানি পারস্য উপসাগরের আরব রাষ্ট্র এবং দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার উৎস থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছিলেন।[৮] এছাড়াও তিনি আল-কায়েদার পক্ষে কাজ করেন; আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশে আল-কায়েদার উপাদানগুলিতে শক্তিবৃদ্ধি মোতায়েনসহ তাদের সামরিক অভিযানের সাথে যুক্ত ছিলেন।[৮]
সরকারি পদবী[সম্পাদনা]
২০২১ সালের আগস্ট মাসে কাবুল পতনের পর তাকে ক্ষমতার হস্তান্তরের সময় কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।[৯][১০]
২০২১ সালের ৭ ই সেপ্টেম্বর খলিল আফগানিস্তানের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত ইসলামি আমিরাতের শরণার্থী মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন।[১১]
আরো পড়ুন[সম্পাদনা]
- U.S. Army (২০১৪)। The Haqqani Network। CreateSpace Independent Publishing Platform। আইএসবিএন 978-1500318796।
- Brown, Vahid (২০১৩)। Fountainhead of Jihad: The Haqqani Nexus, 1973–2012। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-932798-0।
- Coll, Steve (২০০৪)। Ghost Wars: The Secret History of the CIA, Afghanistan, and Bin Laden, from the Soviet Invasion to September 10, 2001। Penguin Press। আইএসবিএন 1-59420-007-6।
- Goodson, Larry P. (২০০১)। Afghanistan's Endless War: State Failure, Regional Politics and the Rise of the Taliban। Seattle: University of Washington Press। আইএসবিএন 0-295-98111-3। ওসিএলসি 44634408।
- Griffiths, John C. (২০০১), Afghanistan: A History of Conflict, London: Carlton Books, আইএসবিএন 978-1-84222-597-4[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- Matinuddin, Kamal (১৯৯৯), The Taliban Phenomenon: Afghanistan 1994–1997, Karachi: Oxford University Press, আইএসবিএন 0-19-579274-2
- Rashid, Ahmed (২০০০), Taliban: Militant Islam, Oil and Fundamentalism in Central Asia, New Haven: Yale University Press, আইএসবিএন 978-0-300-08340-8
- Rashid, Ahmad (২০০১)। Taliban: The Story of the Afghan Warlords। London: Pan Books। আইএসবিএন 0-330-49221-7।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ United States Foreign Terrorist Organizations
- ↑ Fox News: Top terrorist on most wanted list is welcomed into Kabul
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Rewards for Justice - Khalil Haqqani
- ↑ Executive Order 13224: Blocking Terrorist Property and a summary of the Terrorism Sanctions Regulations
- ↑ New York Times: Khalil Haqqani, long on America’s terrorist list, is welcomed by cheering crowds in Kabul
- ↑ Rewards for Justice - Khalil Haqqani
- ↑ "HAQQANI, Khalil ur Rahman"। sanctionssearch.ofac.treas.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ United Nations Security Council - Khalil Ahmed Haqqani
- ↑ Latifi, Ali M. (২২ আগস্ট ২০২১)। "'All Afghans' should feel safe under Taliban, says security chief"। Al Jazeera English।
- ↑ Gardner, Frank (২৬ আগস্ট ২০২১)। "Afghanistan crisis: Who are Isis-K?"। BBC News।
- ↑ "Taliban announce new government for Afghanistan"। BBC News। ২০২১-০৯-০৭। ২০২১-০৯-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৭।