কোচবিহার স্টেট রেলওয়ে
শিল্প | রেলপথ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৯৪ |
সদরদপ্তর | , |
বাণিজ্য অঞ্চল | কোচবিহার রাজ্য |
পরিষেবাসমূহ | রেল পরিবহণ |
কোচবিহার স্টেট রেলওয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
কোচবিহার স্টেট রেলওয়ে ছিল অধুনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার একটি ২ ফুট ৬ ইঞ্চি (৭৬২ মিলিমিটার) ন্যারোগেজ রেল। ১৮৯৪ সালে পূর্ব হিমালয় পাদদেশে এই রেল চালু হয়েছিল। ১৯১০ সালে এটি ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) মিটারগেজে রূপান্তরিত হয়।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৮৯৩-৯৮ সালে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ কোচবিহার স্টেট রেলওয়ে চালু করেন।[১]
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ১৮৯১-৯২ সালে স্থির হয়েছিল যে কোচবিহার শহরের বিপরীত দিকে তোর্সা নদীর দক্ষিণ তীর থেকে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের গীতলদহ পর্যন্ত একটি ২ ফুট ৬ ইঞ্চি (৭৬২ মিলিমিটার) দীর্ঘ ন্যারোগেজ রেলপথ নির্মিত হবে যা ধুবড়ি (অধুনা অসম রাজ্যে) স্টেশনকে লালমনিরহাট (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রে) স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত করবে। এই লাইন নির্মিত হওয়ার সময় এর স্টেশনগুলি ছিল: তোর্সা, দেওয়ানহাট, চওড়াহাট, গীতলদহ ও গীতলদহ ঘাট। ১৮৯৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এই লাইন মালপত্র পরিবহন এবং ১৮৯৪ সালের ১ মার্চ এটি যাত্রী পরিবহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়।[১]
তোর্সা নদীর উপর একটি সেতু নির্মিত হলে এই রেলপথের সঙ্গে কোচবিহার শহরটি যুক্ত হয়। পরে এই লাইনটি ভারত-ভুটান সীমান্তের নিকটবর্তী আলিপুরদুয়ার, বক্সা ও জয়ন্তীর সঙ্গে যুক্ত হয়। ১৯০১ সালে মোট ৫৩.৫ মাইল দীর্ঘ রেলপথটি চালু হয়। ১৯১০ সালে এটিকে ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) দীর্ঘ মিটারগেজ লাইনে রূপান্তরিত করা হয়। ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে এই রেলপথটি পরিচালনা করত।[১][২][৩] ১৯৩২ সালের হিসেব অনুসারে, এই রেলপথে সকালে ও সন্ধ্যায় মোট দুটি ট্রেন চলত।[১] ১৯৫০-এর দশকের গোড়ার দিকে এই রেলপথটিকে ভারতীয় রেলের উত্তরপূর্ব রেল ক্ষেত্রের (অধুনা উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল) অধিভুক্ত করে নেওয়া হয়।[৪]
পাদটীকা[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ "The Cooch Behar State Railways (1903)"। "The Cooch Behar state and its land revenue settlements" by H. N. Chaudhuri, Cooch Behar State Press, 1903 – Review by R Sivaramakrishnan। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-১৯।
- ↑ "Cooch Behar Railway"। fibis। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-১৯।
- ↑ "IR History: Part III (1900-1947)"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-১৯।
- ↑ Banerjee, Ajai। "Zonal Reorganization of IR Since Independence"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।